পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা । ] মনোরঞ্জন প্রভৃতি যে সকল মহাৰথী কার্যাক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছেন, তাহার সকলেই স্বশিক্ষিত জনের ভাষায় সুশিক্ষিত জনগণকেই মা তাইতেছেন। যাহাবা স্বল্পশিক্ষিত বা একেবারেই অশিক্ষিত তাহারাষ্ট তো জাতির সর্বপ্রধান ভাগ; তাহাদিগকে জাগাইবার উপায় কি ? তাহীদের বোধগমা ভাষায় তাহাদিগকে না ডাকিলে তাকার সাড়া দিবে কেন ? এজন্য উপধায় শিক্ষিতজনগণকে জাগাইবার ভার বিপিনচন্দ, অরবিন্দ, মনোরঞ্জন প্রভূতিব হস্তে রাখিয়া আপামর সাধারণের নিকট তইতে সাড়া পাইবার চেষ্টায় স্বয়ং প্রবৃত্ত ইষ্টলেন। এই সাধারণ জনগণের হৃদয়কর্মণ-কার্যো প্রবৃত্ত তষ্টয়া উপাধ্যায় এমন এক সাহিত্যেব সষ্টি করিলেন মাহ বঙ্গভাষায় অপূর্ব এবং অতুলনীয়। স্বদেশীয় দার্শনিক পণ্ডিতগণের সহিত দর্শন ও ধৰ্ম্মতত্ত্বালোচনা-স্থলে যিনি দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ভিন্ন অন্য ভাষা ব্যবঙ্গব করিতেন না ; দার্শনিক বহু তা দ্বারা মিনি ইউরোপের প্রধান একটি বিদ্যাকেন্দের পণ্ডিতদিগকে ও মুগ্ধ করিয়া. ছিলেন ; সেই স্বদেশী বিদেশীয় দার্শনিক জ্ঞান-সম্পন্ন পণ্ডিত ব্ৰহ্মবান্ধল উপপায় গাম্যভাষা, ক্টেয়ালী, রূপকথা ও অপভাষা (slang` (?f5f=zi একত্র সুমাবেশে এক্ষণে এমন এক সাহিতোর-সৃষ্টি করিলেন যাত সাধাবণ জনগণের অতি স্পৃহার বস্তু হষ্টয়া দাড়াটল । সেই সাহিত্য পাঠ করিয়া দোকান, পসারী, পাঠশালার গুরুমহাশয়, জমিদাবেব সরকার ও গোমস্থা, গ্রাম্য স্ত্রীলোক ও বালকবালিকা হাসিত, কঁাদিত, আনন্দে উৎফুল্ল ও ক্রোধে উন্মত্তপ্রায় হইয়া উঠিত ; আর আমরা সুরুচি ও শিক্ষাভিমানী জনগণ যাহার সকল সময় র্তাহার ভাষা ও রুচির প্রশংসা করিতে পারিতাম না, আমরাও সন্ধ্যাকালে তাহার সন্ধ্যাকে হস্তে পাষ্টবার জন্য ব্যাকুল হইয়া থাকিতাম ; আর ইংরাজ, ইংরাজ তাহার সন্ধ্যার মৰ্ম্ম অবগত হইয়া কিরূপ জলিয়া পুড়িয়া মরিত তাহ সৰ্ব্বজন বিদিত। সুশিক্ষিত ও স্বমার্জিত-রুচি পুরুষ হষ্টয়া উপাধ্যায় স্বল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত জনগণের সম্যক উপযোগী এমন সাহিত্য কিরূপে স্বজন করিলেন, ইহা সমধিক আশ্চর্যোর বিষয় ; আর বঙ্গভাষার যে এমন ঐন্দ্রজালিক শক্তি আছে, তাহা অবগত হওয়াও আমাদের পক্ষে অতীব আশ্চর্যের বিষয় হইয়াছে। বস্তুতঃ ইংরাজের যাদুমন্ত্র ভাঙ্গিষার জন্ত উপাধ্যায় ব্ৰহ্মবান্ধব । AASAASAASAASAASAASAASAAeAeeeS 象 టt : উপাধ্যায় যেন নূতন আর এক যাহ্মন্ত্রের সৃষ্টি