পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৭১

৭ম সংখ্যা । ] رده - و «معه همه به ۰ মুসাবিদা করে এনেছি। স্বকুমার বাবুর টেলিগ্রামে আমার প্রতি যথেষ্ট গলাগলি নেই। সেইটে বড় দরকার। ata csttzxatwfa **töi wix welcome to Pandemoniumটা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হবে । ওটা বড় dramatic হয়েছে। সাধারণের কল্পনাকে ভারি উত্তেজিত করবে ।” - - $ জগৎবাবু টেলিগ্রাম নকল করিয়া তৎক্ষণাৎ রওনা করিয়া দলেন । 蠟 পরদিন প্রাতঃকালে স্থবোধ বাবু সেই মাত্র গাত্ৰোখান রিয়া বাহিরে আসিয়াছেন, দেখিলেন কোতোয়ালি হইতে ইজন দারোগ আসিয়া উপস্থিত। একজন দারোগ বলিল -“মশায়---শুনলাম না কি কাল আপনি যখন দরবার থেকে ফরছিলেন, তখন কে ছাদ থেকে আপনার গায়ে গোবরগালা জল ফেলেছে ?” “ফেলেছিল বটে।” “এ কথা সাহেবদের কাণে গেছে । পুলিস সাহেব আমাfর হুকুম দিয়েছেন, আপনি যদি মোকদ্দমা চালাতে ইচ্ছা রেন, তবে আমরা সাক্ষী প্রমাণ ইত্যাদি সংগ্রহ করে আপনাকে সাহায্য করব। দুঃখের বিষয় এটা পুলিস গ্রহণীয় কির্দমা নয়। হলে আমরা কালই সে বাড়ীর ধাড়ি বাচ্ছা বাইকে ধরে নিয়ে গিয়ে হাজতে পুরতাম। আপনি আজ কটা নালিস করে দিন ।” সুবোধ বাবু বলিলেন—“কাউকে ত দেখতে পাইনি, fর নামে নালিস করব ?” • “ও বাড়ীতে ছেলে পিলে যারা আছে তাদের নাম iমরা এখনি সংগ্রহ করে দিচ্ছি। আর তাদের বাপ, উকীল বুট, তিনি নিশ্চয়ই ওদের abet করেছেন। তাৰও নাম গিয়ে দিন ।” স্ববোধ কিছুক্ষণ চিন্তা করিলেন। শেষে বলিলেন— লিস সাহেবকে আমার সেলাম জানিয়ে বলবেন-আমি ত উকে দেখতে পাই নি—কাউকে সেনাক্ত করতে পারব এ অবস্থায় নালিস করলে কোনও ফল হবে না।” দারোগ বাবুর,সুৰনৰ্বঃখিত মনে প্রস্থান করিলেন। ಇಳ್ದ "যে ছেলেরা আমার মাথায় গোবর জল ঢেলেছিল-তায় । तेळेश्रोrन বুদ্ধি। 8xt আমার আশাতীত উপকার করেছে। খবরটা এতক্ষণ বোধ হয় কলকাতায় বেরিয়ে গেল। সমস্তটা জড়িয়ে এমন একটা হৈ চৈ উপস্থিত হবে যে আমার কার্য্য সিদ্ধি হতে বেশী বিলৰ হবে না।” : - বাস্তবিক তাহাই হইল । তিন দিনের মধ্যে দেশময় টী টী পড়িয়া গেল। ইংরাজি কাগজ হইতে এই সংবাদ নকল করিয়া বাঙ্গলা কাগজের সম্পাদকের দীর্ঘ দীর্থ গালিপূর্ণ প্রবন্ধ লিখিলেন। কেহ কেহ লিখিলেন—“এমন স্বদেশদ্রোহীকে অবিলম্বে সমাজচ্যুত করা উচিত।” একজন রসিক লেখক “স্ববোধ বাবুর পাপমুক্তি" নামক একটি কবিতায় লিখিলেন, গোবরজল অতি পবিত্র জিনিষ। লাটদরবারে ফুলার সাহেবের সহিত করমর্দন করিয়া স্থবোধ বাবুর যে পাপসঞ্চয় হইয়াছিল,—গোবরজলে তাহ ধৌত হইয়া গিয়াছে। এই উপলক্ষ্যে ইংলিশম্যান প্রভৃতি কাগজেও সুবোধ বাবুর নাম উঠিয়া গেল। ইংরাজ সম্পাদকগণ লিখিলেন পূর্ববঙ্গে বাস্তবিক এখনও বহু বহু রাজভক্ত শিক্ষিত লোক বিদ্যমান আছেন, কেবল বদমায়েস লোকের হস্তে লাঞ্ছনার ভয়ে তাহারা নিজ রাজভক্তি প্রকাশ করিতে সক্ষম হন না। স্থবোধ বাবুর সৎসাহসের প্রশংসাও বাহির হইল। এ দিকে, দিনাজুসাহীতে স্থবোধ বাবুর গঞ্জনার সীমা রহিল না । বারলাইব্রেরীতে প্রবেশ করিলেই অঙ্গাষ্ঠ উকীলগণ তাহাকে গুনাইয়া শুনাইয়া তীব্র মন্তব্য করিতে লাগিলেন। স্থবোধ বাবুর অনুপস্থিতি কালে একজন উকীল একদিন জগৎবাবুকে বলিলেন—“কিহে তোমাৰ বন্ধুর মতলবটা কি ? দারোগ হতে চায়, না ডেপুটি হতে छात्र, ना কি হতে চায় ?” - জগৎ বাবু রাগিয়া বললেন—“আরে মশায়, জিজ্ঞাসা করবেন না। ও লোকটার উপর মৰ্ম্মান্তিক চটে গেছি।” । “তোমার সঙ্গে ওর এত বন্ধুতা—” & - অপমান বোধ হয় ।” “তোমার সঙ্গে কিছু কথাবার্তা হয়েছে ? এমনটাই করলে কেন ? মাথা খারাপ হয়ে গেল না কি ?” . . জগৎ বাবু মুখখানা ছাড়ি করির বলিলেন—“আমি ওঁঙ্গ’ সঙ্গে সেইদিন থেকে কথাবার্তা বন্ধ করেছি।” ' '