পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা পাবনা প্রাদেশিক সম্মিলমী উপলক্ষে সভাপতির বক্ততা । সমস্ত বৈচিত্র্য ও বিরোধকে একটা বৃহৎ ব্যবস্থার মধ্যে বধিয়া তোলাই আমাদের পক্ষে সকলের চেয়ে বড় শিক্ষা। এই শিক্ষা যদি আমাদের অসম্পূর্ণ থাকে তবে স্বায়ত্তশাসন আমাদের পক্ষে অসম্ভব হইবে। যথার্থ স্বায়ত্তশাসনের অধীনে মতবৈচিত্র্য দলিত হয় ন সকল মতই আপনার যথাযোগ্য স্থান অধিকার কুরিয়া লয় હઃ বিরোধের বেগেষ্ট পরস্পরের শক্তিকে পরিপূর্ণ রূপে সচেতন করিয়া রাখে । য়ুরোপের রাষ্ট্ৰকাৰ্য্যে সৰ্ব্বত্রই বহুতর বিরোধী দলের একত্র সমাবেশ দেখা যায়। প্রত্যেক দলই প্রাধান্ত লাভের জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছে । কোনো দলই হারিয়াও হার মানিতে চায় না । প্রভৃতি এমন সকল দলও রাষ্ট্র সভায় স্থান পাষ্টয়াছে যাহারা বর্তমান সমাজব্যবস্থাকে নানাদিকে বিপর্য্যস্ত করিয়া দিতে চায় । এত তানৈক্য কিসেব বলে এক হইয়া আছে এবং এক বিরোধ মিলনকে চর্ণ করিয়া ফেলিতেছে না কেন ? ইহার কারণ আর কিছুষ্ট নহে, এই সকল জাতির চরিত্রে এমন একটি শিক্ষা সুদৃঢ় হইয়াছে যাহাতে সকল পক্ষই নিয়মের শাসনকে মান্ত করিয়া চলিতে পারে। নিয়মকে লঙ্ঘন করিয়া তাঙ্গারা সফলতাকে ছিন্ন করিয়া লইতে চায় না, নিয়মকে পালন করিয়াই তাহারা জয়লাভ করিবার জন্ত ধৈর্য্য অবলম্বন করিতে জানে। এই সংযম তাহাদের বলেরই পরিচয় । এষ্ট কারণেই এত বিচিত্র ও বিরুদ্ধ মতি গতির লোককে একত্রে লইয়া শুধু তর্ক ও আলোচনী নহে বড় বড় রাজ্য ও সামাজ্য চালনার কার্য্য সম্ভবপর হইয়াছে। - আমাদের কনগ্রেসের পশ্চাতে রাজ্য সাম্রাজ্যের কোনো দায়িত্বই নাই—কেবল মাত্র একত্র হইয়া দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায় দেশের ইচ্ছাকে প্রকাশ করিবার জন্ত এষ্ট সভাকে বহন করিতেছেন—এই উপায়ে দেশের ইচ্ছা ক্রমশ পরিস্ফুট আকার ধারণ করিয়া বললা ভ করিবে এবং সেই ইচ্ছাশক্তি ক্রমে কৰ্ম্মশক্তিতে পরিণত হইয়া দেশের আত্মোপলব্ধিকে সত্য করিয়া তুলিবে এই আমাদের লক্ষ্য। সমস্ত দেশের iশক্ষিত সম্প্রদায়ের সম্মিলিত চেষ্টা যে মহাসভায় আমাদের ইচ্ছাশক্তির বৈাধন করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে তাহার মধ্যে এমন ঔদার্ঘ্য যদি না থাকে যাহাতে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের Labour Party, Socialist বিবাইটাই পণ্ড হক্টতে থাকে। لاوون. সকল শ্রেণী ও সকল মতের লোকই সেখানে স্থান পাইতে পারেন তবে তাহাতে আমাদের ক্ষমতার অসম্পূর্ণতা প্রকাশ পায় । .* এই মিলনকে সম্ভবপর করিবার জন্ত মতের বিরোধকে বিলুপ্ত করিতে হইবে এরূপ ইচ্ছা করিলেও তাঁহা সফল হইবে ন এবং সফল তক্টলেও তাছাতে কল্যাণ নাই। বিশ্বস্তষ্টব্যাপারে আকর্ষণ ও বিকর্ষণ, কেন্দ্রাভিগ ও কেন্দ্রান্তর্গ শক্তি পরম্পর প্রতিঘাতী অথচ একই নিয়মের শাসনাধীন বলিয়াই বিচিত্রস্তষ্ট বিকশিত হইয়া উঠিতে পারিয়াছে। রাষ্ট্ৰসভাতেওঁ নিমেয় দ্বারা সংযত হইয়াও প্রত্যেক মতকেই প্রাধান্ত লাভের জন্ত চেষ্টা করিতে না দিলে এরূপ সভার স্বাস্থ্য নষ্ট, শিক্ষা অসম্পূর্ণ ও ভবিষ্যৎ পরিণতি সঙ্কীর্ণ হইতে থাকিবে। অতএব মত বিরোধ মূখন কেবলমাত্র অবশ্যম্ভাবী নহে তাহা মঙ্গলকর,তখন মিলিতে গেলে নিয়মের শাসন অমোঘ হওয়া চাই। নতুবা বরযাত্রীও কন্যাপক্ষে উচ্ছঙ্খলভাবে বিবাদ করিয়া শেষকালে যেমন বাম্পসংঘাতকে লোহার বয়লারের মধ্যে র্বাধিতে পারিলে তবেই , কল চলিতে পারে তেমনি আমাদের মত সংঘাতের আশঙ্কা । যতই প্রবল হইবে আমাদের নিয়ম-বয়লারও ততই বজের স্থায় কঠিন হইলে তবেই কৰ্ম্ম অগ্রসর হইবে নতুবা অনর্থপূr. ঘটিতে বিলম্ব হইবে না। 尊 | এ পর্য্যস্ত কনগ্রেসের ও কনফারেন্সের জন্ত প্রতি নিৰ্ব্বাচনের জন্য আমরা যথারীতি নিয়ম স্থির করি! যতদিন পর্য্যন্ত, দেশের লোক উদাসীন থাকাতে কর্তব্য সম্বন্ধে তামাদের মধ্যে কোনো মতের } না ততদিন এরূপ নিয়মের শৈথিল্যে কোনো নাঙ্ক । কিন্তু যখন দেশের মনটা জাগিয়া উ i দেশের কৰ্ম্মে সেই মনটা পাইতে হইবে, তখন ‘a নিৰ্ব্বাচনকালে সত্যভাবে দেশের সম্মতি * এইরূপ শুধু নিৰ্ব্বাচনের নহে কনগ্রেস ও স্বাম কার্য্যপ্রণালীর ও বিধি সুনির্দিষ্ট হওয়ার সময় আসিয়াছে। এমন না করিয়া কেবল বিবাদ বঁাচাইয়া চলিবার জন্ত দেশের এক এক দল যদি এক একটি সাম্প্রদায়িক কন্‌গ্রেসের স্বষ্টি করেন তবে কনগ্রেসের কোনো অর্থই থাকিবে না । কনগ্রেস্ সমগ্র দেশের অথও সভা—বিঘ্ন ঘটিৰামাএই