পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯০ ছাত্র তাহার সহিত সম্মিলিত হইলেন। একটা ঘরে ভ্ৰহ্মোপাসনা আরম্ভ করিয়া দিলে, কথা শীঘ্র প্রচারিত হইয়া পড়িল । তখন সামাজিকগণ বিরোধী হইয়া স্বভাবতঃ নানাপ্রকার বিঘ্ন জন্মাইতে আরম্ভ করিলেন। তখন পৰ্য্যস্তও অবিচলিতভাবে সমাজের কার্য্য সম্পন্ন হইতে লাগিল। কিন্তু বিধাতার এমনই বিধান যে সাধুকৰ্য্যের সিদ্ধির জন্তই যেন বিন্নুরূপ পূর্ণাহুতির একান্ত প্রয়োজন হইয়া উঠে। একদিন উপাসনা করিতেছেন এমন সমরে সহসা কতকগুলি লোক তাহদের গৃহে প্রবেশ করিয়া উপাসনা ভাঙ্গিয়া দিল, এবং র্যাহারা নিশ্চিন্তে উপাসনার আনন্দভোগ করিতেছিলেন, তাহাদিগকে কিঞ্চিৎ প্রহারের তিক্তরস আস্বাদন করিতে দিলেন । ভক্তিসাধনায় বিভীষিক চিরদিনই পরম ঔবধ । ইহাতে কৃত্রিম ভক্তি অচিরে চুর্ণ বিচূর্ণ হয় কিন্তু সরল ভক্তি পূর্ণতাপ্রাপ্ত হইয়া জীবন যৌবনে গৌরবমণ্ডিত হইয় উঠে। এখানকার সামাজিকগণ বেশ উদ্যোগী পুরুষ ছিলেন ; তাহার এখানেই ক্ষাস্ত না হইয়া মেষ্ট ব্রহ্মোপাসনার গৃহে এক কালীমূৰ্ত্তি স্থাপিত করিলেন এবং তাহার সেবার জন্ত অবিলম্বে সেবায়ত নিযুক্ত করিলেন। এ পর্যন্ত সামাজিকগণ যাহা কৰ্ত্তব্য মনে করিয়াছিলেন তাহ ঠিকই করিয়াছেন, ইহাতে র্তাহদিগের প্রতি দোষারোপ করা যায় না । কিন্তু তাহার পর যখন উমেশচন্দ্র প্রতিবেশীগণকে এই কথা জানাইলেন তখন র্তাহারা অমানবদনে বলিলেন, আমরা আজন্মকাল ওটিকে কালীমন্দির বলিয়া জানি । উমেশচন্দ্রের আর প্রত্যুত্তর করিবার কিছুই থাকিল না। এখন তিনি কি করিবেন এই চিন্তা করিতে লাগিলেন। ভক্তের ভগবান সহায় হইলেন । র্তাহাকে নিরুপায় দেখিয়া একজন ভদ্রলোক র্তাহাকে আশ্বাস দিয়া বলিলেন, যতদিন আপনাদের উপাসনার জন্ত আর কোন স্থান না হয়, আমার বাড়ীতেই আপনার উপাসনা করিবেন। তিক্তের মধ্যে উমেশচন্দ্র ভগবানের করুণার মধুস্তৃতার আস্বাদন পাইলেন। যখন পরবর্তীকালে এই বিদ্বেষী সামাজিকগণ স্বেচ্ছাপূর্বক ব্ৰহ্মমন্দিরের জন্য ভূমি দান করিয়া ধন্ত হইয়াছিলেন, তখন উমেশচক্সের কৃতজ্ঞझूमाछ, कि चमृठशांछिद्र झांबन ऊँटैिब्रांहिंण ; विषांडाहे প্রবাসী । - তাছার সাক্ষী হইয়া রহিয়াছেন। তাতার উদারত, স্নেহ [१म खाण ! ۰۰ سه دهه ۰عده ده همهه-۲۰ م. م. - শীলতা এবং ধৰ্ম্মজীবনের প্রভাব গ্রামবাসীদিগকে একেবারে আপনার করিয়া তুলিল। যখন কলিকাতায় উর্বরভূমিতে এই কম্মিষ্ঠ কৃষক আপনার কৰ্ম্মস্থান নিদিষ্ট করিয়া লইলেন তখনও হরিনাভিতে প্রতি সপ্তাহে যাইয়া উপাসনা করিতেন এবং বার্ষিক উৎসবাদি নিয়মিতরূপে সম্পন্ন করিয়া অপার প্রীতি অনুভব করিতেন। কলিকাতাই তাহার শেষ এবং প্রধান কৰ্ম্মক্ষেত্র। এখানে তাহার প্রিয়তম সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ, সিটি কলেজ এবং মুকবধির বিদ্যালয় তাহার নীরব প্রাণপাতের সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। কত অবিশ্রাস্ত পরিশ্রম, উৎসাহময় রাত্ৰিজাগরণ, সাংসারিক ক্লেশ এবং স্বার্থনাশের পর সিদ্ধির মুখ দেখিয়াছেন কে তাহ বলিয়া উঠিতে পারে ? কোনও সাধুকাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করিলে পদে পদে বাধা বিঘ্ন তো আছেই, সঙ্গে সঙ্গে লাঞ্ছন যেন শতমুখী হইয়া ভয়ঙ্কররূপে নিগৃহীত করিতে থাকে। অর্থের অনটনে কতবার অন্ধকার দেখিতে হইয়াছে ; উমেশচন্দ্র কেবল অবিচ্ছিন্ন উদ্যম ও অদম্য অধ্যবসায়বলে কুলপ্রাপ্ত হইয় দাড়াইতে পারিরাছিলেন । সমস্ত ঝটিকা মাথা পাতিয়া লইয়াছেন কখন কোন অভিযোগ করেন নাই। ব্রাহ্মসমাজের নানা বিভাগে, সিটি কলেজের নানা ক্ষেত্রে, মুকবধির বিদ্যালয়ে, অনাথবন্ধু সমিতিতে, ভারতসভায়, সিনেট হাউসে, একটা মানুষ যেন দশ জন হইয়া থাটিতেন, অথচ কোলাহল নাই। এমন নিস্পৃহ, নিষ্কাম, শাস্ত, আত্মসংযত, কৰ্ম্মযোগী সচরাচর প্রকৃতই বড় ফুল্লভ। . তিনি নরনারী উভয়েরই সেবার জষ্ঠ যেন জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন এবং কি ভাবে সেই মহাত্ৰত উদ্যাপিত করিতে চেষ্টা করিয়াছেন তাহা ভাবিলে বিস্মিত ও পুলকিত হইতে হয়। পুরুষদিগের জন্ত যেমন ভাবিয়াছেন এবং খাটিয়াছেন, নারীজাতির জন্তও তেমনি অক্লাস্ত পরিশ্রম করিয়া গিয়াছেন। বামবোধিনী পত্রিকা, বেথুন কলেজ - এবং ব্রাহ্মবালিকা শিক্ষালয় তাহার অদ্ভুত আত্মত্যাগের সাক্ষ্যপ্লদান করিতেছে।. “নরনার সাধারণের সমান অধিকার थांब्र त्रांरह छखि cन नाएष यूखि नहि जांउ विकीब्र " नब्रञांद्रौग्न जभांन अशिंकांदग्न छैॉश् छिब्रलिन जघ्रेण दिंश्वांग