পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ঠ সংখ্যা । ] , । বলিয়া তাড়াতাড়ি অনেকগুলি নিমন্ত্রিত ব্যক্তির হস্ত কম্পন করিলেন ; প্রত্যেকেরই হাতে এক একটি ছোট-ছোট ফুলের তোড়া দিয়া তাহার উপর একটু গোলাপজল ছিটাইয়া দেওয়া হইল। এই মারাকান-যেখানে প্রত্যেক বৃক্ষই যেন এক একটি ঝাড়-লণ্ঠন, প্রত্যেক তরুকুঞ্জই এক একটি আতস-ৰাজির নক্সা,—এইখানে সকল জাতীয় লোক, সকল শতাবির সর্বপ্রকার পরিচ্ছদধারী লোক একত্র হইয়াছে—তাহাদের ঝকমকে বিচিত্র বেশভূষা হইতে বিছাছুট,—কিরণচ্ছটা বিচ্ছুরিত হইয়া উদ্যানভূমির দীপ্ত আলোকে বিলীন হইতেছে। রাজপুরুষ ও কনসলদের পরিচ্ছদ,-চুমকি ও সন্মান-ভূষণে সমাচ্ছন্ন, পার্সি-পুরোহিতের শুভ্র বসন, শুভ্র উষ্ণীষ—পার্সি রমণীর জর্দা রঙ্গের শাড়ী— কিন্তু হায়! এই রমণীর সংখ্যা বড়ই কম ; রাণী ভিক্টোরিয়ার অভ্যর্থন পাইয়া যাহারা সম্মানিত এইরূপ দুইটি প্রখ্যাত সুন্দরীকে দেখিলাম ; আর দেখিলাম,-কতকগুলি রাজপুত রাজকুমার ;–কিংখাপের পরিচ্ছদ-গলায় হীরা ১মুক্তার কণ্ঠমালা, মাথায় শোভন শ্ৰীপচুকলকাভূষিত শাদী, বেগুনী, জর্দা রঙ্গের পাড়ী। তাহদের স্বল্প শ্বশ্ৰ মুখের দুইধারে তালবৃত্ত্বের স্তায় বিস্তারিত এবং তাহার দুই প্রাস্ত বিকুঞ্চিত । উহাদের জলস্ত চক্ষু, উহাদের পিত্তলবর্ণ উজ্জল গাত্র,—বৃক্ষনিঃস্থত আলোকচ্ছটায় আরও যেন দীপ্তি পাইতেছে। এই সমস্ত দৃপ্ত খুবই উজ্জ্বল, কিন্তু প্রমোদময় নহে ; ইহাতে কি যেন একটা অভাব আছে। উপরে, আর একটা উৎসব চলিতেছে ; উহা লোকলোচনের অদৃশু ; কেবল অনুমানে বুঝা যাইতেছে, সেখানেও খুব আলোর ঘটা। সে 'সপ্তম, স্বৰ্গ আমাদের অনধিগম্য—সেখানে আমাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ; উহা রমণীদের উৎসব; সেখানে রমণীরা পুত্তল্পিকার স্তায় সজ্জিত হইয়া আছে ; উহাদের মধ্যে, নববিবাহিতা বালিক অবগুণ্ঠনে আচ্ছাদিত হইয়া সিংহাসনে বিরাজ করিতেছে। স্বীয় পতি ছাড়া আর কোন পুরুষই তাছাকে দেখিতে পাইতেছে না। § €tछाडिब्रिठमां५ %ांकूद्र । शैव्रक देिखुऊ कन्न। లిసే হীরক প্রস্তুত করা। সকলেই জানেন হীরক একপ্রকার বহুমূল্য খনিজ রত্ন। " হীরক দ্বারা কাচ কাটা যায় তাহাও অনেকে বিদিত আছেন। এই যে সে দিন বোয়ার যুদ্ধ হইয়া গেল, বলিতে গেলে তাই কেবল মাত্র কিম্বার্লির হীরকের খনির জন্ত । چه শুধু কিম্বার্লিতে এত হীরক পাওয়া গিয়াছে যে যদি যত পাওয়া যায় সকল গুলিই বাজারে দেওয়া হইত তাহ হইলে হীরকের বহুমূল্যতা লোপ পাইত। সেই জ্বল্প কিম্বালির খনির স্বত্বাধিকারিগণ অল্পে অল্পে হীরক বাজারে দিতেছেন। দুই এক বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ খনি হইতে এক অতি বৃহৎ হীরকখও পাওয়া গিয়াছে। হীরকের উজ্জলতা ও মনোহারিত্বের বিষয় অধিক বলিবার প্রয়োজন নাই। আমার যখন মনে হয় যে “কোহিকুর” ভারতবর্ষে বহুকাল ছিল, তখনই আমার সদয়ে এক অহঙ্কারের ভাব আসে। আট নয় বৎসর আগে সকলের বিশ্বাস ছিল হীরক কখনও মানুষে প্রস্তুত করিতে পরিবে না। কিন্তু বিজ্ঞানের অসাধ্য কিছুই নাই। হীরকও মানুষে তৈয়ারী করিয়া ফেলিয়াছে । আমি অল্প হীরক প্রস্তুত করিবার প্রণালী পাঠকগণকে উপহার দিব । আমি বিজ্ঞানবিৎ নহি এবং আমার জ্ঞানও অতি সামান্ত ; অতি সংক্ষেপে আমার বক্তব্য শেষ করিব। পাঠকপাঠিকাগণের ধৈর্য্যচুতি হইবার সম্ভাবনা নাই। জলে লবণ কিম্বা চিনি নিক্ষেপ করিলে তাহ গুলিয়া যায়। ছাকিলে আর তাহ বাছির করা যায় না। বোধ হয় লবণটা দ্রবীভূত হইয়া গিয়াঁছে। যদি একটু জলে আস্তে আস্তে চিনি বা সোরা দিতে থাকি, খানিকক্ষণ । পরে আর যত দিই না কেন আর গুলিবে না। কিন্তু . যদি জলট একটু গরম করি তাহা হইলে আর একটু সোর দ্রবীভূত হইবে। তাহার পর তাহ ছাকিয়া যদি . আবার ঠাও করি, দেখা যাইবে আবার খানিকটা সোরা । তলিয়ে পড়েছে। ইহাতে বোঝা গেল যে গরম, জলে যতটা সোর দ্রবীভূত হয়, ঠাণ্ড জলে ততটা হয় না। – আর একটা কথা পাঠক মহাশয়কে বলিয়া রাখা ।