পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা। ]. সাদরে গ্রহণ করে। এই সব উচ্চশ্রেণীর পারিয়া ধৰ্ম্ম ও সমাজের সংস্কারক, রাষ্ট্রনৈতিক দলপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্ৰ—যাহারা ইংরাজিতে সুশিক্ষিত—ইহাদের দ্বারাই এই নূতন সমাজ সংগঠিত। ইহারাই নব্যভারতের দল। জাতিচু্যতি দগুকে ইহারা গ্রাহের মধ্যে আনে না। উহাদের মধ্যে একজন আমাকে এইরূপ বলিয়াছিলেন – “বিলাত হইতে যখন ফিরিয়া আসি, ব্রাহ্মণ-পুরোহিতেরা আবার আমাকে পাকৃড়াও করিবার চেষ্টায় ছিল। প্রায়শ্চিত্ত করিলে আবার আমি সমাজে গৃহীত হইব—এইরূপ তাহারা আমাকে আশ্বাস দিল । কিন্তু আমি তাহীদের প্রস্তাবে সম্মত হইলাম না । কেন না, তাহা হইলে আমাকে সেই কদৰ্য্য পঞ্চগব্য গলাধঃকরণ করিতে হইবে । আমার আত্মীয় বন্ধুগণ প্রথম প্রথম কুষ্ঠব্যাধিগ্রস্তের মত আমা হইতে তফাতে থাকিতেন, পরে আবার তাহারা সকলেই আমার সহিত সম্মিলিত হইলেন।” যিনি আমাকে এই সব কথা বলিয়াছিলেন, তিনি সমসাময়িক ভারতের একজন রাষ্ট্র-নৈতিক দলপতি । তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোক । তিনি প্রথমে বোম্বাইয়ের কোন কলেজে বিদ্যা শিক্ষা করিয়া, পরে ইংলণ্ডে গিয়া সেই শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। তাহার বিদ্যাবুদ্ধি ও তাহার উদ্যম চেষ্টার বলেই তিনি এখন একটা উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত এবং ইহঁর জন্ত বিলাতের (democracy) গণতন্ত্রদলের নিকটেও তিনি কিয়ৎপরিমাণে ঋণী। তিনি র্তাহার জাতিকুল একেবারেই বিসর্জন দিয়াছেন,—আর তাহার গণ্ডীর মধ্যে তিনি প্রবেশ করিতে ইচ্ছুক নহেন। সৰ্ব্বপ্রথমে যাহারা হিন্দুয়ানী ত্যাগ করে তাহার অপর পক্ষ-কৃত অত্যাচারের উত্তর-স্বরূপ পাণ্টা অত্যাচার আরম্ভ করিয়াছিল। বন্ধনমুক্ত নব্যসম্প্রদায়, সেই সব স্বেচ্ছাচারীর দল, স্বকীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করিবার জন্য গোড়া হিন্দুদের সম্মুখেই গোমাংস ভক্ষণ করিতে লাগিল। ঘোর কৃষ্ণবর্ণে অঙ্কিত সেকালের নব্যসম্প্রদায়ের একটা চিত্র দেখ -ইরাণী শিক্ষার জন্ত যাহারা গৰ্ব্বিত সেই হিন্দু যুবকের প্রায়ই ঘোর মদ্যপায়ী, গো-খাদক ও কর্কুট মাংসভোজী। তাহারা জল না মিশাইয়া খাটি মদ্যপান করিত, এবং कांशं८षङ्ग ¢कांन श्रक गरकांद्र महेि-ऊांशंब्र श्रृंशिक गांङ সমসাময়িক ভারত। $6న ---, ----- - - - 總 به ۰۰" " مه ۶۰۰۹ مه ۶۰۹ ه.خه ۴۰ در করিয়াছে—ইহাই জগতের সমক্ষে স প্রমাণ করিবার জন্ত প্রকাগুভাবে নিষিদ্ধমাংস ভোজন করিত। কেহ কেহ মনে করে, অতিরিক্ত মদ্যপান, নিষিদ্ধ মাংস ভোজন— ইংরাজি শিক্ষারই অপরিহার্য্য ফল, কিন্তু তখনকার নব্যভারত মনে করিত, ঐরূপ পানভোজনেই প্রকৃত শিক্ষার পরিচয়—সভ্য বলিয়া পরিচয় দিতে হইলে এই পানভোজনই যথেষ্ট * * * তখনকার নব্যভারতের মতে, স্ত্রীলোকদিগকে অন্তঃপুরে বদ্ধ করিয়া রাখা যারপরনাই অসঙ্গত। লোকসমাজে রমণী উপস্থিত থাকিলে, সমাজের শোভাবৃদ্ধি হয়— একটা আকর্ষণ থাকে। পেরিক্লিসের সময়কার গ্রীকযুবকদিগের স্তায় তখনকার নব্যভারতও আস্পেশিয়া (Aspasiaর) সংসর্গ অন্বেষণ করিত-—যদিও গ্রীকদেশের মত এখানকার আম্পেশিয়া তেমন বিচুর্যও ছিল না—গুণবতীও ছিল না। * * তখনকার নব্যভারত এই কথা বারম্বার বলিত যে, নৈতিক সাহস পাশ্চাত্য শিক্ষারই অবশ্যম্ভাবী ফল । কিন্তু এই নৈতিক সাহস ক্রমে আততায়ীর ভাব ধারণ করিল। একদিন, কতকগুলি হিন্দুযুবক, গোমাংস শুধু প্রকাশ্যরূপে আহার করিয়াই সস্তুষ্ট হইল না,—যেখানে কতকগুলি প্রাচীনতন্ত্রের হিন্দু বাস করিত তাছাদের বাড়ীর প্রাচীরের উপর দিয়া, গরুর হাড় ছুড়িয়া ফেলিতে লাগিল, আর “গোমাংস”! গোমাংস!” করিয়া চীৎকার করিতে লাগিল। যিনি আমাকে এই সব কথা বলিতেছিলেন সেই রক্ষণশীল হিন্দু শেষে এই বলিয়া উপসংহার করিলেন;–“ইহাই পাশ্চাত্য শিক্ষার ফল” । তোমাদের কি স্মরণ হয় না, আমাদের দেশের পাদ্রিবিদ্বেষীর দল একবার কোন “পুণ্য শুক্রবারে” Sausage নামক মাংস-পিঠা প্রকাশুভাবে আহার করিয়া কি অসীম সাহসের পরিচয় দিয়াছিল ? কিন্তু আমি লক্ষ্য করিয়াছি, আজকালের নব্য সম্প্রদায় এবিষয়ে একটু সতর্ক হইয়া চলে । বোম্বাই হইতে লাহোর পর্য্যস্ত যে সকল কংগ্রেস-প্রতিনিধির সহিত আমি রেলগাড়ীতে একত্র ভ্রমণ করিয়াছি, তাহারা তাহদের ভৃত্যদের নিকটে গোপন. করিয়া রেলওয়ে ভোজনাগারের স্লেচ্ছ-পরিবেশিত রাধা-মাংস ভোজন করিত। এই সব সরলচিত্ত লোকের নিকট অপদস্থ হইবার ভয়েই এইরূপ করিত। এতক্ষণ আমি হিন্দুদের কথাই বলিয়াছি ; কেন না,