পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ళి À. হৈ ছাড়া, আঘাত উত্তেজনার সাড়া দেওয়া ব্যাপারটা উদ্ভিদ হইতে ক্রমে শক্তিলাভ করিয়া—কি প্রকারে জটিল ইঞ্জিয়সম্পন্ন প্রাণীতে পরিণতি লাভ করিয়াছে, তাহারে একটা স্বন্দর ধারা এই পুস্তক পাঠে অবগত হওয়া যায়। ৰন্থ মহাশয় বলিতেছেন, বলপ্রয়োগ করিলে পদার্থের অণুগুলির যে বিকৃতি হয় তাহাই সাড়ার একমাত্র কারণ। কাজেই আঘাত উত্তেজনায় সাড়া দেওয়া কেবল প্রাণীরই বিশেষত্ব ময়, ইহা অণুময় পদার্থ মাত্রেরই নিজস্ব। উদ্ভিদের শারীর্যন্ত্র মৃৎ-পিণ্ড অপেক্ষ জটিল হইয়া নানা কারণে সাড়া দিবার উপযোগী হইয়াছে। তাই আমরা মৃৎপিণ্ড অপেক্ষ উদ্ভিদকে সসাড় দেখি । আবার প্রাণীর শারীর্যন্ত্র উদ্ভিদ অপেক্ষাও জটিল হইয় পড়ায় ইহার সাড়া দিবার শক্তি অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়া গেছে। এজন্য আমরা প্রাণীকে -সচেতন ও উদ্ভিদকে অচেতন বলিয়া সিদ্ধান্ত করিতেছি । জুড়তত্ত্ব ও জীবরহস্তের এই গোড়ার খবরগুলি আবিষ্কৃত হওয়ায় আধুনিক বিজ্ঞান যে কতদূর লাভবান হইয়াছে তাহার ষ্টয়ত্ত করা যায় না। জড় উদ্ভিদ ও প্রাণীর কার্য্যের মধ্যে কোন শৃঙ্খলা খুজিয়া না পাইয়া জীবতত্ত্ববিদগণ এপর্য্যন্ত ইহাদের প্রত্যেক কাৰ্য্যকেই এক একটা পৃথক ব্যাপার বলিঙ্ক স্বীকার করিয়া আসিতেছিলেন। এমন কি একই উদ্ভিদের বিশেষ বিশেষ অঙ্গের কার্য্যগুলির মধ্যে কোন ། སྭ་ས་རྨ༑ না পাইয়া, কাৰ্য্যগুলিকে সেই সেই অঙ্গেরই বিশেষ ধৰ্ম্ম বলিয়৷ ইহঁারা মানিয়া চলিতেছিলেন। বলা বাহুল্য এই সকল ব্যাখ্যানে পুঁথির অবয়ব অনাবশ্বকরূপে বাড়িয়া আসিতেছিল মাত্র, শিক্ষার্থীগণ ব্যাখ্যানের কোন মৰ্ম্মই গ্রহণ করিতে পারিতেন না। অধ্যাপক বস্থ মহাশয়ের নূতন আৰিষ্কারগুলি দ্বারা সমগ্র জীবতত্বে আজ এক নূতন আলোক পতিত হইয়াছে ; ইহা দ্বারা প্রাণী ও উদ্ভিদের বিচিত্র কার্য্যের সকল রহস্তই প্রকাশ হইয়া পড়িতেছে। । এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধে আটশত পৃষ্ঠাব্যাপী নবতথ্যপূর্ণ মহাগ্রন্থের একটা স্থল অভিমত দেওয়া অসম্ভব। আমরা tईषीरम "াচাৰ্য্য বস্ন মহাশয়ের আবিষ্কৃত আরো জুই একটি বিষয়ের উল্লেখ করিয়া প্রবন্ধের উপসংহার কৱিৰ। পাঠক অবই অবগত আছেন, জীবতত্ত্ববিদগণ এ পর্ঘ্যৰ देिी । कवि डिनि अरे मूख्न श्रृंखएक जिविक कबािख्रन । * نه ، سفی ، خسی ... اما বা তৈজস্নাড়ী (nerve) হইতে সম্পূর্ণ পৃথক গুণবিশিষ্ট প্রাণীয়ে ન ( zhuscles ) xxx, 'ं .wtं । বলির মানির আসিতেছিলেন। অর্থাৎ পেশী জিনিসটা চলধক্ষ্মী (motile) এবং স্বায়ু সম্পূর্ণ অচলধৰ্ম্ম :(nonmotile । ) আচাৰ্য্যবস্থ মহাশয় কিন্তু উভয়কেই একই গুণসম্পন্ন দেখিয়াছেন। অপর বৈজ্ঞানিকগণ যাহাকে আচলধৰ্ম্মী বলিয়া গেছেন, তাহাই বস্ন মহাশয়ের স্বল্প পরীক্ষায় চলধৰ্ম্মী হইয়া দেখা দিয়াছে। বাহিরের আঘাত উত্তেজনা পরিবহন করিবার শক্তি কেবল প্রাণীদেহেরই বিশেষত্ব, বলিয়া স্থির ছিল । আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয় উদ্ভিদ দেহুেও এই বেদন পরিবাহন দেখাইয়াছেন, এবং ইহাদের দেহ যে প্রাণীর মতই স্নায়ুজালে আচ্ছন্ন তাহাও প্রতিপন্ন হইয়া, গেছে। এতদ্ব্যতীত পরিপাক ক্রিয়, পাকরসের নির্গমন, এবং ভূক্ত দ্রব্য দেহস্থ করা ইত্যাদি ব্যাপার যে প্রাণী ও উদ্ভিদ দেহে ঠিকৃ একই প্রকারে সম্পন্ন হয় তাহাও আচাৰ্য্য বসু মহাশয় প্রত্যক্ষ দেখাইয়াছেন। উদ্ভিদ ও প্রাণীর নানা কায্যের মধ্যে এই একতা আবিষ্কৃত হওয়ায়, শারীরতত্ত্বের যে সকল ব্যাপার প্রাণীর শারীরযন্ত্রের জটিলতার ভিতর দিয়া অতি অস্পষ্ট ভাবে আমাদের চোখে পড়িত, উদ্ভিদের সরল শারীরযন্ত্রে অতি সহজে তাহাদেরি বিশেষ পরিচয় পাওয়া যাইতেছে । বলা বাহুল্য ইহাতে জীব তত্বের অনেক কঠিন সমস্তার মীমাংসা সম্ভবপর হইয়া দাড়াইয়াছে। আধুনিক বিজ্ঞানের ইহা কম লাভের কথা নয়। পণ্ডিতগণ মনোবিজ্ঞানকে জড়বিজ্ঞান হইতে পৃথকৃ করিয়া আলোচনা করিয়া থাকেন, কিন্তু এই দুয়ের মধ্যে যে একটা অতি নিগুঢ় সম্বন্ধ আছে, তাহা সকলেই মনে মনে বুঝেন। নানা কারণে সেই গুঢ় সম্বন্ধ আমাদের অজ্ঞাত রহিয়া গেছে। নূতন আবিষ্কারগুলি দ্বারা আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয় মন ও জড়রাজ্যের মধ্যবর্তী সেই রহস্তকুহেলিকাবৃত সীমান্ত প্রদেশেরও সংবাদ আনিবার উপক্রম করিয়াছেন। মুখ দুঃখ মেধা স্বতি প্রভৃতির উৎপত্তিতত্বের অভিাগ এই আবিষ্কারগুলিতে স্পষ্ট দেখা বাইতেছে। ষে মহাশক্তির কণামাত্র পাইয়া বায়ু সঞ্চলিত হয়, সুৰ্য্য উত্তাপ প্রদান করে, মনোরাজ্যের বিচিত্র কার্য্য যে তাহারি অনভঙ্গীলার একটি স্বক্ষাতিস্থঙ্ক অংশ, আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয়ের আবিষ্কারে আমরা