পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^ ఫిJ 镑 নবধৰ্ম্ম প্রচারিত হইল,—সকলেই এককণ্ঠে “দিল্লীশ্বরে বা জগদীশ্বরে বা” গাহিতেছিলেন । প্রায় শতবর্ষ ধরিয়া এই উদার নীতি চলিতে থাকে, পরে আওরঙ্গজেবের সময়ে স্রোত পুনরায় ফিরিয়া গেল। এই হিন্দুবিদ্বেষের ফল বাদশাহ নিজেই ভোগ করিয়া গিয়াছিলেন। দক্ষিণে অশ্রাস্তকৰ্ম্ম মহারাষ্ট্রীয় মুসলমানের মস্তক অবনমিত করিল, মধ্যদেশের ক্ষত্রিয় ও রাজপুতেরা পুনরায় মস্তকোত্তলন করিল এবং উত্তর পশ্চিম প্রদেশের জাঠ ও শিখগণ বিজাতীয় শক্তিকে পরাভূত করিয়া অতুল বিক্রমে নূতন রাষ্ট্র সংস্থাপিত করিল। পরস্তু বাদশাহ আওরঙ্গ জেব রাজকাৰ্য্যে হিন্দু কৰ্ম্মচারী রাখিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। জয়সিংহ প্রভৃতি হিন্দু সেনাপতিই তাহার যুদ্ধকার্যের প্রধান সহায় ছিলেন । বাঙ্গালার নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ হিন্দু মুসলমান নিৰ্ব্বিশেষে রাজকৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিয়া বিশিষ্ট উদারতার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন। ভূপতি রায় এবং কিশোর রায় নামক দুইজন হিন্দু কৰ্ম্মচারীকে তিনি এলাহাবাদ হইতে সঙ্গে লইয়া আইসেন। এখানে প্রথমে ভূপতিকে নিজের সহকারী এবং কিশোরকে প্রধান মুন্সীর কার্য্যে রাখেন, পরিশেষে তাছার খালসা সেরেস্তার (রাজস্ব বিভাগের ) প্রধান কৰ্ম্মচারী হইয়াছিলেন । ইহা ছাড়া প্রধান কানুনগো দপনারায়ণ বাঙ্গালার রাজস্ব বিষয়ের অভিজ্ঞতায় অদ্বিতীয় ছিলেন, নবাব সৰ্ব্ববিষয়ে তদীয় পরামর্শ গ্রহণ করিতেন। রঘুনন্দন প্রথম খালসা দেওয়ান এবং রায় রায়ান। যশোবন্ত রায় ঢাকার দেওয়ানী করিয়া পূৰ্ব্ববঙ্গে রাজ্য স্থাপন করেন, এতদ্ভিন্ন কুলী খাঁর সময়ে দলিপ সিংহ, লাহরীমল্ল প্রভৃতি হিন্দু সেনাপতিগণ হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধভার পাইয়াছিলেন, এবং জমিদারদিগের মধ্যেও দয়ারাম, রঘুরাম ও রাজজীবন যুদ্ধকার্য্যে বিশেষ সাহায্য করিয়াছিলেন। মুর্শিদকুলী খার পরবর্তী নবাবগণও উদারভাবে হিন্দু কৰ্ম্মচারী পোষণ করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে নবাব মুজাউদিনের প্রধান মন্ত্রী রায় রায়ান আলমৰ্চাদ রাজস্বসংগ্ৰহকার্ধ্যে বিশেষ নৈপুণ্য দেখাইয়া গিয়াছেন। অবশেষে তিনি সরফরাজের সময়ে স্বপ্রসিদ্ধ গিরিয়ার যুদ্ধে প্রাণত্যাগ করেন। * *-i- . *--જન્મત્ત ન્યૂ જર્મન, ہم ،بسw سم .