পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هره هه. مدي- - - هو هاء معهم - " هم . يء -هير ১২শ সংখ্যা। ] একবার শেষবার হৃদয়ে আপন টানিয়া মস্তক তার, নত করি শির, কহিল নলিনী মৃদ্ধ, “দয়াময় পিত ধন্যবাদ ।” তার পর সব অবসান। এখনো প্রাচীন বন রয়েছে সেথায়, ছায় হতে বহুদূরে, পাশাপাশি দোহে অনন্ত নিদ্রার কোলে করেছে শয়ন । সেই ক্ষুদ্র গ্রামে, সেই প্রাচীরের মাঝে সেই নগরের বুকে, অচেনা অজানা। কত সহস্ৰেক লোক আনন্দ উল্লাসে . করিতেছে বিচরণ, আনন্দ অন্তরে । তাহাদের দুটি হৃদি শাস্ত চিরতরে, সহস্ৰ হৃদয় ব্যস্ত শত কাৰ্য্যভারে, তাহারা নিস্তব্ধ হয়ে আছে সেইখানে । সহস্র মানব শ্রান্ত জীবনের পথে, তাদের জীবনপথ হইয়াছে শেষ। সেই পুরাতন বনে, ছায়াতলে তার অন্ত জাতি করে বাস। তাহদের ভাষা তাহাদের প্রথা আদি বিভিন্ন সকলি । এখনও সিন্ধুতটে দুচারিটিঘর পুরাতন গ্রামবাসী বাস করে তথা, যাহাদের পিতা আসি নিৰ্ব্বাসন হতে, লভিল বিশ্রাম শান্তি মরণের কোলে আপনার জন্মভূমে। সেই সব গৃহে এখনো সুখেতে সবে কাটায় জীবন, কিশোরী বালিকা.পরে রঞ্জিত বসন । সন্ধ্যার আঁধারে বসি গৃহের মাঝারে কহে নলিনীর কথা । শুনি সেই বাণী কঠিন প্রস্তর খণ্ডে করি প্রতিধ্বনি কারে সিন্ধু। নির্জন অরণ্য সেই স্বরে কাদিয়া জানায় যেন বিষাদকাহিনী । সমাপ্ত । শ্ৰীসরোজকুমারী দেবী। দুই রাজনৈতিক দল। এতকাল পরে, আজ ভারতবাসীর গৌরব-পতাকা ধূলিমান হইয়াছে। ইংরাজী শিক্ষার যাহা শ্রেষ্ঠ নিদর্শন, আজ সেই জাতীয় মহাসমিতির ধ্বংস সাধিত হইয়াছে। ভারতের .৭০৯ প্রকৃত সন্তানগণের অন্তরে আর নিদারুণ শোক-বহ্নি প্রজ্জ্বলিত। যে কংগ্রেসের অভু্যখানে আমরা দূরকে নিকট, অজ্ঞাতকে জ্ঞাত, অপরিচিতকে আপনার করিতে পারিয়াছিলাম ; যাহার অস্তিত্ব আমাদের হৃদয়ে অনাস্বাদিতপূৰ্ব্ব প্রতি-মন্দাকিনীর বিশ্ব-বাঞ্ছিত স্বধা-ধারা প্রবাহিত করিয়াছিল, আজ সেই বিধাতার দুর্লভ দান আমরা স্বেচ্ছায় —আত্ম-মদে পদদলিত করিয়া শতধা বিচূর্ণ করিয়াছি। शं-अनूठे ! 尊 曾 এ ক্ষেত্রেও র্যাহার প্রবীণ, দূরদর্শী দার্শনিকের ভাষায় বলিতে চাহেন যে, “মৃত্যুর মধ্যেই অমৃতের বীজ নিহিত রহিয়াছে,” আমি বলি—তাছাদের অমৃত-স্ৰাবী মুখে প্রস্থন বর্ধিত হৌক ; কিন্তু আমি সে কথায় আর আশ্বস্ত হইতে প্রস্তুত নহি। অদৃষ্টের দোহাই দিতে দিতে, অবিরাম দার্শনিকতার রহস্ত-সাগরে নিমগ্ন হইতে হইতে আমরা ক্রমে নরকতামিত্রের গুহ্যদ্বারে প্রবেশোদ্ভত হইয়াছি। আজ আর উপযাচিত, সুখ-শ্রাব্য এ সকল আশ্বাসবাণী শুনিতে চাহি না –ঢের হইয়াছে ! অস্বাভাবিক বা অশোভন হইলেও, যাহাদের দেহে শক্তি সঞ্জাত হইয়াছে তাহদের পক্ষে অকারণ, অবিশ্রান্ত তাণ্ডব-নৃত্য তাদৃশ অনিষ্টের হেতু হয় না। কিন্তু, ব্যাধিক্লিষ্ট, শীর্ণ দেহে, যাহারা মত্ত মাতঙ্গের অনুকরণে, দমনেচ্ছায়, হিংস্র পশুর সহিত বিবাদ বাধাইয়া দিয়া, আপনাদেরি অঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করে তাহদের প্রতি যমরাজ কখনোই বিমুখ নহেন। এই সকল হতভাগ্যেরা যদি শিশু হইতেন তবে তাহাদের সংঘর্ষে গুরুমহাশয়ের বেত্র-দণ্ডের কাঠিন্য পরীক্ষিত হইত। কিন্তু কি বলিব ?—ইহঁাদের অনেকেরই এক্ষণে এককাল মাত্র অবশিষ্ট রহিয়াছে ! ংগ্রেসের “দক্ষ-যজ্ঞ”-ব্যাপারে কেহ কেহ আজো যে উল্লাস-প্রকাশে কুষ্ঠিত নন, তাহ দেখিয়া মনে হয়—ঐ হাস্ত-বিভার সঙ্গে সঙ্গেই বুঝিবা আজ বড় আশার দিনমণি ভারতের অদৃষ্টাকাশ ক্ষণতরে উদ্ভাসিত করিয়া প্ৰলয়সন্ধ্যারি স্বচনা করিতেছে। “আসর কালের বিপরীত বুদ্ধি" আর কাহাকে বলে ? s কংগ্রেস তো গেল। কিন্তু যাইবার সময়ে যে

  • এই প্রবন্ধ গত পৌষ মাসে জামাদের হস্তগত হইয়াছিল। স্থান

তাৰে ইতিপূৰ্ব্বে প্রকাশ করিতে পারি নাই।--প্রবাসী সম্পাদক। রাখিয় গেল তাহ কি কোন ব্যক্তি বিশেষকে পান করিতে