পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ミや দ্বীপ দান করেন । চহার অল্প দিন পরে ১৭৫৯ খ্ৰীঃ সিরিয়াম বলৱন্থ ফরাণিণ কি প্রদায় পেণ্ডানদিগের সহিত ষড়যন্ত্র করার অপরাধে অভিস ক্রু ঠন । ইংরাজদিগের সহিত ঐ ষড়যন্ত্রের কোন ও সর্শণ ছিল কি না পলিতে পারি না। কিন্তু, ঐ বৎসর নিগ্রেস্তস দ্বীপস্থ প্রায় সমুদায় ইংরাজদিগকে হত্যা করার কথা ইগুয়াতে পোপ হয় ইংরাজের ষড়যন্ধের সহিত এক বাবে অস-শ্লিষ্ট ছিলেন না। ইংরাজের ক্ষতিপুরণের দাদী করিয়া কাপ্তেন আ হুসকে পৰ্ম্মার প্রেরণ করেন, কিন্তু তিনি পৌছিলার পূৰ্ব্বেষ্ট রাজা আলোম্প্রার মৃত্যু ঘটে। আলোম্প্রার মৃত্যুর পর তাতার দ্বিতীয় পুত্র সিন-বিউশিন সিংহাসন অধিরোহণ করেন । এই সময়ে ইংরাজের ভারতবর্ষে নানারূপে ব্যস্ত থাকায় নিগ্রেফস দ্বীপের হত্যকাণ্ডের প্রতিশোধ লইলার অবসর পান নাই । সিন-বিউশিন অত্যন্ত প্রতাপাঙ্গিত ছিলেন। তিনি মণিপুর হইতে মিকং নদী পর্য্যস্ত সমগ্ৰ ভূখণ্ড স্বরাজ্যভুক্ত করেন, চীনদিগের সহিত কয়েকবার সদ্ধে জয়লাভ করেন, শ্রাম রাজধানী আক্রমণ ও ধ্বংস করেন এবং শান রাজ্যে নিজের প্রভুত্ব স্থাপন করেন । হার রাজত্বকালের পর শুঠতে চামের সচিত ধৰ্ম্মার আর বিশেষ কোনও মনোমালিন্ত হয় নাই । চীনেরা কিন্তু সিন-পিউ-শিন কত্ত্বক পরাভব স্বীকার করেন না। তাহারা বলিয়া থাকেন, বহু পূৰ্ব্ব হইতে ধৰ্ম্মার উপর তাহাদের আধিপত্য চলিয়া আসিতেছিল, এবং সিন-বিউশিনের সময়েও সেই সম্বন্ধ অক্ষুণ্ণ রাখিলার জন্য সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। সিন-বিউ-শিনের মৃত্যুর পর সিংহাসন লইয়া তাহার ংশধরদিগের মধ্যে বিবাদ আরম্ভ হয় এবং অবশেষে ১৭৮২ খ্ৰীঃ বে-ড-কায়া রাজ্যাধিকার প্রাপ্ত হন । ইহার সময় হইতেই বৰ্ম্মার সহিত ইংরাজের রাজনৈতিক সম্বন্ধ আরম্ভ হয়। এই সময়ে ভারতবর্ষের গভর্ণর-জেনারেল সর জন শোর বম্মার সহিত ইংরাজের বাণিজ্যসম্বন্ধ ঘনিষ্ঠতর করিবার নিমিত্ত এবং বৰ্ম্মায় ফরাশি ক্ষমতা বিস্তার বন্ধ করিবার নিমিত্ত দূতস্বরূপ কাপ্তেন সাইমসকে বৰ্ম্মারাজের নিকট প্রেরণ করেন। ইংরাজের বলিয়া থাকেন, যে ইতিমধ্যে বৰ্ম্মারা চট্টগ্রাম সীমান্তে গোলযোগ উপস্থিত করিয়াছিলেন। কাপ্তেন সাইমসের দৌত্যের ফলে রেজুনে ইংরাজ রেসিডেন্সি প্রবাসী । স্থাপিত