পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৩২ e পরিগণিত হয়। কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শান জমিদারী লষ্টয়া এক একটা শান্ রাজ্য গঠিত হইয়াছে। বলা বাহুল্য যে, সুপারিন্টেগুেন্টের বিনানুমতিতে ঠহাদের একপদও অগ্রসর হইবার ক্ষমতা নাই। শান জমিদারদিগকে ‘সওবোয়া’ বলে। একজন সিওবোয়ার মৃত্যু হইলে তাহার উত্তরাধিকারাকেই সাধারণতঃ ‘সওবোয়া’ নিযুক্ত করা হয় এবং গভর্ণমেণ্ট হইতে র্তাহাকে একথানি ‘সনন্দ’ অথবা নিয়োগপত্র দেওয়া হয় । তিনি সেক্ট নিয়োগপত্রে লিখিত নিয়মে প্রজাপালন করিতে বাধ্য থাকেন, এবং নিয়ম লঙ্ঘন করিলেই সমুচিত শাস্তি পাষ্টয়া থাকেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘সওবোয়’দিগের মধ্যে নিম্নলিপিত ৪ জন 'সওবোয়া’ অপেক্ষাকত প্রসিদ্ধ। উহাদের প্রত্যেকের জন্ত ৯টা করিয়া তোপ ধ্বনি নির্দিষ্ট আছে – (১) কেংটং সিওবোয়া’ (২) মংনেই , (৩) সিপ so (৭) ইয়ংঙ্গেয়ে , ১৮৯৭ খ্ৰীঃ যখন বৰ্ম্মার জন্য ছোটলাটের সষ্টি হয়, সেই সময় একটা ব্যবস্থাপক সভারও স্ষ্টি হয়। এই সভায় ছোটলাট ব্যতীত ৯ জন সভ্য নিৰ্ব্বাচিত হইয়া থাকেন । ৯ জন সভোর মধ্যে ৫ জন সরকারী ও ৪ জন বেসরকারী। অন্তান্ত ব্যবস্থাপক সভার দ্যায় এখানে সভোরা যথেচ্ছা প্রশ্ন করিবার অথবা বাৎসরিক আয় বায় নিৰ্দ্ধারণ বিষয়ে মন্তব্য প্রকাশ করিবার ক্ষমতা হইতে বঞ্চিত । ১৯০৫ খ্ৰীঃ পৰ্য্যস্ত বৰ্ম্মায় বিচার ও শাসনবিভাগের বিশেষ কোনও পার্থক্য ছিল না। ঐ সময় দক্ষিণ বৰ্ম্মার জন্য ৫ জন বিভাগীয় বিচারকত্ত্ব, ও ৭ জন ডিষ্ট্রক্ট জজ নিযুক্ত হইয়াছেন । এতদ্ব্যতীত আমাদের দেশের সবজজ ও মুন্সেফ শ্রেণীর কৰ্ম্মচারীও ঐ সময় দক্ষিণ বন্মায় নিযুক্ত হইয়াছেন। এখন প্রায় প্রধান প্রধান সকল স্থানেই বিচার ও শাসন বিভিন্ন কৰ্ম্মচারীর হস্তে দ্যস্ত আছে। উচ্চ বৰ্ম্মায় কিন্তু এখনও সেরূপ ঘটে নাই । সেখানে বিভাগীয় কমিশনরগুলিই বিভাগীয় বিচার ও শাসন কর্তা । কেবল মন্দালয়ে একজন ডিষ্ট্রিক্ট ও অতিরিক্ত সেসন জজ আছেন । & oth coins cotas cotto Headquarter's প্রবাসী । - ۰ *** ب- دهه * مجی. » * هر - * [ ৭ম ভাগ । - “...”., “"“... Assistant নামক কৰ্ম্মচারী আছেন বটে কিন্তু তাহারা জেলার ডেপুটী কমিশনরদিগের সহকারী ব্যতীত অন্ত কিছু নহেন। উত্তর বর্ষার সর্বপ্রধান বিচারকের নাম জুডিগুলি কমিশনর। ইহার কাছারী মন্দালয়ে। বিভাগীয় কমিশনরদিগের নিকট হইতে যে কোনও আপীল ইহারই নিকট নিষ্পত্তি হইয়া থাকে। দক্ষিণ বৰ্ম্মায় একটী চীফকোর্ট আছে । ফৌজদারী ও দেওয়ানা মোকৰ্দমা সম্বন্ধে কলিকাতা হাইকেটের যে ক্ষমতা দক্ষিণ বৰ্ম্মায় চীফকোটেরও সেই ক্ষমতা । ১৯০০ খ্ৰীঃ এই চীফ কোট স্থাপিত হয় । এই বিচারালয়ে এখানে ৪ জন বিচারক নিযুক্ত আছেন। তন্মধ্যে দুইজন সিভিল সাৰ্ব্বিসের কৰ্ম্মচারী ও অপর দুইজন ব্যারিষ্টার জজ। এই বিচারালয়ের বক্তমান বিচারপতি সৰ্ব এডওয়ার্ড ফক্স, পূৰ্ব্বে ব্যারিষ্টারা করিতেন। পূৰ্ব্বে লিপিত হইয়াছে যে ইংরাজ আমলের পুৰ্ব্ব হইতে এখন পর্যান্ত এদেশবাসীদিগের প্রাথমিক শিক্ষা বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মযাজকদিগের হস্তেই দ্যস্ত আছে। ইংরাজেরাও এই প্রণালীর পরিবর্তন আবশু্যক মনে করেন নাই । এই সমস্ত বিদ্যামন্দিরে দুরূহ বিষয় শিক্ষিত হয় না--সামান্ত হস্তলিখন, পাটীগণিত আবৃত্তি ইত্যাদি ইঙ্গদের শিক্ষিতব্য বিষয়। ধৰ্ম্মায় অনেকগুলি মিশনরি স্কুল হইয়াছে বটে, কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে এপ্রনও দেশীয় বিদ্যামন্দিরগুলিই প্রধান স্থান অধিকার করিয়া আছে। ফলতঃ এখানে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে সরকারের বিশেষ আগ্ৰহ দেখিতে পাওয়া যায় না । বৰ্ম্মার জন্ত এখনও স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্পষ্ট হয় নাই এবং শাস্ত্র হইবে এরূপ আশাও নাই । ১৮৮২ খ্ৰীঃ এখানে একটী এডুকেশনাল সিণ্ডিকেটের সৃষ্টি হইয়াছে। এই সিণ্ডিকেট স্থানীয় পরীক্ষা পরিচালন করেন ও নিম্নশিক্ষা সম্বন্ধে সরকারকে পরামর্শ দিয়া থাকেন । ১৮৮৩ খ্ৰীঃ হইতে এই সিণ্ডিকেটে একজন বাঙ্গালী সদস্ত কাৰ্য্য করিতেছেন ; ইহার নাম শ্ৰীযুক্ত পুর্ণচন্দ্র সেন, ব্যারিষ্টার এটু-ল। রেজুনে একটা প্রথম শ্রেণীর সরকারী কলেজ আছে । এই কলেজেও একজন বাঙ্গালী অধ্যাপক আছেন ; ইহার নাম শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণপ্রসাদ দে, এম, এ, (রায় চান্ধ প্রেমচাঁদ বৃত্তি প্রাপ্ত )। রেজুনে একটা বেসরকারী দ্বিতীয় শ্রেণীর কলেজ আছে। দুইটী কলেজই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তভুক্ত। বৰ্ম্মায় স্ত্রীশিক্ষা ক্রমশঃই বিস্তৃত