পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

رانا ہ لا অপেক্ষ লজ্জার বিষয় আর কি হইতে পারে ? অর্থাৎ অন্ততঃ তিন হাজার বছরের বৃদ্ধ পলিতকেশী সৰ্ব্বোচ্চধৰ্ম্মমণ্ডিত ভারতজননীর কাছে উপদেশ লক্টতে অৰ্ব্বাচন আমেরিক কুষ্ঠিত, কেন না, ভারতমাত পশুবলে তাহার নিকট লীনা । সুতরাং ধৰ্ম্মোপদেশের দ্বারা ইউরোপের অজ্ঞানান্ধকার দূরের চেষ্টা বৃথা । চিকিৎসা দুষ্ট প্রকারে হয়—ঔষধ প্রয়োগ ও অস্ত্রাঘাত । ঔষধে না সারিলে অস্ত্রাঘাত অবশ্য করণীয়। সুস্থশরীরে অস্ত্রাঘাত প্রেমবিরোধী, অসুস্থ শরীরে না করাষ্ট প্রেমবিরোধী। স্বাভাবিক শরীরে বিষ দেওয়া অদ্যায়, কিন্তু বিকারগ্রস্ত সস্তানকে মা নিজহস্তেই বিষ দেন,তাঙ্গ মাতৃত্বের বিরোধী নহে। এসিয়fবাসী শ্বেতকায়গণের হস্তে যে ব্যবহার পাইতেছে তাহাতে যদি সমগ্র এসিয়াবাসী আজ প্রতিজ্ঞা করে এবং সে প্রতিজ্ঞা ধৰ্ম্মবুদ্ধিতে পালন করে যে সমস্ত শ্বেতপুরুষকে পদাঘাতে এসিয়া হইতে দূর করিয়া দিবে তাহা ইষ্টলে কিছুই অল্পায় হয় না । ইঙ্গ প্রতিহিংসা নহে, কেন না, ইউরোপের মদীন্ধত, তাহাব ঐশ্বৰ্য্যবিকার নিবারণের অন্ত ঔষধ নাই, অন্ত উপায় নাই । ইহাতে কেবল এসিয়ার কল্যাণ নহে, ইউরোপের ও সমুহ কল্যাণ, বিশ্বমানবের কল্যাণ । এ কথা ঠিক যে পাশ্চাত্য সভ্যতায় এমন অনেক জিনিষ আছে যাঙ্গ ছাড়া বিশ্বমানব পূর্ণতা লাভ করিবে না। এ কথা আরও ঠিক, প্রাচ্য সভ্যতায় এমন সকল অমূল্যরত্ন আছে যাহা গ্ৰহণ না করিলে বিশ্বমানব অপূর্ণ থাকিয়া যাইবে। ইউরোপ এক উদাম রাজ্য-ও-ধন-পিপাসায় মগু হইয়া পাশ্চাত্য কলুষিত করিতেছে। এ পিপাসা দমন না হইলে সভ্যতাস্বৰ্য্য মেঘমুক্ত হইবে না, করদানে জগৎকে উপকৃত করিবে না । ইউরোপীয় সভ্যতার কল্যাণের জঙ্গই এই পিপাসা দমন অত্যাবস্তক কিন্তু আঘাত না পাইলে এ পিপাসা দমন হইবে ন। এ জগতের কল্যাণের জন্ত এসিয়াকে এই আঘাতের জন্ত প্রস্তুত হইতে হইবে । এবং এই আঘাত দিবার শক্তি লাভ করলেই প্রাচ্য সভ্যতা জগতের গ্রহণীয় বলিয়া স্বীকৃত হুইবে । বিশ্বমানবের যে অনস্ত উন্নতিস্রোত শ্বেতকায়গণের ঐশ্বৰ্য্যমদান্ধতারূপ শিলাখণ্ডে আটকাইয়া গিয়াছে, জননী এসিয়াকে তাহ পদাঘাতে দূরীভূত করিয়া সে স্রোতের মুখ সে জমা এসিয"বাসীও যে মারুষ, সভ্যতাকে ••*ि** गिरता कठेrर ॥ প্রবাসী । শুক্লজাতি সকলের নিকট সৰ্ব্বাগ্রে প্রতিপন্ন করিতে হইবে । [ ৭ম ভাগ । পদাঘাত ছাড়া অন্ত যুক্তি তাহারা স্বীকার করিবে না। দৃষ্টান্ত হাতের কাছেই আছে । জাপানের সভ্যতা, তাহার ধৰ্ম্ম ও নীতি, এখনও যাহা, ত্ৰিশবছর পূৰ্ব্বেও তাহাই ছিল। কিন্তু জাপানবাসী দশবছর "soff's “Little monkeys of the Far East" ছিল। ইউরোপীয়গণের চক্ষে পশুবলগৰ্ব্বজনিত অজ্ঞানতার ছানি এমন পুরু হইয় পড়িয়া গিয়াছে যে তাহারা দেখিতেই পায় না, ইউরোপের বাহিরে আবার সভ্যতা আছে, খৃষ্টধৰ্ম্মের বাহিরে আবার ধৰ্ম্মনীতি আছে। এ অজ্ঞানত কিছুতেই গেল না, একটা পদাঘাতের অপেক্ষায় বসিয়া রহিল। কিন্তু যেই জাপান পদাঘাতে যাহার ভয়ে বিগত পচিশ বছর ইউরোপ থরহরি কম্পিত ছিল সেই রুষ ভল্লককে ভূতলশায়ী করিয়াছে, অমনি ছানি খসিয়া পড়িয়াছে, জাপানের সভ্যতা, ধৰ্ম্ম ও নীতি সপ্তম স্বর্গে উঠিয়াছে । ইষ্ঠাতে জাপান যে কেবল সন্মানিত ও গৌরবান্বিত হইল তাহা নহে, বিশ্বমানবের উন্নতির এক অধ্যায় জগতের চক্ষের নিকট উদ্ভাসিত হইল। যুদ্ধ স্বাভাবিক অবস্থায় বিশ্বপ্রেমের পক্ষে বিষ। কিন্তু রাষ-জাপযুদ্ধ বিশ্বপ্রেমের দ্বিদ্বার डेयूक्व করিয়াছে । আজ ঐ “Little monkey” গণের সঙ্গে প্রেমস্থত্রে আবদ্ধ শুইবার জন্য মদগৰ্ব্বিত ইউরোপ লালায়িত, পদাঘাতে প্রেম উদ্বুদ্ধ। সুতরাং এ পদাঘাত প্রেমবিরোধী নহে । আমরা ইতিপূৰ্ব্বে যে প্রাচ্য সভ্যতার কথা বলিয়াছি, ভারত সে সভ্যতার একমা এ না হক্টলেও সৰ্ব্ব প্রধান আকর। সুতরাং বিশ্বমানবের চিরকল্যাণের জন্ত ভারতকে জাপানের পদবী লাভ করা কত প্রয়োজনীয় তাঙ্গ সহজেই অনুমেয়। সে কল্যাণসাধনের জন্ত ভারতকে আত্মপ্রতিষ্ঠ হইতে হইবে । কিন্তু ভারতের অবস্থা কি ? ভারতবাসী যে মানুষ জগৎ তাহ স্বীকার করিতেছে না । এরূপ স্থলে ভারতের ritor sfērā fātçfasst? FÉRJ (God-appointed Mission) সাধন একেবারেই অসম্ভব। দাসীর কাছে কেহ ধৰ্ম্মোপদেশ শুনিবে না ! সেই জন্যই ভারতে স্বরাজ প্রতিষ্ঠা বিধাতার বিধান রূপে উপদিষ্ট হইয়াছে । ইহা যদি বিধাতার বিধান না হয় তবে বিধান কি জানি না। এবং সেই জন্তষ্ট ভিক্ষালব্ধ স্বরাজে কাৰ্য্যসিদ্ধি হইবে না। জগৎকে বিলে