করিয়াছিলেন। অন্ত কোনও কাৰ্য্য না করিয়া উপাধ্যায় যদি কেবল এই” সাহিত্য সাষ্টই করিয়া যাইতেন তাহা হইলেও তিনি বঙ্গের ; ইতিহাসে অক্ষয় কীৰ্ত্তি লাভ করিতে পারিতেন। কিন্তু এই অপূৰ্ব্ব সাহিত্যের সাহায্যে স্বদেশের সাধারণ জনমণ্ডলীকে ইংৰাজের মোহপাশ হইতে মুক্ত করিয়া তাহাদের অন্তরে ৰে তিনি প্রকৃত আত্মমর্যাদা ও আত্মনির্ভরের ভাব উদ্বোধিক্ত করিয়া গিয়াছেন, বঙ্গের ইতিহাসে ইহাই অঁতার সুৰ্ব্বপ্রধান কীৰ্বি বলিয়া গৃহীত হইবে । * : সচরাচর উপাধ্যায় মহাশয়ের বিরুদ্ধে দুইটি অভিযোগ শুনিতে পাওয়া যায়। প্রথম অভিযোগ এই যে, তাহার s মতস্থৈর্যা ছিল না তিনি একবার ব্রাহ্ম, একবার খ্ৰীষ্টান, ' পুনরায় আবার হিন্দু কষ্টয়াছেন। এ সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য । এই যে, তিনি যখন যাহা সত্য বলিয়া বুঝিয়াছেন অকপট । চিত্তে তাহার অন্তসরণ করিয়াছেন ; যশমানের দিকে একটুও সমস্ত জীবনষ্ট তিনি আপনাকে মহানুষ্ঠানে নিয়োজিত রাপিয়াছেন ; উচ্চ মতলব ভিন্ন ক্ষুদ্র মতলবকে কখনও হৃদয়ে স্থান দেন নাই ; আর যথন যে মতলব ধরিয়াছেন তাত সুসিদ্ধ করিবার জন্য ঐকান্তিক যত্ন ও পরিশ্রণ করিয়াছেন। আর এক কথা এই যে, প্রতিভাশালী ব্যক্তির বাবম্বার মত-পরিবর্তনেবু দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল নন্তে । বস্থ তঃ মনস্বী মঙ্গমন পুরুষদেরষ্ট মত পরিবর্তিত হয়, আর ক্ষুদ্রবৃদ্ধি ও ক্ষুদ্রচেতা লোকেরাষ্ট কূপমণ্ডুকের দ্যায় দৃষ্টি দেন নাই । চিরকাল সঙ্কীর্ণ একটা গণ্ডীর মধ্যে থাকির জীবন কাটাইয়া । দেয়। উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগ এই যে, তিনি বিরাগ প্রচার করিয়া গিয়াছেন - ইরাজের গুণের উল্লেখ না করিয়া কেবল তাহীদের দোষকীৰ্ত্তনই কবিয়াছেন । এ সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য এই যে, ভল্টেয়ার কি অষ্টাদশ শতাব্দীতে । খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্ম ও খৃষ্টীয় সমাজের প্রতি ঘোরতর বিরাগ প্রচার করেন নাই ? তাই বলিয়া খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্ম ও খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মসমাজের দ্বারা এক সময় ইউরোপের কি কল্যাণ সাধিত হইয়াছিল, ” তাহা কি ভণ্টেয়ার জানিতেন না ? কিন্তু খৃষ্টায় ধৰ্ম্ম ৪ খৃষ্টীয়ু ধৰ্ম্মসমাজ যে ইউরোপীয়গণের কণ্ঠের লৌহস্থলস্বরূপ হইয় দাড়াইয়াছিল ; এই জন্যই ঐ ধৰ্ম্ম ও ঐ সমাজের মোহপাশ । হইতে ইউরোপীয়দিগকে মুক্ত কবিবার উদ্দেশ্যে ভল্টেয়ার