--.r - انگیر ماہ مہ --ہیبہ ۔۔۔ ۔۔ প্রবাসী । [ १भ खांश । কথা শুনা যায়। নন্দলাল আলিবর্দী খাঁর প্রধান সেনাপতি, রাজা জানকীরাম বিশ্বস্ত মন্ত্রী, তৎপুত্র রাজা ফুল্লভরাম উড়িষ্যার শাসনকর্তা, রায়রায়ান চিন্ময় রায় প্রধান রাজস্বসচিব, রাজা রামনারায়ণ পাটনার নায়েব নাজিম এবং বীরদত্ত, উমেদরায়, কীৰ্ত্তিচাদ, গোকুলচাদ, রায় চিন্তামণি দাস প্রভৃতি রাজস্ব বিভাগের কর্তৃত্ব পাইয়াছিলেন। বৈদ্যংশসস্তৃত খ্যাতনাম রাজবল্লভ পেস্কার হইতে আরম্ভ করিয়া নায়েব সুবাদারী পর্য্যস্ত ভোগ করিয়াছিলেন ; তখন তিনি একরূপ ঢাকায় সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইয়াছিলেন। রাজারাম প্রসিদ্ধ গুপ্তচর, মাণিকচাদ, মোহনলাল, শুামসুন্দর লালা প্রভৃতি সুদক্ষ সেনাপতি ছিলেন । এইরূপে মুর্শিদাবাদের নবাবগণ দিল্লীর আদর্শ নরপতি আকবরের অনুকরণে হিন্দু মুসলমান নিৰ্ব্বেশেষে যোগ্যতা বিচারে রাজকৰ্ম্ম প্রদান করিয়াছিলেন। উচ্চপদস্থ হিন্দুকৰ্ম্মচারীমাত্রেই মনসবদার (সেনানায়ক ) ছিলেন, এবং নিম্নতন পদগুলিতেও হিন্দুর প্রবেশ অব্যাহত ছিল। বল্পী, মুন্সী, বিশ্বাস, সরকার, শিকদার, মজুমদার প্রভৃতি নবাবী আমলের পদবী অষ্ঠাপি হিন্দুসমাজে বিস্তর পরিলক্ষিত হয়। হায়, যাহারা এরূপ উদারভাবে রাজ্যপালন করিয়া গিয়াছেন, বিজেতা হইয়াও বিজিতকে এতাদৃশ নিরপেক্ষ অধিকার ভোগ করিতে দিয়াছিলেন, আজ তাছাদেরই বংশধরগণ রাজদ্বারে চাকরী ভিক্ষা করিয়া ঘুরিতেছেন। কত খোসামদ-তোষামোদেও কর্তৃপক্ষের মন নরম করা যাইতেছে না, প্রত্যুত্তরে বরং ভৎসনা গঞ্জনাই লাভ হইতেছে । গভর্ণমেণ্টেরই প্রদত্ত হিসাবে দেখা যায়, সমস্ত । বাঙ্গলায় মুসলমান রাজকৰ্ম্মচারীর সংখ্যা ১,২৮,৪৪৯ ; অথচ বিংশতিবর্ষাধিক বয়স্ক ৬,৪৩,২৬৭ শিক্ষিত মুসলমান যুবক রহিয়াছে। s পরস্ত কর্তৃপক্ষ বর্তমানে যে নিকৃষ্টভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করিতেছেন, তাহাতে স্বতই ঘূণা জালে। ভেনীেতির গৰ্হিত প্রতারণায় কত অর্থহীন সাকুলার বক্তৃতায় কেমন “রোরাণী-মুয়োরাণী” আদর, আর কার্যকালে বাহ কিছু উদারতার পরিচয়—এংগ্লো-ইণ্ডিয়ান . পোয়ণে অনেক মুসলমান গভর্ণমেন্টের তাদৃশ মারা প্রপঞ্চে বিমুগ্ধ হইয়া , "זיקידוחזזיזיה"אה ידי ולאחיאליז" ו"חיידל וילאיליrrה:f