>(tఫి উৎকৃষ্ট । এক বিষাদ ভাব এই সাহিত্যের স্বচ্ছ প্রবাহ আবিল করিয়া তুলিয়াছে ; কিন্তু উচ্চ আকাশ্ব ও নূতন চিন্তার বেগে সে আধিলত দুরীভূত হইবে বলিয়া আশা করা যায়। জয়দবাসী মালিক মোহাম্মদ পদ্মাবতী নামক গ্রন্থ উৎকৃষ্ট হিন্দিতে রচনা করিয়া জনপ্রিয় তুলসীদাসী রামায়ণ রচনার পথ পরিষ্কৃত করিয়াগিয়াছেন বলিয়া নির্দেশ করিলে कि अङ्काख् िइश्व ? শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রণালীতে সমস্ত কায নির্বাহই ভারতীয় মোসলমানের পক্ষে এখন সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক প্রয়োজনীয় হইয়াছে । মোসলমানকে কেবল ধৰ্ম্মের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রণালীতে ইসলামের সমস্ত ব্যবস্থা প্রতিস্থাপিত করিতে হইবে ; এই সকল ব্যবস্থার একমাত্র লক্ষ্য ধৰ্ম্ম হইলেও তৎসমুদয় অসম্প্রদায়িক এবং উদার হইবে। তারপর সামাজিক ব্যাপারেও শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রণালী আনয়ন করিতে হইবে ; সামাজিক ব্যবস্থা সকল উন্নতির পরিপোষক করিয়া তুলিতে হইবে, এবং সামাজিক বিষয়ে যাহাতে নারীজাতির অধিকতর সহায়তা লাভ করা যায়, তদনুরূপ উপায় অবলম্বন করিতে হইবে। আমাদের দাতব্য বিভাগ এবং ওয়াকফ স্বসংস্কৃত করিবার জন্য শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রণালীতে অভিনব ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রয়োজনীয় হইয় পড়িয়ছে ; এই সকল ব্যবস্থা দ্বারা এক দিকে জাতীয় উন্নতি পরপুষ্ট এবং অপর দিকে সকল প্রকার জড়তা ও কৰ্ম্মবিমুখত নিরাকৃত হইবে । বৰ্দ্ধমান আলীগড় কলেজে সার সৈয়দ আহমদের প্রতিভার উৎকৃষ্ঠ নিদর্শন বিদ্যমান রছিয়াছে ৷ সৰ্ব্বোপরি শিক্ষা সম্পর্কে মোসলমানের অবস্থা কিরূপ দাড়াইয়াছে, তাহ পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে অমুসন্ধান করিয়া দেখিতে হইবে : কেবল পুরুষশিক্ষা সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিলেই চলিবে না, স্ত্রীশিক্ষার কীৰ্দশ অবস্থ। তাছাও দেখিতে হইবে। যে শিক্ষাপ্রণালীতে নিম্ন ও ও মধ্য শিক্ষার ব্যবস্থা উত্তম ও লোকের অনুরাগবর্দ্ধক নহে, তাহ বৈষম্যোৎপাদক হয় । যদি কেহ আমার হস্তে জাতীয়উন্নতির পতাক প্রস্তুত করিবার ভার অপণ করেন, তবে আমি ত{হতে নিম্নলিখিত বাক্য সকল অঙ্কিত করিব, “রাজার প্রতি দৃঢ় ভক্তি, স্বদেশের নিমিত্ত প্রীতি, সকল প্রতিবাসীর সহিত সম্ভব এবং নিজের জন্য অখণ্ড সতজ্ঞ।" আত্মনির্ভরশীলত। ভারতীয় মোসলমানের পক্ষে কিরূপ প্রয়োজনীয়, তাহা বাক্যে শেষ করা যায় না । কেবল মনঃকল্পিত নীতির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ অথবা ক্ষণভঙ্গুর অনুগ্রহের উপর নির্ভর করিয়৷ মোসলমানগণ যে পরিমাণে গবর্ণমেণ্টের উৎসাহ ও সহায়তা প্রাপ্ত হইবেন তাহ। অপেক্ষ অধিক উৎসাহ ও সহায়তা আত্ম নির্ভর দ্বারা লাভ করা সম্ভব। ইহা নিঃসন্দেহে নির্দেশ করা যাইতে পারে যে, গবর্ণমেণ্টের অনুগ্রহনীতি মোসলমান সমাজের পক্ষে অহিতকর হইবে, এবং এই বিংশ শতাব্দীতে পরামুগ্রহই পঙ্গুঞ্জাতির এক মাত্র যষ্টি নহে। স্ত্রীরামপ্রাণ গুপ্ত ।
