পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - - g’. পেকিন রাজ-পুরী। ( & ) বৃদ্ধা সম্রাজ্ঞী । এইরূপ প্রবাদ শুনা যায় যে চীনের বৃদ্ধ মহারাণী নীচ বংশোদ্ভব দাসীকতা, কিন্তু এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইনি মাষ্ণুসৈন্ত্যগণের একজন লেপ্টেনাণ্ট-জেনারেলের কন্যা । কোন উচ্চবংশীয় মাধুভিন্ন এই জেনেরালের পদ পাইতে পারেন না। ইনি মঞ্চসৈন্যের “শ্বেত পতাকা” (White banner) বংশসস্থত। এই “শ্বেত পতাকা” বংশের মর্য্যাদা Cązzi “stē vistasi” (Yellow banner) বংশের নিয়ে মাত্র। চীন সম্রাট এই “পীত পতাকা” বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। মাঞ্চুগণ যখন চীন দেশ জয় করে, তখন এই “শ্বেত পতাকা” ও “পীত পতাকা” বংশদ্বয়ের মধ্যে ঘোরতর দ্বন্দ উপস্থিত হয়, কিন্তু—অবশেষে পীত পতাকারই জয় হয় এবং সেই হইতে এই পীত পতাকা বংশের লোকই রাজত্ব করিতেছেন। বর্তমান বুদ্ধ সমাজ্ঞী শৈশবকালে তাহার পিতা কর্তৃক সযত্নে শিক্ষিত ও লালিত পালিত হইয়াছিলেন। উচ্চ বংশীয় কুমারী মাঞ্চুরমণীগণ র্তাহাদের সমসাময়িক সম্রাট ও সম্রাটমাতার নিকট উপহার স্বরূপ প্রেরিত হইয়া থাকেন । এবং সম্রাট ও বৃদ্ধ সম্রাজ্ঞীর বাছনিমত যাহাকে ইচ্ছা তাহাকেই সমাটের নিম্নশ্রেণীস্থা পত্নী* স্বরূপ গ্রহণ করা হইয়া থাকে। প্রায় ১৭৷১৮ বৎসর বয়সের সময় বর্তমান বুদ্ধ মহারাণী তৎকালীন সমাটমাতা ও সম্রাটের নিকট প্রেরিত হইয়াছিলেন। র্ত্যতার সৌন্দৰ্য্য,তীক্ষ বুদ্ধি, প্রত্যুৎপন্নমতি এবং মনোমোহন ভাব সকল, উচ্চবংশের সঙ্গে একত্ৰযোগে সোনায় সোহাগারূপে পরিণত হইয়াছিল। এই সকল গুণের একত্র সমবায়ে তাহাকে তৎকালীন সমাটের মহিষীরূপে নিৰ্ব্বাচন করা হইয়াছিল। তৎকালীন বৃদ্ধারাণী প্রথমত ইহঁাকে নিৰ্ব্বাচিত করিয়া সমাটের নিকট প্রেরণ করেন, সম্রাটও র্তাহাকে মনোনীত করিয়া পত্নীরূপে গ্রহণ করিয়া তাহাকে রাজপুরীতে বাসের আদেশ করিলেন। ইনি সম্রাটের প্রবাসী ।

  1. ইহারাও একপ্রকার বিবাহিত স্ত্রী, Secondary wife ৷ পাটস্বাণীর নিম্নে ইহাদের স্থান ।

[ ৭ম ভাগ ।


....".•--... ۰- ع. هه می سه - :

পঞ্চম মহিষী হইলেন। তাহার পূৰ্ব্বে সম্রাট আরো চারিটা মহিষী গ্রহণ করিয়াছিলেন। অতি অল্পকালমধ্যেই ইনি নিজগুণে সম্রাটমাতার সম্রাটের ও পাটরাণীর অত্যন্ত প্রিয়পাত্রী হইয়া উঠিলেন। শীঘ্রই ইনি সম্রাটের পত্নীগণের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করিলেন । কেন না এই পত্নীগণ নিজ বুদ্ধি ও ক্ষমতাবলে ক্রমে নিম্ন হইতে উচ্চপদে উন্নীত হইতে পারেন। কেবল পাটরাণীকে কেহ অতিক্রম করিতে পারেন না। প্রথম পত্নী বা পাটরাণীর মৃত্যু হইলে তন্নিমস্থ রাণী পাটরাণীর স্থান অধিকার করিতে পারেন । সম্রাট শিয়েন কেং সিংহাসনে আরোহণ করিবার দুষ্ট মাস পূৰ্ব্বে র্তাহার প্রথম পত্নীর মৃত্যু হয়। তাষ্ঠীর মৃত্যুতে শোক চিহ্লস্বরূপ পাটরাণীর পদে কেচই উন্নীত না হইয় ঐ পদ কিছুদিন শুন্য রহিল । অতঃপর তাঙ্গর শেষ বিবাহের প্রথম পত্নী যখন পাটরাণীর পদে উন্নীত হইলেন, সেই সময়ে বর্তমান বৃদ্ধ মঙ্গরাণী সমাট শিয়েন কেংএর পঞ্চম পত্নীরূপে গৃহীত হইয়াছিলেন । ইহার বিবাহের দুষ্ট বৎসর পর ইহার এক পুত্র জন্মে এবং এই পুত্রের জন্মের পাচ বৎসর পর সম্রাট শিয়েন কেংএর মৃত্যু হয়। সম্রাটের মৃত্যু হইলে পর এই বৃদ্ধ মহারাণীর পুত্র টুংছি সম্রাট পদে অভিষিক্ত হইয়াছিলেন। শিশুসমাট টুংছির তরুণবয়স্ক জননী এবং তাহার পিতার প্রথমা পত্নী বা পাটরাণী একত্র যোগে সম্রাটমাতা (Empress Dowager) নামে অভিহিত হইয়া তাঙ্গর অভিভাবক নিযুক্ত হইলেন। বালকসম্রাটের অভিভাবিক নিযুক্ত হইয়া একজন পুৰ্ব্ব প্রাসাদের (East Palace) এবং আর একজন পশ্চিম প্রাসাদের (West Palace) সম্রাটমাত৷ আখ্যা গ্রহণ করিলেন। এবং উভয়েই তুল্য ক্ষমতার অধিকারিণী হইয়া তুল্যভাবে একযোগে রাজ্যশাসন করিতে লাগিলেন। পূৰ্ব্ব প্রাসাদের সমাজ্ঞী সম্রাট শিয়েন কেএর পাটরাণী ছিলেন। এবং পশ্চিম প্রাসাদের সম্রাজ্ঞীষ্ট বর্তমান বৃদ্ধা মহারাণী যিনি এখনও সুবিশাল চীন সাম্রাজ্যের ভাগ্যপরিচালক। ইহার নাম “জে-শি” (Fze-Hsi)। পূৰ্ব্ব প্রাসাদের সম্রাজ্ঞী সাহিত্যে অতি সুপণ্ডিত ছিলেন কিন্তু পশ্চিম প্রাসাদের সম্রাজ্ঞী বা বর্তমাম মহারাণী শাসনকার্য্যে