হয় এবং কাপ্তেন হিরাম্ কক্স্ গভর্ণর-জেনারেলের [ ৭ম ভাগ । bas প্রতিনিধি হইয়া ১৭৯৬ অব্দে রেজুনে উপস্থিত হন ; কিন্তু অল্পদিন পরেই বৰ্ম্মাদিগের ব্যবহারে বিরক্ত হইয়া তিনি কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন। এই সময়ে ইংরাজ বণিকদিগের সহিত, স্থানীয় রাজকৰ্ম্মচারীদিগের মনোমালিন্ত আরম্ভ হয়। ইহার ফলে লর্ড ওয়েলেসলি পুনরায় কাপ্তেন সাইমসকে ১৮০২ খ্ৰীষ্টাব্দে বৰ্ম্মায় প্রেরণ করেন। কথিত আছে কাপ্তেন সাইমস্ এই যাত্রায় বিশেষরূপে নিগৃহীত ও অপমানিত হইয়া ফিরিয়া যান। ইহার পরেও ভারত গভর্ণমেণ্ট বৰ্ম্মার সহিত সন্ধিস্থাপনের জন্য কয়েকবার বিফল প্রয়াস করিয়াছিলেন । ইংরাজের! বলিয়া থাকেন যে ফরাশির ভরসায় সাহসী হইয়াক্ট বায়ারাজ এই সময় তাহাদিগের সহিত অসদ্ব্যবহার করিবার স্পর্দা করিয়াছিলেন । ইহার পর ১৮২৫ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংরাজেরা বৰ্ম্মার সহিত যুদ্ধ ঘোষণা করেন । ইংরাজ ঐতিহাসিকের স্বীকার করেন যে ঐ সময়ে লৰ্ম্ম অত্যন্ত ক্ষমতাপন্ন এবং বৰ্ম্মারাজ্য সুবিস্তীর্ণ ছিল। মণিপুর, আসাম ও কাছাড় ঐ সময় বৰ্ম্ম রাজ্যভুক্ত ছিল। বৰ্ম্মা সৈনিকের অত্যন্ত সাহসী ও সুনিপুণ ছিল। প্রথমে সিলেট ও আসামে যুদ্ধ আরম্ভ হয়, এবং বৰ্ম্মার ইংরাজ সৈন্যকে পরাভূত করে। বৰ্ম্ম সেনাপতি মহাবাঙুল কয়েকবার ইংরজিদিগের দ্বাদশ সহস্র সৈন্তকে বিত্রস্ত করিয়া তুলিয়াছিলেন । যুদ্ধের পর ১৮২৬ খ্ৰীষ্টাব্দে ইয়ানদেবুতে বৰ্ম্মর সহিত ইংরাজের সন্ধি হয়। সন্ধির ফলে আরাকান, টেনাসেরিম, মার্টাবানের কতক অংশ, কাছাড় ও আসাম ইংরাজের লাভ করেন, এবং মণিপুর “স্বাধীন অথচ ইংরাজের অধীন” এইরূপ সাব্যস্ত হয় । যুদ্ধের পরেও বৰ্ম্মারাজ ইংরাজের সহিত অসদ্ব্যবহার করিতে থাকেন বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে। অবশু ইহা তাহার নিতান্ত দুরদৃষ্টিরষ্ট পরিচায়ক। লর্ড ডালহৌসি লিথিয়াছেন, “of all the Eastern natives with which the Government of India has had to do, the Burmese are the most arrogant and overbearing. * * *" stofia ਚੋਿ, দ্বারা ইংরাজের বুঝাইতে চাহেন যে ১৮৫২ খ্ৰীষ্টাব্দে বৰ্ম্মার বিরূদ্ধে যে দ্বিতীয় অভিযান প্রেরিত হয় তাহ অকারণ অথবা ইংরাজের রাজ্য