পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏱᏬ প্রবাসী । -- অন্ধ অলি ভুলি ভবিষ্যতে, যথা ইচ্ছা করি মধু পান

      • sه. په --م. . ,۰ه ۔

ग्न, ऊांश श्हेtण ( loyalty) পাইতে চাও কেন ? খুব তলোয়ার চালাও ; তাহা হইলেই হইবে। আরও আশ্চর্যের বিষয় এই যে পাশবশক্তি প্রয়োগে ভালবাসা ও ভক্তি পাইবার ইচ্ছ প্রকাশ করা হয় । কিন্তু বোধ হয় তাহা নয় ; ইংরাজ এত বোকা নয়। বোধ হয় ইংরাজের অভিধানে রাজভক্তি মানে ভীরুতা, কাপুরুষতা ও প্রভুর পদলেহন । কারণ এই গুণগুলি পাশববলে উৎপন্ন হইতে পারে । মোট কথা এই—প্রজারঞ্জন ব্যতীত রাজভক্তি অসম্ভব ; অস্ত্র আইন থাকিতে, সৈনিক বিভাগে শাদা কালো, বিচারে শাদা কালো, চাকরীতে শাদা কালো, রেল গাড়ীতে শাদা কালোর প্রভেদ থাকিতে রাজভক্তি অসম্ভব। যদি কথায় কথায় ধমক দিয়া তরবারি দ্বারা ভারতবর্ষ জয়ের কথা তুল, তাহা হইলে আমাদের পক্ষে অনুসন্ধান করা স্থা ভাবিক যে সে তরবারিটা আমাদের ৪, না কেবল ইংবাজের, আমাদের পক্ষে অনুসন্ধান করা স্বাভাবিক যে আমাদের কোথা ও তাস্তাকুড়ে বা অঙ্গর মরিচাপর তরবারি অাছে কি না ও তাঙ্গাতে শুন দলে চলে কি না । চিরদিন কাহারও সমান যায় না। পশিবশক্তির কথা তুল, ত একদিন তাহার বিরুদ্ধে পশিব শক্তিষ্ট দাড়াইবে । কিন্তু পৰ্ম্মান্তগত শাসনরূপ দেবশক্তি প্রয়োগ করলে, সঠিা চt ৪ তাহাই পাষ্টবে । .*** তপস্য | সুগভীর অমানিশ শেষে বহিল উষার সমীরণ, নিশিথিনী টেনে নিল তাঁর শিথিলিত অঞ্চল-বসন ; নীলাম্বরে ধীরে অতি ধীরে তেয়াগিয়া নীল-শয্যাতল আঁখি মুছি শুকনার আসি দাড়াইল স্থির সমুজ্জ্বল, নয়নেতে ঘুমঘোর তার এপন ও রহিয়াছে মাথা স্বপনেতে কি যেন দেপেছে কার যেন মুখচ্ছবি আঁকা । চারিদিকে কেহ কোথা নাই সুবিশাল বিজন বিপিন, রাতি-শেষে ঝিল্লিরব সেথা ক্ষীণ হ’তে হইতেছে ক্ষীণ ; শেফালির শুাম তনু বেড়ি নৃত্য করি জোনাকির দল ক্লান্ত হ’য়ে, অবসন্ন হয়ে আশ্রয় করেছে ভূমিতল । আমাদের ভালবাসা ও “রাজভক্তি” [ ৭ম ভাগ ডাকি আনে মৃত্যু আপনার বাড়াইয়া দেহ পরিমাণ— তেমনি সে জোনাকির দল শূন্তমঞ্চে নাট্য শেষ করি মন্দীভূত ক্ষীণ দীপ্তিটুকু দিতেছিল দুৰ্ব্বার উপরি। সেথা হ’তে নহে বহুদূর—মুনিৰ্ম্মল স্বচ্ছ সরোবর চারিদিকে ঘাট বাধা তার, শিলা দিয়ে শ্বেত মনোহর । তারি এক শিলাপটে বসি, যোগী এক ধেয়ানে মগন, আঁখি তার অৰ্দ্ধ-নিমিলিত, বিগলিত যুগল নয়ন। যোগীর সে যোগাসন খানি রহিয়াছে চুমি’ ধরাতল ধরা হতে বহু উদ্ধে তবু জাগে তার দৃষ্টি অচপল ; পৃথিবীর অণু পরমাণু, কবে কারে করে আকর্ষণ “জড়তত্ত্ব নয় শুধু এতো-চেতনের সদা নিদর্শন” – এই বাণী, মহামন্ত্র এই, হে সৌম্য, হে পুত্র জমৃতের, আনিয়াছ এ জগতে তুমি, মুগ্ধ তাই মানব বিশ্বের। প্যানমগ্ন হে ঋষি তোমার, অকলঙ্ক শুল পদতলে ভক্ত আসি নৈবেদ্য সম্ভাব দিয়া গেছে তপ্ত অশ্রুজলে ; তবু তব ধ্যান ভাঙে নাই কি গভীর, হে চির-কুমার, কি গভীর ধ্যানযোগ তব, কি অটল প্রতিজ্ঞ তোমার ! যুগ যুগাস্তের কথা সে ত, একদিন আর একদিন সামগান উঠেছিল হেঁপা, পূর্ণ করি এ ঘোর পিপিন ; শান্তিরস বহ্মচর্যা হ’তে, বিশ্বপ্রেমে আত্ম-নাশ করি এ ভারত পূর্ণ করেছিল, স্বাৰ্থপাপ লাজে ছিল মরি ; সেই দিন, সেই শুভক্ষণ এ শ্মশানে আনিবে আবার বুঝিয়াছি তারি লাগি এষ্ট, সুকঠোর তপস্ত| তোমার । শুভলগ্ন আসিবে যখন, ত্যজি তব অ{সন মৰ্ম্মর হে তপস্বী দাড়াইবে উঠি—প্রসারিয়া উদ্ধে দুটা কর । আজিকার সীমাবদ্ধ প্রেম—সেই দিন হবে সীমাহীন, ব্যবধান জড় চেতনের দূর হবে সেই একদিন । যে সাধনা করিতেছ তুমি, সেই চির-সাধনার ধন পলে পলে উঠিবে বাজিয়া সুগম্ভীর বেদের মতন। ক্ষুদ্র জ্ঞান অন্ত আছে যার—অনন্তে সে হইবে বিলীন আন তবে আন ঋষিবর—সেই মহা শুভ একদিন । শ্ৰীষ্টদুপকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫নং শিবনারায়ণ দাসের লেন কুন্তলীন প্রেস হইতে শ্ৰীপূৰ্ণচন্দ্র দাস কর্তৃক মুদ্রিত