পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواه لا গেল, এখন সামাজিক বহিষ্কার বা ব্ৰহ্মদণ্ডের দুইটি দৃষ্টাস্তের উল্লেখ করিয়া উপসংহার করা ষাকৃ। বুদ্ধদেব যে মৃত্যুর অব্যবহিত পূৰ্ব্বে জনৈক শিষ্যকে উপদেশ দ্বারা স্বমতে আনিতে অসমর্থ হইয় তাহার প্রতি ব্ৰহ্মদণ্ডের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন তাহ এখন সকলেই অবগত হইয়াছেন । বর্তমান যুগের যুগধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তক রাজর্ষি রামমোহনও যে ব্ৰহ্মদণ্ডের ব্যবস্থা করিতেন তাহ হয় তো সকলে অবগত নহেন। র্যাহার হৃদয়তন্ত্রী সমগ্র মানবজাতির সঙ্গে এমন এক স্বরে বাধা ছিল যে ইতালীর দুঃসংবাদে তিনি শয্যাশায়ী হইতেন এবং স্পেনের সুসংবাদে টাউনহলে আনন্দোৎসব করিতেন তিনিও বহিষ্কারকে বিশ্বপ্রেমের বিরোধী মনে করিতেন না । তিনিও এক শিষ্যের কোন অপরাধের জন্য তাহার উপর ব্ৰহ্মদণ্ডের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, তাহার মুখ দর্শন করিতেন না । পরিশেষে শিষ্য স্বীয় দোষ ংশোধন করিয়া গুরুর সঙ্গে মিলিত হন। কেহ অত্যাচরিত আইরিশ জাতির বিপক্ষতাচরণ করিলে তিনি বাক্যালাপ বন্ধ করিতেন। তিনি এরূপ অভিমত প্রকাশ করিয়াছিলেন যে Reform Bill ব্রিটিশ পালামেণ্ট কর্তৃক পরিত্যক্ত হইলে ইংরাজের সঙ্গে সকল সংশ্ৰব পরিত্যাগ করিয়া আমেরিকায় যাষ্টয়া বাস করিবেন। এমন কি এই উপলক্ষে ইংরাজ বন্ধুদের সঙ্গে পত্রব্যবহার পর্যন্ত বন্ধ করিয়াছিলেন । * কিন্তু যখন বিল পাশ হইল, আনন্দে উৎফুল্ল হষ্টয়া পত্র sofola, “We have succeeded in the reform question” &W is HRs of Tagists: Hot এমনই একীভূত যে ইংলণ্ড স্বাধীনতা লাভ করিল, তাহার মনুষ্যত্বের পথ খুলিয়া গেল, দেখিয়া বিশ্বপ্রতিনিধি বাঙ্গালী রামমোহন নিজেকে উপকৃত মনে করিতেছেন। আমাদের মধ্যে অনেকে তাহার অপেক্ষা অধিকতর বিশ্বপ্রেমিক থাকিতে পারেন, কিন্তু এমন অৰ্ব্বাচীন কেহ নাই, যে বলিবে শাক্যসিংহ বা রামমোহনের মধ্যে বিশ্বপ্রেম ছিল না, আমাদের বিশ্বপ্রেমিকেরাও নয় । ঐধীরেন্দ্রনাথ চৌধুরী।

  • এইখানে চৈতপ্তদেব কর্তৃক ছোট হরিদাসের প্রতি দণ্ডের কথা উল্লেখ করা যাইতে পারে -লেখক ।

প্রবাসী । এতক্ষণ হিচারের দার্শনিক ভিত্তির অনুসন্ধান কর । । । १च वीथ् । হিন্দুর উপস্থিত বিপদে মোসলমানের সহানুভূতি। আজ আমাদের কি অশুভ দিন, কি দুঃসময়ই না উপস্থিত । আজ সাত শত বৎসর ধরিয়া নানা প্রকার অবস্থার মধ্যে, একষ্ট দেশে, একই আবহাওয়ার উপভোগের আস্বাদনে এবং একই সুনীল আকাশের চন্দ্ৰাতপতলে, হিন্দু মোসলমান আমরা একত্র এক সঙ্গে, বসবাস করিয়া আসিতেছিলাম। এই সাত শত বৎসরের সন্মিলনপ্রভাবে, প্রকৃতিগত সখ্য ও সাম্যবন্ধনের যে যে স্থায়ী কারণ তাহা ও ক্রমে যেন ঘনীভূত হইয়া উঠিতেছিল। পূৰ্ব্বে এ দেশের রাজপাট নামেমাত্র মোসলমানদিগের হস্তগত ছিল, কিন্তু রাজত্ব রক্ষার যে সকল কাৰ্য্য, তাহার অধিকাংশই হিন্দুদিগের আয়ত্তাধীন ছিল । তৎপর প্রায় দেড় শত বৎসর যাবৎ ইংরেজ রাজের রাজত্ব হইয়াছে, ইহার মধ্যে হিন্দু মোসলমান আমরা একই অবস্থাপন্ন হইয়া একই দাসত্বশৃঙ্খলে, মুখে দুঃখে জড়ীভূতভাবে কোন মতে জীবন কাটাইয়া আসিতেছি। এখন দেশের মধ্যে দশ জনের নিকট, এবং রাজদরবারের মধ্যে রাজপুরুষদিগের নিকট, স্বধু হিন্দুর মুখস্থবিধা অথবা কেবলষ্ট মোসলমানের মুখসুবিধা বলিয়া পৃথক একটা কিছু জিনিস নাই ; পৃথক কোন বিধিব্যবস্থাও নাই। নৈসর্গিক কোন ঘটনাতেও তেমন কোন পৃথক পৃথক মুখস্থবিধা কাহাকেও বিতরণ করিতেছে না। যেমন রাজবিধির একই বিধানে হিন্দু মোসলমান একই প্রকার শাসনদও প্রাপ্ত হইতেছে, প্রকৃতিগত ঝড়, বৃষ্টি, রৌদ্র, হিম আদিও তেমনি বিধাতা হিন্দু মোসলমানকে সমানভাবে বিতরণ, করিতেছেন। বিধাতা হিন্দুকে অপবিত্র কাফের ভাবিয় তাহদের বাড়ীতে রৌদ্রের প্রখর তাপ এবং মোসলমানকে প্রিয়পাত্র জানিয়া তাহীদের উপর অমৃতবর্ষণ করিতেছেন না। সুদীর্ঘকালের সন্মিলনবশতঃ হিন্দু মোসলমানের মধ্যে অধুনা একটা স্থায়ী আত্মীয়তার ভাব পরস্পরের প্রাণে প্রাণে এমনি করিয়া জড়িত হইতেছিল যে, সে ভাব অতি মধুর অতীব আনন্দপ্রদ ! সেই আনন্দপ্রদ প্রতিবন্ধনের দরুণ হিন্দুকে মোসলমান এবং মোসলমানকে হিন্দু সাহায্য করিয়া