পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ রূপে সমস্ত অন্ধকার জুড়িয়া বসিতেছেন। তাছাকে কোথাও ধরিতেছে না। কলিকাতার রাস্তা-ঘাট বাড়ি-ঘর দোকান বাজার একটু একটু করিয়া তাহার মধ্যে আচ্ছন্ন হইয়া লুপ্ত হইয়া যাইতেছে-বাতাস ভরিয়া গেল, আকাশ ভরিয়া উঠিল, একটি এক্ট করিয়া নক্ষত্র তাহার মধ্যে মিলাইয়া গেল,—হরলালের শরীর মনের সমস্ত বেদন, সমস্ত ভাবনা, সমস্ত চেতনা তাহার মধ্যে অল্প অল্প করিয়া নিঃশেষ হইয়া গেল,—ঐ গেল, তপ্ত বাম্পের বুদ্ধ দ একেবারে ফাটিয়া গেল—এখন আর অন্ধকারও নাই, আলোক ও নাই, রছিল কেবল একটি প্রগাঢ় পরিপূর্ণত । গির্জার ঘড়িতে একটা বাজিল। গাড়োয়ান অন্ধকার ময়দানের মধ্যে গাড়ি লইয়া ঘুরিতে ঘুরিতে অবশেষে বিরক্ত হইয়া কহিল—বাবু ঘোড়া ত আর চলিতে পারে না—কোথায় যাইতে হইবে বল ! কোনো উত্তর পাইল না। কোচ্‌বাক্স হইতে নামিয়া হরণালকে নাড়া দিয়! আবার জিজ্ঞাসা করিল। উত্তর নাই। তখন ভয় পাইয়া গাড়োয়ান পরীক্ষা করিয়া দেখিল হরলালের শরীর আড়ষ্ট, তাহার নিশ্বাস বহিতেছে नां ! “কোথায় যাইতে হইবে” হরলালের কাছ হইতে এই প্রশ্নের আর উত্তর পাওয়া গেল না। ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । আদর্শ সতী বিবি রহিমা । উপরে যে সতী মহিলার নাম লিখিত হইল, ইনি ধৰ্ম্মাবতার আয়ুব নবীর অন্ততম সহধৰ্ম্মিনী ছিলেন । ইহার জীবনবৃত্ত পাঠ করিলে স্বতঃই মনে হয় যে, বিধাতা নারীজাতিকে পতিব্ৰতাধৰ্ম্ম শিক্ষা দিবার নিমিত্ত্বই জগতীতলে এই সাধনী রমণীর স্বষ্টি করিয়াছিলেন। বস্তুতঃ ইহার স্তায় পতিছিতৈষিণী ও পতিগত প্রাণ রমণী ভূমণ্ডলে অতি অল্পই জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। ইনি প্রথমে কিরূপ ধৰ্ম্মপরায়ণ ঐশ্বৰ্য্যশালী স্বামীর হস্তে আত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন, পরে ঐশ্বরিক লীলায় স্বামী একান্ত হীনবস্থা ও উৎকট ব্যাধিগ্রস্ত इहेरण इब्रोब्र छोङ्ग गर्न थाकिङ्ग किक्रण अकृबिम ८७यम প্রবাসী । [ १भ छां★ । ভক্তি সহকারে তাহার পরিচর্য্যাদি করিয়াছিলেন, ক্রমে তাহাই লিখিত হইতেছে। তুরস্কের সিরিয়া প্রদেশে আয়ুব নবীর বাসস্থান ছিল । নির্জনে নিবিষ্টচিত্ত্বে পরম মঙ্গলময় পরমেশ্বরের দৈনন্দিন উপাসনা করিয়া ইহার জীবিতকাল পরিসমাপ্ত হইয়াছে। ইনি কোন জনপদ বিশেষের অধীশ্বর ছিলেন না বটে, কিন্তু ঐশ্বৰ্য্য ও কৃতিত্ব এত অধিক ছিল যে, সাৰ্ব্বভৌম নরপতি ইহার নিকট অমানচিত্তে মস্তক অবনত করিতেন। কথিত আছে আৰ্য আয়ুবের হস্তী, উঃ, অশ্ব প্রভৃতি গৃহ-পালিত পশুর সংখ্যা চত্বারিংশত সহস্রের অধিক ছিল। আর এই সকল পশ্বাদির রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্ত পরিমাণাধিক ভৃত্যাদিও ছিল । গচ্ছিত ধন যে কত ছিল, তাহার ইয়ত্ত ছিল না । ইনি যেমন অগণিত ধনসম্পত্তির অধিপতি ছিলেন, দানাদি সৎকার্য্যে ইহার হস্ত সেইরূপ মুক্ত ছিল । কথিত আছে আৰ্য আয়ুব প্রতিদিন দশজন ক্ষুধাতুরকে অন্নদান ও দশজন বস্ত্রবিহীনকে বস্ত্র দান না করিয়া অন্নাহার ও উত্তম বস্ত্র পরিধান করিতেন না। আতিথ্যপ্রিয়তায় আয়ুবের সু্যশোগীতি সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বজনবিশ্রত ছিল । এজন্ত অগণ্য অতিথি অহৰ্নিশ ইহার পুণ্যভবনে পানভোজনের নিমিত্ত সমাগত হইত। আয়ুব নৰী ধৰ্ম্মশাস্ত্রের একজন উৎকৃষ্ট অধ্যাপক ছিলেন ; এজন্য শত শত অন্তেবাসী তাহার অন্নে প্রতিপালিত হইয়া নিয়ত ধৰ্ম্ম-শাস্ত্রের আলোচনায় কালহরণ করিতেন । ইহার উপর অসংখ্য করিসেবক, অশ্বপালক, উষ্ট্ররক্ষক ভৃত্যগণের উচ্চ কোলাহলে আয়ুব নবীর বহির্ভবন নিয়ত মুখরিত হইত। মহামতি আয়ুব ক্রমে চারিজন ধনাঢ্য ও সম্রাস্তবংশীয় মহিলার পাণিগ্রহণ করেন । ইহাদের গর্ভে আয়ুবের দুই পুত্র ও তিন কম্ভ জন্মগ্রহণ করেন। বলাবাহুল্য যে, এই সকল স্ত্রী পুত্র ও কন্যাগণের সেবার্থ শত শত দাস দাসী অন্তঃপুরে অমুক্ষণ নিযুক্ত থাকিত । বস্তুতঃ মুখের সময় সদস্ত, মিত্র, স্ত্রী ও ভৃত্যগণের আনন্দকোলাহলে আয়ুবভবন "আনন্দ ভবন" বলিয়া প্রতীয়মান হইত। . 份 কাল-বৈচিত্র্যে ঈদৃশ পরম ভাগ্যবান আয়ুব যারপরনাই হীনাৰস্থ হইয় পড়িলেন। নানাবিধ অনৈমিত্তিক কারণে अल्ल रिनहे छैशब्र भू वनख्खा पूछ श्रेण! डेभबूल