পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

”ང་རྩྭ་རྩི་ সংখ্যা । ] بی. و میه. هه هقعه هخ* جمع*** অবহিত হইয়া জলসেক করিতে হইবে। এই জলসেকের কাজ শিক্ষিত সম্প্রদায়ের হস্তে । বীজ এখন আপনার অস্তিত্ব আপনি অবগত নহে। তাহার প্রাণ অাছে, কিন্তু চেতনা নাই ; যে চেতন থাকিলে আপনার অস্তিত্ব জানিতে পারা যায়, সে চেতনা নাই। বীজকে বাচাইয়া রাখিতে হইবে ও বাড়াইতে হইবে ; কালে সে চেতাষ্টয়া উঠিবে ও জানিবে যে ভারতবর্ষ একটা মহাজাতির আবাসভূমি ; হিন্দু, মুসলমান বাঙ্গালী পঞ্জাবী ধনী দরিদ্র সেই মহাজাতির অন্তর্গত ; আমিই হিন্দু, আমিই মুসলমান, আমিই বাঙ্গালী, আমিই পঞ্জাবী, আমিই সেই ভারতবাসী মহাজাতি । বল বাস্থল৷ সেই বীজটির প্রাণশক্তির বিরুদ্ধে সহস্ৰ বজ্ৰ উষ্ঠত হইয়া আছে। সাবধানে সঙ্গোপনে সেই অন্নপ্রাণ বীজকে এখন রক্ষা করা আবশ্বক। অনুরোদগমের পূৰ্ব্বেই বজ্ৰ নিক্ষিপ্ত হইলে ভবিষ্যতের ভরসা থাকিবে না । ইহারই নাম ‘কুৰ্ম্মবৃত্তি’ অবলম্বনে নীরবে বলসঞ্চয়—আস্থানিক ও অস্বাভাবিক আস্ফালনেও যেরূপ ইহার প্রাণহানির শঙ্কা আছে, সেইরূপ নিষ্ঠার অভাব, অনুরাগের অভাব, যাহা বিজ্ঞের দল দেখাইতেছেন—সেই অভাবেও তাহ শুকাইয়া যাইবার সম্ভাবন রহিয়াছে। শ্রদ্ধার সহিত নিরলস হইয়া সেই বীজে জলসেক করাই আমাদের প্রধান কাজ এবং যতদিন আমাদের কাজের পথ বন্ধ না হয়, ততদিন যে কাজটুকু আমাদের সাধ্য তাহার সম্পাদনেই সেই জলসেক হইবে, ইহাও স্বীকার না করিয়া উপায় নাই । চাই কি, কাজের পথ সৰ্ব্বতোভাবে রুদ্ধ হইবার পূৰ্ব্বেই বীজ অঙ্কুরে পরিণত হইতে পারে, এবং অঙ্কুর একবার গজাইয়া উঠিলে তাহার ধ্বংস সাধন হয় ত প্রতিকুল শক্তির পক্ষে সম্পূর্ণ সাধ্য হইবে না। কাজেই রবীন্দ্র বাবুর সহিত মানিয়া লইলাম, হাতের কাছে যাহার যে কাজ আছে, তাহাকে সেই কাজেই লাগিতে হইবে। ভবিষ্যতের ভাবনা ত্যাগ করিয়া বর্তমানে যাহা সাধ্য তাহ ফেলিয়া রাখিলে চলিবে না । কিন্তু এই কাজ করিবেকে? দেশের লোক যদি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইব কাজ করিতে প্রস্তুত থাকিত, তাছা হইলে ত উপদেশের কোন দরকারই হইত্ত না । কিন্তু চোখের উপর দেখিতেছি দেখেই লোক.