পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ತಕ್ಷಿ#ಗ 11 'तीर्भग्न मृगानऊइब्र भङ cब ७अ डांब्री दैथिब्रारछन ८गहे তারে ইহার কোনো সুরষ্ট বাজে না ! হায়রে ভারতবর্ষ ! তবে তুমি আমার সমস্ত মনকে তোমার সত্যে ভরিয়া তোল, তাহা হইলে এ মায় আপনিই সরিয়া যাইবে । তুমি আমার প্রাণকে কাড়িয়া লও, আমাকে মরিবার জন্ত প্রস্তুত কর, “আমাকে বাচিবার জন্ত বল দাও, সমস্ত দিনে রাত্রে এক মুহূর্বের জন্ত যেন আমার মধ্যে কোনো শূন্তত না থাকে! এই বলিয়া বিনয় প্রাণপণে তাহার মনে একটা জোর জানিবার চেষ্টা করিল। ভারতবর্ষকে অতান্ত প্রত্যক্ষৰূপে সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়া অনুভব করিতে চাহিল। ইতিহাসের যে সকল স্ট্র নিজের দেশকে অগৌরব কষ্টতে উদ্ধার করিবার জন্য অসহ দুঃখ সছিয়াছেন, তাহারা নিজের দেশকে কতই একান্ত সত্য,—ধনের চেয়ে সত্য, প্রাণের চেয়ে সত্য,— বলিয়া জানিয়াছিলেন, বিনয় সেই আদর্শে নিজের দেশকে হৃদয়ের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে পাইবার জন্ত দুষ্ট মুঠ শক্ত করিয়া নিজের সমস্ত চেতনাকে জাগাইতে চাহিল। কিন্তু কতটুকু ফল হইল! ভারতবর্ষ, স্বদেশ, মাতৃভূমি অসংলগ্ন বাষ্পরাশির তাহার কল্পনাদষ্টকে অস্পষ্টতায় আচ্ছন্ন করিয়া ভাসিতে লাগিল,—বাস্তব পদার্থের মত তাছার বক্ষকে ভরিয়া তুলিয়া *ধর দিল না । কিন্তু ঐ যে মায়াকে, যে ভালবাসাকে আমরা টানিতে চেষ্টা করি না, যে আমাদেরি মন প্রাণ সমস্তই টানিয়া লয় সে ত এমন ফীক নয় ! বিনয় বাসায় না গিয়া ঘূরিতে ঘুরিতে অবশেষে যখন গোরার বাড়িতে আসিয়া পৌছিল তখন বর্ষার দীর্ঘদিন শেষ হইয়া সন্ধ্যার অন্ধকার দেখা দিয়াছে। গোরা সেই সময়ে -আলোট জালাষ্টর লিখিতে বসিয়াছে। গোরা কাগজ হইতে মুখ না তুলিয়াই কহিল—“কি গো, }ৰিনয়, হাওয়া কোনদিক থেকে বইচে ?” - সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া কহিল—“গোরা, о একটা কথা জিজ্ঞাসা করি—ভারতবর্ষ তোমার 黑蠶 খুৰ স্পষ্ট? তুমি ত দিনরাত্রি তাকে মনে " রাখ, কিন্তু কি রকম করে মনে রাখ ?” cशांब्र ८णथा झांक्लिग्न किहूक्रम डांशङ्ग उँौक्रमृहैिं लद्देब्र লিয়ের মুখের দিকে চাহিল—তাহার পরে কলমটা রাখিয়া চৌকির পিঠের দিকে ঠেস্ দিয়া কহিল—“জাহাজের কাপ্তেন যখন সমুদ্রে পাড়ি দেয় তখন যেমন আহারে বিহারে কাজে বিহামে সমুন্ন পারের বন্দরটিকে সে মনের মধ্যে রেখে দেয় *:ভারতবর্ণকু আমি তেমনি করে মনে রেখেছি।" . আছে সেই খানে, शिान् गांरश्रिक्क्क श्डैि अक, ईखिब्राब्र गर्श नत्र ।” গোরা । ........................................................................