পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అనy, ললিত কহিল- “গৌরমোহন বাবু বুঝি রাগ করবেন ?” ললিতার এষ্ট প্রশ্নে পিনয় একটু চকিত ইষ্টয়া উঠিল। ললিতা আলার কহিল – “সার্কাসে মেয়েদের নিয়ে যাওয়া সম্বন্ধে গৌরমোহন বাবুর একটা মত আছে ?” বিনয় কঠিল --“নিশ্চয় আছে।” ললিতা। সেটা কিরকম আপনি বাখ্যা করে বলুন। আমি দিদিকে ডেকে নিয়ে আসি তিনিও শুনবেন। বিনয় খোচ খাইয়া হাসিল। ললিত কঠিল “হাস্চেন কেন বিনয় বাবু! আপনি কাল সতীশকে বলেছিলেন মেয়ের বাঘকে ভয় করে-- আপনি কাউকে ভয় করেন না কি ?” ইহার পরে সেদিন মেয়েদের লইয়া বিময় সার্কাসে গিয়াছিল । শুধু তাই নয়, গোরীর সঙ্গে তাহার সম্বন্ধটা ললিতার এবং সম্ভবত এবাড়ির অন্স মেয়েদের কাছে কিরূপ ভাবে প্রতিভাত গুইয়াছে সেকথাটাও বীর বার তাহার মলেক মপো তোলাপাড়া করিতে লাগিল । তাতার পরে সেদিন বিনয়ের সঙ্গে দেখা ইষ্টল ললিত। সেন নিবাহ কে ই লেব মঙ্গে জিজ্ঞ{স কলিল- “গৌরমোহন বাবুকে সেদিনকার সার্কাসের গল্প বলেচেন ?" এ প্রশ্নের খোচা পিনয়কে গভীর করিয়া বাজিল - কেননা তাহাকে কণমূল রক্তবর্ণ করিয়া বলিতে হইল - “ন, এথনো বলা হয়নি।" লাবণ্য আসিয়া ঘরে ঢুকিয়া কeিল- “বিনয় বা আশ্নন না ।” ললিত কঠিল—“কোথায় ? সকাসে না কি ?” লাবণ্য কছিল--"বাঃ আজ আবার সাক্ষস কোথায় ? আমি ডাকচি আমার রুমালের চার' খে পেন্সিল দিয়ে একট। পাড় একে দিতে- আমি সেলস্তি করব । বিনয় বাবু কি সুন্দর আঁকতে পারেন !” লাবণ্য বিনয়কে ধরিয়া লইয়া গেল । ২০ সকাল বেলায় গোরা কাজ করিতেছিল। বিনয় থামখা ‘আসিয়া অত্যন্ত খাপছাড়াভাবে কহিল—“সেদিন পরেশ বাবুর মেয়েদের নিয়ে আমি সার্কাস দেথতে গিয়েছিলুম।” গোর লিখিতে লিখিতেই বলিল “শুনেছি।” প্রবাসী । s ৭ম ভাগ। গোরা । অবিনাশের কাছে , সেও সেদিন সার্কাস দেখতে গিয়েছিল। গোরা আর কিছু না বলিয়া লিখিতে লাগিল ; গোর এ খবরটা আগেই শুনিয়াছে—সেও আবার অবিনাশের কাছ হইতে শুনিয়াছে, সুতরাং তাহাডে বর্ণনা ও ব্যাখ্যার কোনো অভাব ঘটে নাই--ইহাতে তাহার চিরসংস্কার বশত বিনয় মনের মধ্যে ভারি একটা সঙ্কোচ বোধ করিল। সার্কাসে ফাওয়া এবং এ কথাটা এমন করিয়া লোকসমাজে না উঠিলেই সে খুসি হইত। এমন সময় তাহার মনে পড়িয়া গেল কাল অনেক রাত্রি পৰ্য্যন্ত না ঘুমাইয়া সে মনে মনে ললিতার সঙ্গে ঝগড়া করিয়াছে । ললিত মনে করে সে গোরাকে ভয় করে এবং ছোট ছেলে যেমন করিয়া মাষ্টারকে মনে তেমনি করিয়াষ্ট সে গোরাকে মানিয়া চলে। এমন অন্যায় করিয়াও মাকুধকে মানুষ ভুল বুঝিতে পারে ! গোর বিনয় যে একাত্মা ; অসামান্ত্যতাগুণে গোরার উপরে তাহার একটা ভক্তি আছে বটে কিন্তু তাই বলিয়া ললিত। যে রকমটা মনে করিয়াছে সেটা গোরার প্রতিও অদ্যায় বিনয়ের প্রতি ও অদ্যায়। বিনয় নাবালক নয় এল গোৱাও নাবালকের অছি নতে। . গোরা নিঃশব্দে লিথিয়া যাইতে লাগিল আর ললিতার মথের সেই তীক্ষাগ্র গুটি দুই তিন প্রশ্ন বারবার বিনয়ের মনে পড়িল । বিনয় তাহাকে সহজে বরখাস্ত করিতে পারিল না । দেখিতে দেখিতে বিনয়ের মনে একটা বিদ্রোহ মাথা তুলিয়া উঠিল । সার্কাস দেখিতে গিয়াছি ত কি হইয়াছে ? অবিনাশ কে, যে সে সেষ্ট কথা লইয়া গোরার সঙ্গে আলো, চনা কবিতে আসে- এবং গোরাষ্ট বা কেন আমার গতিবিধি সম্বন্ধে সেই অকালকুষ্মাণ্ডের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেয় ! আমি কি গোরার নজরবন্দী ! কাহার সঙ্গে মিশিব, কোথায় যাইব, গোরার কাছে তাহার জবাবদিহি করিতে হইবে । বন্ধুত্বের প্রতি এ যে বিষম উপদ্রব ! গোর ও অবিনাশের উপর বিনয়ের এত রাগ হইতন যদি সে নিজের ভীরুতাকে নিজের মধ্যে সহসা স্পষ্ট করিয়া উপলব্ধি না করিত। গোরার, কাছে যে সে কোনো কথা