আপনার করায়ত্ত কাজ করিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ব্যাধি ও প্রতিকার । किस् অঙ্কুরিত করিতে হইলে সেই বীজে শ্রদ্ধার সহিত ૭૭ নছে। প্রস্তুত নহে বলিয়াই কাজ কর কাজ কর ইলিয়া অবিরত চীৎকার করিতে হইতেছে, কিন্তু যে কাজে অলস, কাজের পরিশ্রম স্বীকারে যে অনিচ্ছুক, কাজে অনভ্যাসে যার কৰ্ম্মেন্দ্রিয় জড়ত্বগ্রস্ত, উপদেশের দ্বারা তাহাকে কাজে লাগান যায় না। ভবিষ্যতের অনিষ্টের আশঙ্কাও এরূপ অলসকে ও অক্ষমকে কৰ্ত্তব্যকাজে নিযুক্ত করিতে পারে না। এখানে উপদেশের বিশেষ কাৰ্য্যকারিতা নাই। কৰ্ম্মে প্রেরক জ্ঞানও নহে, বুদ্ধিও নহে, কৰ্ম্মে প্রেরণ করে ভাবে । ভাবের প্রবাহে মানুষ কৰ্ম্মে প্রেরিত হয়, ও অসাধ্য সাধনা করিয়া ফেলে। মনুষ্য জাতির ইতিহাস ইহার সাক্ষী। বৃহৎ জনসঙ্ঘে সময়ে অসময়ে যে ভাবের স্রোত বহিয়া যায়, তখন সেই স্রোতের বেগে বাধাবিঘ্ন ভাসিয়া যায়, তখন মুক বাচাল হইয় উঠে, পঙ্গু তখন গিরিলঙ্ঘনে সমর্থ হয় । যাহাম্বের কৰ্ম্মেন্দ্রিয় নিশ্চেষ্ট হইয়া বসিয়াছিল, সহসা স্নায়বিক উত্তেজনা পাষ্টয়া সেই সকল কৰ্ম্মেন্দ্রিয় কাজ করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠে। জ্ঞানের অভাবে হয় ত কাজ পায় না, বুদ্ধির অভাবে হয় ত বিপথে প্রেরিত হয়, বিচার শক্তির অভাবে হয়ত উল্টা কাজ করিয়া বসে, কিন্তু ভাবের তাড়নায় কাজের জন্ত ব্যাকুল হয়। এই ভাবের তাড়নায় উত্তেজিত হইবার শক্তি যদি থাকে, তাহা হইলে সম্পূর্ণ নিরাশ হইবার কারণ থাকে না । যদি ভাবের উত্তেজনাও স্বায়ুযন্ত্রকে উত্তেজিত । করিতে না পারে, যদি স্নায়বিক পক্ষাঘাতে শরীর অবশ হইয়। থাকে, তাহ হইলে কিন্তু কোন আশাই থাকে না । গত আন্দোলনে যে- দেশের মধ্যে একটা ভাবের ঢেউ উঠিয়াছিল, তাহ অস্বীকারের উপায় নাই। উহা হয় ত আন্দোলন মাত্রেই পর্যবসিত ইয়াছে, অথবা কতকগুলা অকাৰ্য্য করিয়া ফেলিয়াছে ; নেতার অভাবে, বিচারশক্তির অভাবে, অভ্যাসের ও জ্ঞানের অভাবে, কি কাজ করিৰে কোন কাজে হাত দিবে, তাহার ঠাহর পায় নাই। কিন্তু ইহ প্রতিপয় হইয়া গিয়াছে, ভারতবর্ষের সমাজ-শরীর নির্জীব নহে। এবং ভাবের প্রবাহট যখন বঙ্গদেশ হইতে । ভারতবর্ষের সমস্ত পরিধি পৰ্য্যন্ত আক্রমণ করিয়াছে, ও ব্রিটিশসিংহও তাছার কেশ সামলাইতে না পারিয়া লাঙ্গুল আস্ফালন ও দন্তৰিকাশ করিতে বাধ্য হইয়াছেন, তখন এই ভাবপ্রবাহকে কোন ভাবুকের ভাবুকামি , বা বালচাপল্য