- يوهمه، وهة" فهمه.» .به মাগু-ৰিকার। ভারতবর্ষের ভারতীৰীে তাহার পবিত্র Qot বিনয়। তোমার কাটা যেদিকে সেদিকে কিছু এটা আছে কি ? গোরা উত্তেজিত হইয়া কহিল—“আছে না ত কি ? আমি পথ ভুলতে পারি, ডুবে মরতে পারি, কিন্তু আমার সেই লক্ষ্মীর বন্দরটি আছে। সেই আমার পূর্ণস্বরূপ ভারতবর্ষ —ধনে পূর্ণ, জ্ঞানে পূর্ণ, ধৰ্ম্মে পূর্ণ—সে ভারতবর্ষ কোথাও নেই ! আছে কেবল চারিদিকের এই মিথ্যেটা ! এই তোমার কলকাতা সহর, এই আপিস, এই আদালত, এই গোটাকতক ইটকাঠের বুদ্বুদ -ছো ! এ সমস্ত কি ছোট, কি ফাকি, কি কদৰ্য্য !” বলিয়া গোরা বিনয়ের মুখের দিকে একদৃষ্টে কিছুক্ষণ চাহিয়া রহিল-—বিনয় কোনো উত্তর না করিয়া ভাবিতে লাগিল। গোর কহিল, “এই যেখানে আমরা পড়চি শুনচি, চাকরীর উমেদারি করে বেড়াচ্চি, দশটা পাচটায় ভূতের খাটুনি থেটে কিযে করচি তার কিছুই ঠিকানা নেই, এই যাদুকরের মিথ্যে ভারতবর্ষটাকেই আমরা সত্য বলে ঠাউরেচি বলেই পচিশ কোটি লোক মিথ্যে মানকে মান বলে মিথ্যে কৰ্ম্মকে কৰ্ম্ম বলে দিনরাত বিভ্রান্ত হয়ে বেড়াচ্চি— এই মরীচিকার ভিতর থেকে কি আমরা কোনো রকম চেষ্টায় প্রাণ পাব! আমরা তাই প্রতিদিন শুকিয়ে মরচি। একটি সত্য ভারতবর্ষ আছে—পরিপূর্ণ ভারতবর্ষ, সেই খানে স্থিতি না হলে আমরা কি বুদ্ধিতে কি হৃদয়ে যথার্থ প্রাণরসট টেনে নিতে পারব না । তাই বলচি আর সমস্ত ভুলে—কেতাবের বিষ্ঠে, খেতাবের মায়া, উৎবৃত্তির প্রলোণ্ডল সব টান মেরে ফেলে দিয়ে সেই বন্দরের দিকেই জাহাজ ভাসাতে হবে-ডুবি ত ডুবুব, মরিত মরব। সাধে আমি ভারতবর্ষের সত্য মূৰ্ত্তি, পূর্ণ মূৰ্ত্তি কোনো দিন ভুলতে পারিনে !” বিনয় । এসব কেবল উত্তজনার কথা নয় ? এ তুমি সত্যি বল ? རྟ་བཟང་། গোর মেঘের মত গৰ্জিয় কছিল—“সত্যিই বলচি !” বিনয়। যার তোমার মত দেখতে পাচ্চে না ? গোরা মুঠ বাধিয়া কহিল—“তাদের দেখিয়ে দিতে হবে। এই ত আমাদের কাজ । সত্যের ছবি স্পষ্ট না । দেখতে পেলে লোকে আত্মসমর্পণ করবে কোন উপছায়ার কাছে ? ভারতবর্ষের সর্বাঙ্গীন মূৰ্ত্তিটা সবার কাছে তুলে ধর—লোকে তাহলে পাগল হয়ে যাবে। তখন কি স্বারে স্বারে চাদা সেধে বেড়াতে হবে ? প্রাণ দেবার জন্তে ঠেলাঠেলি পড়ে যাৰে । * বিনয়। হয় আমাকে সংসারের দশজনের মত ভেসে চলে যেতে দাও নইলে আমাকে সেই মূৰ্ত্তি দেখাও ! ! , । গোয়। সাধন কর। যদি বিশ্বাস মনে থাকে তাহলে কঠোর সাধনাতেই মুখ পাবে। আমাদের সৌৰীন প্যাট