পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬০ গোঁড়কীৰ্ত্তির সহিত হোসেন শাহার নাম চিরসংযুক্ত রহিবে ; বাঙ্গালীর সাহিত্য-ইতিহাস হইতেও হোসেন শাহার নাম বিলুপ্ত হইতে পারবে না। কিন্তু তাহার সমাধি বিলুপ্ত ,श्हेग्नी पंड्रेिष्ठाष्ट्र দুর্গাভ্যস্তরে, শাহীমহলের পুৰ্ব্বদিকে এক পুরাতন সরোবর, তাহার পূর্বে "কদম-রসুল,”—তাহ নানা কারণে অস্থাপি বিখ্যাত হইয়া রহিয়াছে। কদম রসুল । ভারতবর্ষে প্রস্তরনিৰ্ম্মিত পদচিহ্নের অভাব নাই। গয়াধামের বিষ্ণুপাদপদ্ম সৰ্ব্বত্র সুপরিচিত। “কদম রসুল” সেইরূপ প্রস্তরনিৰ্ম্মিত পাদপদ্ম,— মহম্মদের পাদপদ্ম । লোকে বলে,—ইষ্ঠা আরবদেশের মদিন নগর হইতে বাদশাহ হোসেন শাহ কর্তৃক গৌড়ে আনীত হইয়াছিল। কদম রম্নল গৌড়ে আনীত হইয়াও একস্থানে রক্ষিত হয় নাই। হোসেন শাহ ইহাকে কোথায় রাখিতেন, তাহ জানিবার উপায় নাই. তাহার জনশ্রুতি পৰ্য্যন্ত বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। র্তাহার পুত্র নসরিৎ শাহ ১৫৩০-—৩১ খৃষ্টাব্দে এক বিচিত্র মসজেদ নিৰ্ম্মিত করিয়া তন্মধ্যে "কদমরমুল” সুসংস্থাপিত করিয়াছিলেন। সেই মস্জেদও “কদম রসুল” নামে পরিচিত হইয়াছে। ফলকলিপি অদ্যাপি বর্তমান ; তাছাতেই এই কাহিনী প্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু মসজেদ মধ্যে “কদম রমুল” নাই। তাহ যে কীলকের উপর সংস্থাপিত ছিল সেই কীলক ও বেদী পড়িয়া রহিয়াছে! নবাব সিরাজদ্দৌলা কদম রসুলকে গৌড়ের নিবিড় বন হষ্টতে মুরশিদাবাদে লইয়া গিয়াছিলেন। মীরজাফর খাঁ তাহাকে আবার গৌড়ে পুনঃ সংস্থাপিত করেন। রাভেনশা তাহাকে এই মস্জেদে প্রতিষ্ঠিত থাকার কথাই লিথিয়া গিয়াছেন। কিন্তু তাহ মসজেদে দেখিতে পাওয়া যার না। নিকটস্থ একটি পল্লীগ্রামে এক-“কদম রমুল” আছে,--তাহার অধিকারী বলেন—ইহাই সেই ইতিহাস বিখ্যাত “কদম রস্কল!” - “কদম রম্নল" না থাকিলেও, মস্জেদের মাহাত্ম্য আছে। লোকে এখনও এখানে সমবেত হইয়া উপাসনাদি করিয়া থাকে। ইহা মূৰ্ত্তিপূজার প্রকারভেদ মাত্র। কোন সময় হইতে মুসলমান সমাজে “কদম রম্বলের” পুজা পদ্ধতি প্রবাসী । প্রচলিত হইয়াছে তা একটি ঐতিহাসিক কৌতূহলের १थ डांभ । ব্যাপার। " মস্জেদটি স্বৰূঢ় এবং স্কলার। চারি কোণে ছাদের উপর চারিটি কৃষ্ণ মৰ্ম্মরের সুদৃপ্ত মিনার ছিল; এখন একটি মাত্র স্বস্থানে বর্তমান আছে। এই মসজেদ পুরাতন রাজপথ পার্শ্বে প্রতিষ্ঠিত,—সম্মুখে তোরণদ্বার—ভিতরে প্রাঙ্গণ— প্রাঙ্গণের সন্মুখে মস্জেদ। এখানে দুইটি প্রাঙ্গণ দেখিতে পাওয়া যায়। একটিতে "কদম রমুল” মসজেদ ; অপরটিতে. একটি ইষ্টক নিৰ্ম্মিত বাঙ্গালা ঘরের আকারে সমাধিগৃহ— তাহা ফতে থার সমাধি বলিয়া কথিত । তোরণদ্বারে এবং প্রাচীরগাত্রে ফলকলিপি সংযুক্ত আছে —তাহ অন্ত স্থান হইতে আনীত বলিয়া বোধ হয় । কারণ, একটি লিপি হিজরী ৮৮৫ সালের ইউসফ শাহ বাদশাহ নিৰ্ম্মিত মসজেদের ফলকলিপি বলিয়া উল্লিথিত । কদম রমুলের বর্তমান মসজেদ এবং তাহার মাহাত্ম্য পৰ্য্যালোচনা করিলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়,—গৌড়ের বাদশাহগণ এখানে বহুমূল্য ইষ্টক প্রস্তরে নানা স্থাপত্য কীৰ্ত্তি সংস্থাপিত করিয়াছিলেন। ইংরাজ সেনাদলের ইঞ্জিনিয়ারগণ অনেক প্রস্তর লইয়া গিয়াছেন।* মেজর ফ্রাঙ্কলিন বলেন—এই খানেই হোসেন শাহার সমাধিমন্দির বর্তমান ছিল । তাহ মালদহের লোকে স্বীকার করে না। ফ্রাঙ্কলিন এই স্থান পরিদর্শন করিবার সময় দৃষ্ঠাবলীর অবস্থা ভাল ছিল বলিয়াই বোধ হয়। তিনি এখানে আসিয়া শ্বেত ও নীল বর্ণের সুরঞ্জিত ইষ্টকে সুসজ্জিত ভিত্তিগাত্র দর্শন করিয়াছিলেন । তাহা এখন দেখিতে পাওয়া যায় না। এখন কেবল ইষ্টক প্রস্তরের বাহুল্য,— যাহা কেহ অপহরণ করে নাই--তাহাই পড়িয়া রহিয়াছে ! তথাপি মস্জেদ বিলক্ষণ মনোহর। মসজেদের তিনদিকে বারান্দা—মধ্যস্থলে মূল কক্ষ। তাহাতে বেদীর উপর “কদম রসুল” প্রতিষ্ঠিত ছিল । এখন কক্ষমধ্যে একটি অতি পুরাতন কাষ্ঠ-নিৰ্ম্মিত বৃহৎ সিন্ধুকের जांछ" श्रृंक्लिग्नां ब्रश्ब्रिां८छ् ।। ७ांश ७४ां८न् ब्रहिब्रांद्दश् ¢कन, কেন্থ তাহার সদুত্তর প্রদান করিতে পারে না। মদিন

  • Creighton's report says—“even in Orme's day British Engineers had largely utilised its ruins.”