পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ8や "মাষ্টারের কিছু বলে না ?” “হাল ছেড়ে দিয়েছে।” “পুলিস ** “পুলিসকে তারা থোড়াই কেয়ার করে। বৈকালে বাজারে বেড়াতে বেড়াতে দেখেছি, পুলিস ঘুরছে, আর ছেলেরা বলছে—‘এজি এজি সিপাহী দেখে হাম পিকেট করত। হায়”—আর পিকেটিং করছে।” ইহা শুনিয়া সকলেই হাসিতে লাগিলেন। সত্যেন্ত্র বলিল –“আচ্ছা নগেন বাবু, আপনি ফরিদসিংহে গিয়ে এবার খোকাকে জাতীয় বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি করে দেবেন ?” নগেন্দ্র বাবু হাসিয়া বলিলেন—“আরে সর্বনাশ ! চাকরি যাবে।” “চাকরি না গেলে আপনি দিতেন ?” “নিশ্চয়ই। তার আর কথা আছে ?” গিরীন্দ্র বলিল—“এমন চাকরি করেন কেন ?” “খাব কি ?” *কেন আপনার ত ল-লেকচর কমপ্লিট রয়েছে। ওকালতীটে পাস করে দিব্যি বড়দাদার সঙ্গে হাইকোর্টে বেরুতে ठान्नछु कङ्गन ।” “আর কি বুড়ে বয়সে একজামিন পাস করা পোষায় उॉहे !” ইন্দুমতী বলিল—“ফিরিঙ্গীর চাকরি ছাড়বেন না তাই বলুন। আচ্ছ, আপনি বলুন ত আপনি স্বদেশীর সপক্ষে না বিপক্ষে ?” “সপক্ষে। এই দেখুন, পঞ্চাশ টাকার দেশী কাপড় চোপড় কিনে এনেছি নিয়ে যাব বলে।” “কেন, সেখানে দেশী কাপড় পাওরা যায় না নাকি ?” “যায়, কিন্তু দাম বেশী ।” সত্যেন্ত্ৰ হাসিয়া বলিল—“বুঝতে পারিসনে ইন্দু। সেখানে কিনলে পাছে সাহেবরা জানতে পারে, এই ভয়ে এখান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্চেন।” নগেন্দ্র বাবু হাসিয়া বলিলেন—“তাতেই বা ক্ষতি কি । লুকিয়ে পুণ্য কৰ্ম্ম করাতে কি কোন হানি আছে ?” “তা নেই। তবে প্রকাণ্ডে যেন পাপ করবেন না ।” এই সময় বাহিরে সমবেত কণ্ঠে সঙ্গীতধ্বনি শুনা গেল । প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । সকলে বলিল—“ঐ মাতৃপূজক-সমিতি কন্‌গ্রেসের জন্তে ভিক্ষা করতে এসেছে।” সকলে বাহিরে গিয়া দঁাড়াইলেন । দেখিলেন প্রায় পঞ্চাশ জন যুবক ও বালক, মাথায় পীতবর্ণ পাগড়ি, কেহব খোল বাজাইতেছে, কেহ বা পঞ্চম বাজাইতেছে, কাহারও হস্তে "বন্দে মাতরম্ অঙ্কিত ধ্বজ, একজনের হন্তে একটি বৃহৎ খাল, তাহাতে অনেক টাকা পয়সা রহিয়াছে, সকলে সমস্বরে গান করিতেছে— কে কোথা আছিল खब्रम छूभिन्न ভকত সন্তান, মায়ের পূজা হবে, चांग्न मिtग्न उञांग्न কে কি করিধি দান। কার আছে সোনা, কার আছে রূপ, অঞ্জলি ভরিয়৷ আন, ও ভাই, এমন স্নদিন কবে আর পাবি, দিয়ে নে ভরিয়ে প্রাণ । যার বেণী নাই দি সে কিঞ্চিৎ, ছেড়ে লাজ অপমান। যার কিছু নাই, সে দিক্‌ কেবল ব্যথিত হৃদয় খান ॥ বাটীর সকলেই, কেহ টাকা, কেহ আধুলি, কেহ সিকি, থালার উপর দিতে লাগিলেন। নগেন্দ্র বাবু একখানি দশ টাকার নোট থালায় রাখিয়া দিলেন । নোট খানি দেখিয়া, খাতাপেন্সিলধারী একজন যুৰ আসিয়া বলিল—“মহাশয়ের নাম ?” - নগেন্দ্র বাবু বলিলেন—“নাম দরকার কি ?” পাঁচ টাকার বেশী হলে নাম লিখে নেওয়ার নিয়ম আছে।” “তবে লিখুন “জনৈক বন্ধু।” সত্যেঙ্গ বলিল—“ওহে, লেখ জনৈক ডেপুটি । ইনি পুৰ্ব্ববঙ্গের একটি ডেপুটি।” शिंद्रौठा बांबू बणिष्णन-“ना, न । छटैनरू बकू वालहे লিখে নাও ।” 總 যুবকগণ তাঁহাই লিখিয়া লইয়া, গান গাহিতে গাছিতে প্রস্থান করিল। do পরিচ্ছেদ । সন্ধ্যা হইয়াছে। ফরিদসিংহ বাজারের রাস্তায় কতিপয় বিদ্যালয়ের বালক পদচারণা করিয়া বেড়াইতেছিল। দেখিল,