পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミbペ ভন সম্বরণ করিতে না পারিয়া কহিল—“ই, সব পড়া হয়ে গেছে।” ছেলেটি বিন্মিত হইয় একটু নিঃশ্বাস ফেলিল । ન বোধ হয় ভাবিল এত বিদ্যা সেও কত দিনে শেষ করিতে পরিবে ! বিনয়। “তোমার নাম কি ?” “আমার নাম শ্ৰীসতীশচন্দ্র মুগোপাধ্যায়।” বিনয় বিন্মিত হইয়া কহিল—“মুখোপাধ্যায় ?” তাহার পরে একটু একটু করিয়া পরিচয় পাওয়া গেল । পরেশ বাবু ইহাদের পিতা নহেন—তিনি ইহাদের দুই ভাই বোনকে ছেলেবেলা হইতে পালন করিয়াছেন । ইহার দিদির নাম আগে ছিল রাধারাণী—পরেশ বাবুর স্ত্রী তাহ পরিবর্তন করিয়া “সুচরিতী” নাম রাখিয়াছেন । দেখিতে দেখিতে বিনয়ের সঙ্গে সতীশের খুব ভাব তষ্টয়া গেল। সতীশ যখন বাড়ি যাইতে উদ্যত হইল বিনয় কহিল —“তুমি একূল যেতে পারবে ?” সে গৰ্ব্ব করিয়া কছিল-—“আমি ত একৃল যাই।” বিনয় কহিল—“চল আমি তোমাকে পৌছে দিষ্ট গে।” তাহার শক্তির প্রতি বিনয়ের এই সন্দেহ দেখিয়া সতীশ ক্ষুব্ধ হইয়া কহিল,—“কেন আমি ত একলা যেতে পারি ” এই বলিয় তাহার একলা যাতায়াতের অনেকগুলি বিস্ময়কর দৃষ্টাস্তের সে উল্লেখ করিতে লাগিল। কিন্তু তবু যে বিনয় কেন তাহার বাড়ির দ্বার পর্য্যন্ত তাহার সঙ্গে গেল তাহার ঠিক কারণটি বালক বুঝিতে পারিল না। সতীশ জিজ্ঞাসা করিল—“আপনি ভিতরে আসবেন না ?” বিনয় সমস্ত মনকে দমন করিয়া কহিল—“আর একদিন আসব।” বাড়ি ফিরিয়া আসিয়া বিনয় সেই শিরোনাম লেখা লেফাফ পকেট হইতে বাহির করিয়া অনেকক্ষণ দেখিল— প্রত্যেক অক্ষরের টান ও ছাদ একরকম মুখস্থ হইয়া গেল— তার পরে টাকা সমেত সেই লেফাফা বাক্সের মধ্যে যত্ন করিয়া ৰাখিয়া দিল। এ কয়ট টাকা যে কোনো দুঃসময়ে খরচ ফুরিবে এমন সম্ভাবনা রহিল না । . . . 을 | বর্ষার সন্ধ্যায় আকাশের অন্ধকার যেন ভিঞ্জিয়া ভারি প্রবাসী। هینه -- به ۶۰۰۰ - دهه ۶۰ میان همه دهه ه*۰چاه داده [ १भं छांश । হইয়া পড়িয়াছে। বর্ণহীন বৈচিত্র্যহীন মেঘের নিঃশব্দ শাসনের নীচে কলিকাত সহর একটা প্রকাও নিরানন্দ কুকুরের মত ল্যাজের মধ্যে মুখ গুজিয়া কুগুলী পাকাইয়া চুপ করিয়া পড়িয়া আছে। কাল সন্ধ্যা হইতে টিপটপ, করিয়া কেবলি বর্ষণ হইয়াছে ; সে বৃষ্টিতে রাস্তার মাটিকে কাদা করিয়া তুলিয়াছে কিন্তু কাদাকে ধুইয়া ভাসাইয়া লইয় যাইবার মত বল প্রকাশ করে নাই। আজ বেলা চারটে হইতে বৃষ্টি বন্ধ আছে কিন্তু মেঘের গতিক ভাল নয়। এইরূপ আসন্ন বৃষ্টির আশঙ্কায় সন্ধ্যাবেলায় নির্জন ঘরের মধ্যে যখন মন টেকে না এবং বাহিরেও যখন আয়াম পাওয়া যায় সেই সময়টাতে দুটি লোক একটি দোতলা বাড়ির স্যাৎসেতে ছাতে দুটি বেতের মোড়ার উপর বসিয়া আছে। এই দুই বন্ধু যখন ছোট ছিল তখন ইস্কুল হইতে ফিরিয়া আসিয়া এই ছাতে ছুটাছুটি খেলা করিয়াছে ; পরীক্ষার পূর্বে উভয়ে চীৎকার করিয়া পড়া আবৃত্তি করিতে করিতে এই ছাতে দ্রুতপদে পাগলের মত পায়চারি করিয়া বেড়াইয়াছে ; গৰ্ম্মিকালে কলেজ হইতে ফিরিয়া রাত্রে এই ছাতের উপরেই আহার করিয়াছে, তার পরে তর্ক করিতে করিতে কতদিন রাত্রি দুইটা হইয়া গেছে এবং সকালে রৌদ্র আসিয়া যখন তাহাদের মুখের উপর পড়িয়াছে তখন চমকিয় জাগিয়া উঠিয়া দেখিয়াছে সেই থানেই মাছুরের উপরে দুইজনে ঘুমষ্টিয়া পড়িয়াছিল। কালেজে পাস করা যখন একটাও আর বাকি রহিল না তখন এই ছাতের উপরে মাসে একবার করিয়া যে হিন্দুহিতৈষী সভার অধিবেশন হইয়া আসিরাছে এই দুই বন্ধুর মধ্যে একজন তাহার সভাপতি এবং আর একজন তাহার সেক্রেটরি। g যে ছিল সভাপতি তাহার নাম গৌরমোহন ; তাহাকে আত্মীর বন্ধুরা গোর বলিয়া ডাকে । সে চারিদিকের সকলকে যেন খাপছাড়া রকমে ছাড়াইয়া উঠিয়াছে। তাহাকে তাহার কলেজের পণ্ডিতমহাশয় রজতগিরি বলিয়া ডাকিতেন। তাহার গায়ের রংটা কিছু উগ্ররকমের শাদা— হলদের আভা তাহাকে একটুও স্নিগ্ধ করিয়৷ মানে নাই। মাথায় সে প্রায় ছয় ফুট লম্বা,*হাড় চওড়া, দুই হাতের মুঠ যেন বাঘের থাবার মত বড়-গলার আওয়াজ এম্‌নি মোটা ও গভীর ষে হঠাৎ শুনিলে “কেরে” বলিয়া চমকিয় উঠতে