২৬৮ “জীবনের সমালোচনা" বুঝি তবে হেমের অনেক কবিতা পষ্ঠ নহে । আর যদি পদ্য “ভাবময়ী চিন্তা” impassioned thought হয় তবে হেমের পষ্ঠ কাহারও অপেক্ষ নিকৃষ্ট নহে ; তিনি অনেকগুলি প্রথম শ্রেণীর পদ্য লিথিয়াছেন। তার এক একটা রচনা পড়িয়া উঠিবার সময় বোধ হয় না ষে আগে যাহা ছিলুম সেই মানুষই রহিয়াছি ; অনুভব করি যে মনটা বিচলিত উচ্ছসিত হইয়াছে, এই নীচ ধুলোমাখ জগৎ হইতে উচু হইতে ইচ্ছা হয়,—ইহাই পদ্যের কাজ । অন্তদৃষ্টি ও বিশ্লেষণের অভাব। নবপ্রথার শ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত রবীন্দ্র নাথে অন্তদৃষ্টি introspection বড় বেশী; তিনি মনের ভাব গুলি অতি সুহ্মভাবে বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করেন। বড়ই তলাইয় দেখেন ; একটি মাত্র হৃদয় অথবা এক হৃদয়ের ভাববিশেষ লইয়া তাহাকে এত নাড়িয়া চাড়িয়া উলটিয়া পালটিয়া পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করেন যে তাহার কোন ভগ্নাংশেরও দৃষ্টি এড়াইবার যে নাই। আমার মনে হয় ভারতবর্ষের পক্ষে ইহার একটি বিশেষ কারণ আছে। 象 রাজনৈতিক নৈরাশ ও আধুনিক কবিতা । হেমচন্দ্রের যৌবনে যে প্রবল আশা ও স্বদেশপ্রেম বাঙ্গলাকে নাচাইয়াছিল, তাহা চলিয়া গেল ; কারণ ফল আশানুরূপ হয় নাই। নৈরাশ উৎসাহের স্থান অধিকার করিল। নেতারা “মুমেরু হইতে কুমারী অবধি” জগৎজয়ের আশা অনেক দিন হইল ছাড়িয়া দিয়াছেন; শুধু দুটো মোট খেয়ে মোটা পরে মানসন্ত্রম বজায় রেখে দেশের লোক দেশে থাকবে এই ভাবনায় ব্যস্ত! সমাজ-সংস্কারের স্রোত ও প্রতিহত নিবৰ্ত্তিত হয়েছে। নুতন স্বচ্ছ জলের পূর্ণ উচ্ছ্বাসের স্থানে শুধু কাদা ও কঙ্কর হাতে লাগছে, আমাদের উদ্যম উৎসাহ বহির্জগত হতে প্রতিহত পরায়ুখ হয়ে আমাদের গৃহে ও হৃদয়ে আবদ্ধ হয়েছে। যে জলরাশি মাঠের উপর দিয়া বিস্তারিত হলে লোকে দেখতে পেত কিনা সন্দেহ, তাহাই সঙ্কীর্ণ বাধের মধ্যে আবদ্ধ হওয়ায় স্ফীত ভীষণ, দ্রুতগামী হয়েছে। মানসদৃষ্টি সংকুচিত হওয়ায় আমাদের
- মাধু জাৰ্ণল্ড নামক সমালোচক-শ্লেষ্ঠের মত -এখনও সকলে जबूरबांनन क८झन नाई।
প্রবাসী । १भ छांश । introspective করে তুলেছে; আমাদের ভাবগুলি বেশী গভীর, বেশী সূক্ষ্ম, বেশী তীব্র। - রবীন্দ্রনাথ ভিন্ন আমাদের আর কোনও কবি বা ঔপন্যাসিক এত সুক্ষ্মরূপে চরিত্রের ব্যবচ্ছেদ করেন নাই, আর কেহই হৃদয়ের নিম্ন হইতে নিম্নতর স্তরে প্রবেশ করেন নাই। এর সঙ্গে তুলনায় হেমনবীনের রচনাকে অনেক সময় সেকেলে বাধাগদ (conventional ) ® ■\& বোধ হয় | এই দেখুন হেমচন্দ্র তাহার “ কালচক্র” “অশোকতরু” “জীবন মরীচিকা” প্রভৃতি অনেকপছে নিজ জীবনে বিফলতার কথা বলে আক্ষেপ করেছেন ; ইহার ধরণ একরকম, এটা আমাদের সুপরিচিত, কতকটা সেকেলে । আর দেখুন রবীন্দ্র ব্যর্থমনোরথে গাইতেছেন – দেবি ! আজি জাসিয়াছে অনেক যন্ত্রী শুনাতে গান অনেক যন্ত্র আনি । श्रांभि पञांनिग्नांछ् िहिन्न उक्षेौ नौब्रश झांन এই দীন বীণা থানি। তুমি জান ওগো করি নাই হেলা পথে প্রাস্তরে করি নাই খেলা শুধু সাধিয়াছি বসি সারাবেল শতেক বার। 發 密 3k স্তত্বহীন তাই রয়েছি দাড়ায়ে সারাটি ক্ষণ আনিয়াছি গীতহীন আমার প্রাণের একটি যন্ত্র বুকের ধন ছিন্নতন্ত্রী বীণা ৷ 家 实 3k 家 য। কিছু আমার আছে আপনার শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম - দিতেছি চরণে আসি— অকৃত কাৰ্য্য, অকথিত স্বাণী, অগীত গান বিফল ৰাসনারাশি । এই দুই শ্রেণীর ভাবের মধ্যে কত তফাৎ তাহ সহজেই বুঝা যায়। রবীন্দ্র সংসার-যুদ্ধে পরাস্ত ; কৰ্ম্মক্ষেত্রে চেষ্টার সফলতা পান নাই ; তাহার সাধনা সিদ্ধ হয় নাই। কিন্তু তিনি তাহাতে নিজের অস্তরে অপমানিত বা ক্ষুব্ধ বোধ করিতেছেন না। “জগৎসভার কাছে অজ্ঞাত অখ্যাত” হউন না কেন, উচ্চ আদর্শ (ideal) ছাড়েন নাই। তাহার আরাধ্যা দেবীর কাছে সেই ভষ্মমনোরথ সেই বিফলবাসনা উপহার দিতেছেন ; কারণ সব পরাজয়ই লজ্জার কথা নছে, সব সফলতাই গুণের প্রমাণ নহে ; মধু চেষ্ট, এমন কি হতাশযুদ্ধ, প্রকৃত পুরুষজের পরিচয় দেয়। 实