সমসাময়িক ভারত । { Ernest PiriouH FHtīt ķēts ) নূতন সমাজ । গেজেটে প্রকাশিত একটা রাজকীয় পরোয়ান, আজিকার জাপানকে গড়িয়৷ তুলিয়াছে। যেরূপ সহজে জাপান রূপান্তরিত হইয়াছে, তাহাতে যুরোপীয় পাঠক শুধু নছে— প্রবাসী | যাহারা ইহার দ্রুত উন্নতি স্বচক্ষে দেখিয়াছে তাহারাও [ १भ डांश | বিস্ময়বিহ্বল। কেহ কেহ মনে করেন, এ একটা চোখের ভুল । রঙ্গ-নৃত্যে নর্তকীরা যেরূপ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধার মুখস খুলিয়া ফেলে, ও তৎক্ষণাৎ গাল-ফুলো শিশুর মুখস পরিয়া, শিশুর মত আধো-আধো কথা বলিতে বলিতে আবার হঠাৎ আসরে নামে, এবং দর্শকেরাও তাহাতে ভুলিয়া যায়, ইহাও কতকটা সেইরূপ । কিন্তু ভারত এরূপ পরিবর্তনশীল নহে। ভারত দেড়শত বৎসর ইংরাজ-শাসনাধীনে রহিয়াছে, তবু এখনো বিলাতী বনিয়া গেল না। এ কথা ঠিকৃ, “উদীয়মান স্বৰ্য্যের” নবসাম্রাজ্যের ন্যায় ভারত নিজ অদৃষ্টের প্রভু নহে। এ কথা সত্য, ভারত নানা কারণে জড়বৎ নিশ্চল হইয়া পড়িয়াছে । কিন্তু আমার বিশ্বাস, হিন্দুর সমাজতন্ত্রই ইহার প্রধান প্রতিবন্ধক ; কেন না, হিন্দুসমাজ আদে উন্নতিশীল নহে । আরো ঠিক্ করিয়া বলিতে গেলে, ব্রাহ্মণ-সভ্যতা ও এ্যাঙ্গলো-স্তাক্সন-সভ্যতা—এই দুষ্ট সভ্যতার মৌলিক বিরোধিতাই ইহার মুখ্য অন্তরায় । এ দুষ্ট সভ্যতা কোথাও আসিয়া পরস্পরকে স্পর্শ করে না,—মিশিয়া যাওয়া ত দূরের কথা । তা ছাড়া বহুকাল ধরিয়া উভয়ই পরস্পরের নিকট অপরিচিত ছিল । তাই, দেড়শো বৎসরের শেষেও, ইংরাজের ঢেউ লাগিয়া, ব্রাহ্মণ-সমাজের শুধু বাহির কিনারাটা ভিজিয়াছে। স্বধৰ্ম্মভ্রষ্ট জাতিচু্যত লোকের দ্বারাই এখনকার নুতন সমাজ গঠিত। এই সমাজের প্রভাব-প্রতিপত্তি সমধিক হইলেও, ইহার লোকসংখ্যা খুবই কম। এই বৃহৎ প্রায়দ্বীপের জনসংখ্যার তুলনায়, এ সম্প্রদায়ের লোক তিল পরিমাণ বলিলেও হয় ;—অসীম তমোরাশির মধ্যে যেন দুই চারিটি জোনাকি জলিতেছে। কিন্তু তথাপি ইহা অস্বীকার করা যায় না,—যুরোপীয় সভ্যতার প্রভাব, হিন্দুসমাজের মধ্যে একটা আন্দোলন উপস্থিত করিয়াছে। এই গৃঢ় প্রভাব—এই অদৃশু সামাজিক আন্দোলন—আণবিক গতির দ্যায়, বিস্তার অপেক্ষা গভীরতায় বেশী। এই আন্দালন—বৰ্ণভেদ-ঘটিত স্বাধীনতা, স্ত্রীজাতির স্বাধীনতা, ধৰ্ম্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা—এই তিন আকারে দেখা দিয়া থাকে । #. এ দেশের নবাগত প্রভূদিগকে, সে কালের হিন্দুরা যখন