পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३*~ উত্যক্ত হইয়া উড়িয়া যাইতে দেখি নাই। সুতরাং অম্বুমান করা যাইতে পারে ডেরে উহাদিগকে বিরক্ত না করিয়৷ বরং যত্ন করে। যে গাছে ভেড়ার ডিমপাড়ে সেই গাছের গোড়ায় অথবা নিকটেই ডেয়েরা বাসা করিয়া থাকে। কয়েক জাতীয় পিপীলিকাকে শিকড্‌ভোজী একপ্রকার পোকা পুষিতে দেখা গিয়াছে। পগুরক্ষা বিষয়ে নাল শো বা লাশাদের কৌশল অতি চমৎকার। আম, ক্ষরিকুল প্রভৃতি বৃক্ষের তলায় উপস্থিত হইলে সময়ে সময়ে একপ্রকার পোকা চোখে মুখে পড়ে, অনেকে হয়তঃ ইহা লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন। উহার পিপীলিকাদিগের একজাতীয় গরু। ঐ সকল গাছের পাতা ૭ ডালের উপরে সাদা রঙের একপ্রকার জাব পোকা (aphides) বাস করে (২য় চিত্র ক)। নালশোর উহদিগকে পুষিয়া থাকে। পোকাগুলি* উড়িতে পারে না কিন্তু অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত একস্থানে থাকিতে পছন্দ করে না। বিশেষতঃ ছানাগুলি সৰ্ব্বদাই চলিয়া বেড়ায় । ইহারাও এক প্রকার গরু। গরুগুলি যাহাতে পলাইতে না পারে সেইজন্ত নাল শোর জাল বুনিয়া উহাদিগকে ঘিরিয়া রাখে। এখানে বলিয়া রাখা ভাল যে আম প্রভৃতি গাছের পাতায় তুলার তাশের মত একপ্রকার সাদা রঙের পদার্থ দ্বারা জোড়া বাসা অনেক সময় দেখা যায়। ঐ সকল বাসায় কমলা রঙের এক প্রকার ডেয়ে বাস করে, উহাদের হুল নাই ; তীক্ষ দাড়াদ্বারা ক্ষত করিয়া উদরের অগ্রভাগ পৃষ্ঠের উপর দিয়া ঘুরাইয়া আনিয়া উহারা ক্ষত স্থানের উপর এক প্রকার রস বা বিষ নিক্ষেপ করে। ইহারা মাটির মধ্যে অন্ধকারে বাস করে না, এই পিপীলিকার নাম নাল শো উসো বা লাসা। এই নালশোদিগের সহিত পূৰ্ব্বোক্ত গরু (ক) দিগের বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ দেখা যায়। অনেক বাসায় ঐ গরু দেখা যায় না। সেইসব বাসায় নালশোরাও বাস করে না। যে সকল বাসায় ঐ গরু দেখা যায় কেবল সেই সকল বাসায় উহার বাস করে। ইহা হইতে স্পষ্টই মনে হয় না কি যে নালশোর উহাদিগকে পুষিয়া থাকে ? নতুবা অনস্লাসে উদরসাৎ করিবার ক্ষমতা সত্ত্বেও খায় প্রবাসী । .م. --سمی ৭ম ভাগু। [ ל না কেন ? বরং মধ্যে মধ্যে ২১টি পিপীলিকা গরু মুখেকরিয়া একবাসী হইতে অন্ত বাসায় লইয় যায়। বাসার মধ্যে যেখানে যেখানে বড় বড় গঃ দলবদ্ধ হইয়া বাসকরে সেই সকল “বাথানে” ( প্রশাখা বা পত্রবৃন্তে ) পিপীলিকারা সৰ্ব্বদা ঘোরা ফেরা করে। গরুগুলির উদরের অগ্রভাগে পিঠের উপরে দুইটী বাট থাকে ( ২য় চিত্র খ )। ঐ বঁট হইতে বিন্দু বিন্দু মিষ্ট রস বাহিল হয়। ঐ রস বা দুগ্ধ নাল শোদের বড় প্রিয় খাদ্য। যখন কোন পিপীলিকার ক্ষুধার উদ্রেক হওয়ায় বা অন্ত কারণে গরু দোহনের প্রয়োজন হয় তখন সে কোন একটী গাভীর বঁাটের নিকটে শুং । দিয়া সুড়সুড়ি দেয়। কিছুক্ষণ পরেই গাভীর বাট হইতে দুধ বাহির হয়। পিপীলিকাটা উহ জিহবার সাহায্যে বিড়লের দুগ্ধ পানের দ্যায় চাটিয়া খায়। প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ডারবিন (Darwin) বলেন গাভীগুলি ঐ দুধ না দোহা পৰ্য্যন্ত রক্ষা করে। প্রস্থতির দ্যায় দুগ্ধ পান করাইতে না পারিলে অসুবিধা মনে করে। আশ্চৰ্য্য বটে। সামান্ত একটু চেষ্টা করিলে সকলেই নাল শোর দুগ্ধপান পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে পারেন। বিশেষ আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে গাভীগুলি কামধেনুবিশেষ। পিপীলিকারা পুনঃ পুনঃ দোহন করিলেও বিশেষ বিরক্তি প্রকাশ করিয়া উহাদের নিকট হইতে অন্যত্র যাইবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করে না। ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পিপীলিকা ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পোকা পুষিয়া থাকে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি পিপীলিকার সাধারণতঃ অন্ধকারময় স্থানে—মৃত্তিকাভ্যস্তরে বা বৃক্ষকোটরে বাসা প্রস্তুত করে। এই অন্ধকারময় বাসায় সৰ্ব্বদা থাকায় কোন কোন জাতীয় গরু (aphides) অন্ধ হইয়া যায়। তখন অন্ধদিগের পোষণের ভার চালকদিগের উপরে পড়ে। পাশ্চাত্য পণ্ডিত লেস্পিস (Lespes) একযায় দেখেন ষে একটা পিপীলিকা একটা গরুকে (Lome chusa) আহার করাইতে ছিল। কতকগুলি পিপীলিকা চিনি খাইতেছিল। গরুটি একটা পিপীলিকার নিকটে গিয়া শুং দিয়া উহার মাথায় কয়েকবার সুড়সুড়ি দেয়। পিপীলিকাটি হঁ করিয়া উহাকে আহার করায়। আশ্চৰ্য্য এই যে গরুটি চিনির উপর চলিলেও উহা খাইতে সক্ষম বলিয়া বোধ হয় নাই।

  • Platyarthrus Hoffmanseggii.
  • Beckią, claviger, platyarthrus striw ** t