পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । ] দুষ্ট তিনবার ভূত নামানে আমাদের প্রাতাতিক কৰ্ম্ম হইয়া দাড়াইয়াছিল। আমরা চক্র করিয়া বসিতে না বসিতেই ভূত নামিত। চক্রে দুই, তিন, চারি, পাচ বা আরও অধিক লোক বসা যাইতে পারে।. @ চক্রের মধ্যস্থ একজন কেহ যদি উঠিতে ইচ্ছা করেন, তবে তাহার বামের ও দক্ষিণের লোক দুইজন পরস্পর হস্ত সংযোগ করিবার পর তিনি উঠিতে পারেন। হস্ত সংযোগ ভাঙ্গিয়া গেলে ভূত অন্তৰ্দ্ধান করিবে । চক্রটি অক্ষুণ্ণ থাক চাই । চক্রস্থ যে কেহ ভূতকে প্রশ্ন করিলে উত্তর পাইবেন। চক্রের বাহিরের কেহ প্রশ্ন করিলে উত্তর পাওয়া যাইলে না। যিনি চক্রের বাহিরে আছেন, তিনি যদি চক্রস্থ হইতে ইচ্ছা করেন, তবে হস্তসংযোগ অভগ্ন রাখিয়া ঠাঙ্গকে চক্র মধ্যস্থ করা যাইতে পারে। অনেক সময় ভূত অতি ক্ষীণভাবে পায় ঠকিতে থাকে। এরূপ অবস্থায় আমরা ভূতকে জিজ্ঞাসা করি, কত বয়সে তোমার মৃত্যু হইয়াছিল। উত্তর পাই, ভূত অতি শিশু । তখন তাহাকে বলি - “তুমি যাও, একজন বলবান পুরুষ ভূতর্কে পাঠাষ্টয়া দাও। সে মেন আসিয়াই খুব জোরে একটা শব্দ করিয়া জানায় ।”-- তাহাক্ট হইয়া থাকে। অনেক সময় ভূত ভাল করিয়া উত্তর দেয় না, দৃষ্টামি করে। তাহাকে জিজ্ঞাসা করি, “তুমি কি বিরক্ত হইয়াছ ?” সে বলে “হইয়াছি।” তখন তাহাকে বলি—“তুমি যাও, একজন শান্তপ্রকৃতি ভূতকে পাঠাষ্টয়া দাও।”—তাহাই হয়। কোনও নির্দিষ্টনাম ভূতকে পাঠাষ্টয়া দিতে বলিলে, সে ভুতও আসিয়া থাকে। আমরা অনেক সময় বলিয়াছি—“টেবিলটা আমার দিকে একটু সরাইয়া দাও।” ভূত তখন আমার দিকের পায়াটি মাটিতে রাখিয়া, অপর দুইটা পায় শূন্তে তুলিয়া ফেলে। পরে ভূমিস্থ পারাকে কেন্দ্রস্বরূপ করিয়া, ধীরে ধীরে টেবিল ঘুরাষ্টয়া, অন্ত পায় আমার দিকে আনিতে চেষ্টা করে। অনেক সময় টেবিল এরূপ ঘুরে যে চক্র ভাঙ্গিবার ভয়ে টেবিলস্থ অন্তান্ত ব্যক্তিকে চেয়ার ছাড়িয়া উঠিয়া টেবিলের অনুসরণ করিতে হয়। 鬱 ভূত নামানো । \రిలి অনেক সময় ভূতকে জিজ্ঞাসা করিয়াছি—“আমি যদি আমার দিকে টেবিলটা চাপিয়া ধরিয়া থাকি, তবে তুমি সে দিকের পায়াটা আমার বলের বিরুদ্ধে উঠাইতে পারে ?” ভূত বলিয়াছে -–“পারি।” তখন দাড়াইয়া উঠিয়া যথাসাধা টেবিল চাপিয়া ধরিয়াছি, কিন্তু ভূত আমার দিকের পায় উঠাইয়া ফেলিয়াছে। একবার আমরা উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের একটি রেলওয়ে ষ্টেশনে এই খেলা খেলিতেছিলাম অনেক লোক আমাদিগকে ঘিরির দর্শকস্বরূপ উপস্থিত ছিল। ভূতের সঙ্গে আমাদের বলপরীক্ষা চলিতেছিল। একজন ভীমকায় পঞ্জাবী কনেষ্টবল বলিল—“বাব, ভূতকো পছিয়ে কি হাম অগর দালে তো উঠা শক্ত ?” ভূতকে জিজ্ঞাসা করা গেল। ভূত বলিল “পারিব”। তখন সেই কনেষ্টবল আমাদের কাছে আসিয়া, তাহাব সমস্ত বলের সচিত, টেবিল দুষ্ট হাতে চাপিয়া ধরিল। অল্পে অল্পে ভূত পায়াটি তুলিয়া ফেলিল । টেবিল মড়মড় কবিতে লাগিল, ভাঙ্গে আর কি। ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্তমান,- যে বিষয়েই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যায়, তাহারই উত্তর পাওয়া যায়। কিন্তু ভূত ও বর্তমান সম্বন্ধে যে প্রশ্নের উত্তর চক্রস্থ কাতারে জানা আছে, সেই উত্তরটিই ঠিক ঠিক পাওয়া যায়। অন্ত উত্তর ভুল একবার আমরা ভুত নামষ্টিয়াছিলাম, একজন অবি হয় । শ্বাসী ব্যক্তি দাড়াইয়া তামাসা দেখিতেছিলেন । তিনি বলিতেছিলেন, “তোমরাই ঠক ঠক করিতেছ। আচ্ছা ভূতকে জিজ্ঞাসা কর দেপি আমার পকেটে কয়ট টাকা আছে ?”—জিজ্ঞাসা করিলাম, কিন্তু ভূতের উত্তর ঠিক হইল না। তখন সে ব্যক্তিকে বলিলাম, “আচ্ছা তুমি বাহিরে গিয়া, একজনের নিকট গোটাকত পয়সা গণিয়া লষ্টয় পকেটে করিয়া এস । তাহার পর, চক্রমধ্যস্থ হইয়া নিজে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা কর।” তিনি তাহাই করিলেন ভূতকে জিজ্ঞাসা করিলেন—“আমার পকেটে কটা পয়সা আছে বল দেখি।” ভূত ঠিক উত্তর দিল। একবার একটা মজা হইয়াছিল। একব্যক্তি নিজের - বয়স লুকাইতেন আমরা সকলেই সন্দেহ করিতাম তাহার বয়স অধিক। একদিন আমরা ভূত নামাইতেছিলাম, তিনিও চক্রমধ্যস্থ ছিলেন। ভূর্তিকে আমাদের সকলেরই