৫ম সংখ্যা । ] , মহৎ উদ্দেশু, অসিদ্ধ হষ্টলেও, মহৎ থাকে। হেমচন্দ্রে এ, ভাবের আভাস নাই। কিন্তু আগেই বলিয়াছি যে, এরূপ পদ্যে বহুব্যাপী ntarsts (broad human interest) az ELTE FR যাইতে পারে না। এরূপ পদ্যে যাহারা মগ্ন হন তাহারা শিক্ষিত সমাজে সংখ্যায় কম। তাই, যখন স্বধু দুষ্ট একটি লোক রবীর সঙ্গে গুণ গুণ করিয়া বলিতে থাকেন— 象 দেবি, অনেক ভক্ত এসেছে তোমার চরণ তলে অনেক অর্থ্য জানি ; আমি অভাগ্য এনেছি বহিয়া অশ্রুজলে ব্যর্থ সাধন খানি । অথবা, 锻 摯 নাথ যার যাহা অাছে তার তাই থাক, আমি থাকি চির লাঞ্জিত, শুধু তুমি এ জীবনে, নয়নে নয়নে, থাক থাক চির বাঞ্ছিত । তখন সহস্ৰ সহস্র হতাশ কণ্ঠ হেমের প্রতিধ্বনি করিবে— জীবন এমন ভ্রম, আগে কে জানিত রে ? কাব্যগঠন ক্ষমতা । রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টি স্বাক্ষ আবদ্ধ থাকায় হার কাব্যগঠন ক্ষমতা খৰ্ব্ব হয়েছে। যেমন তাহার ছোট গল্পগুলি বড় সুন্দর, উৎকর্ষের চরমসীমায় পৌছিয়াছে, কিন্তু দীর্ঘ নভেলগুলি তাহ নহে। কাব্যগঠন অর্থাৎ মালমশলার ঠিক আয়োজন ও বিন্যাস করিতে মাষ্টকেল প্রথম, তারপর হেম, তারপর রবি। কিন্তু মাইকেলও প্রথম শ্রেণীর नष्टश्म । ষে শিল্পী তাজমহলের নক্সা (plan) আঁকিয়াছিল তাহার. প্রতিভা একমত, আর যে কারিগর তাজের একটি প্রস্তরফলক লইয়া তাহাতে অতিসূক্ষ্ম বিশ রকম পাথর বসাইয়াছে (mosaic) তাহার প্রতিভা অন্য মত। অথবা যেমন একজন ওলন্দাজ চিত্রকর ছয়মাস ধরিয়া একটি কপি গাছ আঁকে, প্রত্যেক পাতার প্রত্যেক ভাজটি রঙ্গটি রেখাটি সযত্বে নকল করে ; অথচ সেই সময়ের মধ্যে মাইকেল-এঞ্জেলোর মত ইতালীর চিত্রকর রোমের প্রকাও ধৰ্ম্ম-প্রাসাদের ভিতরের ছাদ কত সাধু যোগী ও দেবদূতের চিত্রে পূর্ণ করিয়া ফেলেন। - WikitanvirBot (আলাপ) ০০:০৯, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) : " -- ... (Construction) দুই রকম কবি—হেমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ । ఫిJసి কিম্বা যেমন ডাক্তার রস অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে রোগীর একবিন্দু রক্তে কত সহস্ৰ জরের পোকা আছে তাহা গণেন, অথচ সেই সময়ের মধ্যে Cuvier বা Linnaeus শত শত জন্তু ও উদ্ভিদকে বৈজ্ঞানিক নিয়মে সুসজ্জিত শ্রেণীবদ্ধ করেন । রবীন্দ্র অণুবীক্ষণধারা ডাক্তার বা ওলন্দাজ চিত্রকর ; মাইকেল, চেম, বঙ্কিম ঠিক মাইকেল-এঞ্জেলোর মত । গদ্যে “আনন্দমঠ” ও “চোখের বালী” * এই দুই শ্রেণীর পার্থক্য বেশ বুঝাইয় দেয়। প্রকৃতিবর্ণন । হেমের স্ব লববর্ণনার প্রধান লক্ষণ এই দুটি—ইহ উপমামুলক এবং মানব-সংস্পষ্ট। কবি পদ্মের মৃণাল দেখিলেন আর অমনি তাঙ্গর সাদশে জাতীয় উত্থান পতনের কথা মনে হইল ; বিন্ধ্যগিরি দেখিয়া আমনি সেকাল ও একালের পার্থক্য মনে পড়িয়া গেল । কোন একটি পার্থীর ডাক শুনিয়া সেই মত প্রেয়সীর কথা হৃদয়ে জাগিল। অশোকতরু, যমুনাতট, সকলষ্ট গাছ বা নদী ছাড়া অন্য ভাবনা কবির হৃদয়ে জাগ্রত করে । অর্থাৎ বৃক্ষ নদী পৰ্ব্বত প্রভৃতিতে কবি যেন জীবন দেখিতে পান না ; ও গুলির নিজের কোন মূল্য বা আদর নাই ; তাহারা কেবল এই জন্ত সৃষ্ট হইয়াছে যে উপমার পদার্থ হইয়। কবির হৃদয়ে অপর কোন দ্রব্যের—জাতি, দেশ, মানবজীবন, অতীত স্মৃতি প্রভৃতির—ভাব আনিয়া দিবে, অথবা উহাদের রঙ্গ গন্ধ শব্দ আমাদের বাহেন্দ্রিয় তৃপ্ত করিবে। সুতরাং এই “অপর কোন দ্রব্য”ষ্ট হেমের নিকট প্রকৃতির চেয়ে বেশী আদরণীয় । হেমচন্দ্র প্রকৃতি-বর্ণনা করিতে গিয়া সুধু প্রকৃতির, দৃশু লষ্টয়াই সন্তুষ্ট থাকিতে পারেন না ; উহার সঙ্গে মানবকে ংযোগ করিয়া দিতে না পরিলে অমৃগী হন । অর্থাৎ প্রকৃতি মানবের কাজের মানবের মনোবৃত্তির পট background মাত্র হইয়া দাড়ায় । নবীনের ভাবও ঠিক এই মত ; • আমার দৃষ্টান্তটা ঠিক হয় নাই। “চোখের ঘালীতে" যথেষ্ট গঠননৈপুণ্য আছে।
পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।