১৪২ ভুবন বিখ্যাত গৌড়নগরের সাধারণ আয়তন । তাহার বাহিরে নগরোপকণ্ঠ, তাহা দশ ক্রোশ। পশ্চিমে ভাগীরথীস্রোত নগর রক্ষা করিত। সে দিকে প্রাচীর দেখিতে পাওয়া যায় না। পূৰ্ব্ব দিকে মৃৎপ্রাচীর ;–প্রথমে একটি, তাহার পর ১৫০ ফুট প্রস্থ গভীর পরিখা, তাহার পূৰ্ব্বে আবার মৃৎপ্রাচীর,—উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ। এই মৃৎপ্রাচীরের তলদেশ প্রায় ২০০ ফুট প্রস্থ,—সমতলপ্রদেশ হইতে প্রাচীরের শিখরদেশ ৪০ ফুট উচ্চ । ইহার পাশ্বদেশ ইষ্টকগঠিত ছিল ; শিখরদেশে প্রহরী মন্দির দেখিতে পাওয়া যাইত –এখন তাহার চিহ্নমাত্র বর্তমান নাই! পূৰ্ব্বদিকের প্রাচীর হইতে পশ্চিমাস্তে ভাগীরথী পর্য্যন্ত উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ এক রাজপথ প্রচলিত ছিল ; এখনও স্থানে স্থানে তাহার চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। প্রাচীরমধ্যস্থ রাজনগর উত্তরদক্ষিণ দুই অংশে বিভক্ত। উত্তরাংশ সমধিক পুরাতন ; তাহার তুলনায় দক্ষিণাংশ অপেক্ষাকৃত আধুনিক। উত্তরাংশে অট্টালিকাদি অধিক নাই ; দক্ষিণাংশেই তাহার প্রাচুর্য্য দেখিতে পাওয়া যায়। উত্তরাংশের প্রধান দৃশু—সাগরদীঘি,—ঝুনঝুনিয়া মস্জেদ,—মকৃঢ়ম আখি সিরাজুদ্দীনের সমাধিমন্দির,—সস্থলাপুরের গঙ্গার ঘাট,—এবং পরিখা প্রাচীর বেষ্টিত দুর্গাকার বিজন বন । এই অংশই ইতিহাস বিখ্যাত “লক্ষ্মণাবতী।” তাহার প্রধান কীর্তিচিহ্ন— সাগরদীঘি । ইংরেজাবাদ আধুনিক নগর । তাছাই এখন মালদহ জেলার সদর মোকাম । সেখানে আসিয়া গৌড় পরিদর্শনে যাত্র করাই সুসঙ্গত। ইংরেজাবাদ হইতে এক মাইল বাহিরে আসিলেই, মৃৎপ্রাচীর দেখিতে পাওয়া যায়। এখন তাহার উভয়পাশ্বে বৃক্ষরাজি ;—মধ্যস্থলে শকট চালনার উপযোগী রাজপথ —তাহ নূতন পথ নহে ;–মৃৎপ্রাচীরের শিখর দেশমা এ। এই মৃৎপ্রাচীরের পূর্বাংশে নিম্নভূমি ; স্থানে স্থানে জলমগ্ন ; সৰ্ব্বত্ৰ শস্তক্ষেত্র। ইহার পশ্চিমাংশে সমতল প্রদেশ ; স্থানে স্থানে বৃক্ষবাটিকা ; অধিকাংশ স্থানেই বিজন বন। এই পথে কিয়দর অগ্রসর হইলে, পরিখা প্রাচীর বেষ্টিত দুর্গাকার বিজনবন দৃষ্টিগোচর হয়। তাহার অনতিদূরে-দক্ষিণ ভাগে উচ্চ মৃত্তিকাস্তুপের উপর ज्wrछळ लल्लङ ! ऊ"क"हे रुरिक्ष"फ़ क"*रौिfकल श्र"क्रtm ? t په ۹۹ نه همه میدهیم و ***** [ १भ छांशं । AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAeSAASAASAASAASAA জঙ্গলভেদ করিয়া সাগর দীঘিতে অবতরণ করিবার গ্রাম্য পথ —তাহা এখন জনসমাগমশুম্ভ । - সাগরদীঘি উত্তর দক্ষিণে দীর্ঘ ;-হিন্দুকীৰ্ত্তি বলিয়া সুপরিচিত। তাহার বর্তমান আয়তন ৫৫৯ বিঘা ! এরূপ সুবৃহৎ সরোবর হিন্দু বা বৌদ্ধ নরপালদিগের শাসন সময়েই নানা স্থানে খনিত হইত। কত কালে, কত শ্রমে, কত ব্যয়ে এই সুবৃহৎ সরোবর থনিত হইয়াছিল, কে তাহার ইয়ত্ত করিবে ? এই সরোবরে অবতরণ করিবার জন্য ছয়টি সোপানশ্রেণী গঠিত হইয়াছিল ;–উত্তরে একটি, দক্ষিণে একটি, পূৰ্ব্বে দুইটি, এবং পশ্চিমে দুইটি,--তাহার ইষ্টক প্রস্তর,স্থানে স্থানে পড়িয়া রহিয়াছে। কিন্তু সোপানাবলী ভূগর্ভে বিলীন হইয়া গিয়াছে। সাগরদীঘি দেখিয়া, দেখিবার আশা পরিতৃপ্ত হয় না ; বিজনবনের বিভীষিকায় সন্ত্রস্ত হইয়া, পৰ্য্যটকগণ পলক মধেষ্ট দর্শন কাৰ্য্য সমাপ্ত করিয়া প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া থাকেন। এখানে গজারোহণে গমন করাই প্রশস্ত + কাহার কীৰ্ত্তি দর্শন করিলাম ? হিন্দু কীৰ্ত্তি সন্দেহ নাই ; —কিন্তু কাহার কীৰ্ত্তি ? নিকটে পরিখা প্রাচীরের ভগ্নাবশেষ, সম্মুখে সুবৃহৎ সরোবর,—সমস্তই জনশূন্ত,-সমস্তই একরূপ, বৃহৎ এবং সুন্দর। ইতিহাসের অভাবে জনশ্রুতি ভিন্ন তথ্য নির্ণয়ের অন্ত উপায় নাই। জনশ্রুতি সাগরদীঘিকে গৌড়াধিপতি লক্ষ্মণ সেনের কীৰ্ত্তি বলিয় অস্থাপি বিঘোষিত করিয়া আসিতেছে $ এই সেই ইতিহাস বিখ্যাত “লক্ষ্মণাবতী,”—হিন্দু রাজ্যের শেষ রাজধানী ;-মুসলমানাধিকারের প্রথম বিজয়ক্ষেত্র,—এখন শ্মশানভূমির স্তায় হায় হায় করিতেছে ! - এত বড় বৃহৎ জলাশয়; তাহার তীরে দেবমন্দির দেখিতে পাওয়া যায় না। মুসলমান লিখিত ইতিহাসে লিখিত আছে,-লক্ষ্মণাবতী অধিকৃত হইলে, বক্তিয়ার থিলিপি
- Its length is from North to South, proving its Hindu origin.—Ravenshaw's Gour, p. 6.
+ এখন ধীবরগণ ইহার মধ্যে নৌকা লইয়৷ বাস করিতেছে । বন छत्रप्श ममांझन्न बलिग्नां, cकांन इन श्उहे अांछछ तृटेtशांकब्र श्द्र ना । যাহা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা নদী বলিয়াই প্রতিভাত হয় । § This great work is said to have been commenced in the reign of Lachman Sein abbut A. H. 52g (AD.