8૭’ প্রবাসী । & [ १ञ छत्र। জীব, সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর—সুখসাচ্ছন্দোর যুগত্ৰিতয় কাটিয়া পরেই প্রতাপসিংহের যোধপুর রাজ্য এবং সৰ্ব্বশেষে মান গিয়াছে, এক্ষণে তমিস কলি আসিয়াছে, চারিদিকে অবনতি অধঃপাত বিধাতার বিধান, তুই চেষ্টা করিয়া কি করিবি মূঢ়, দুদিন পরেই ত’ পৃথিবী প্রলয়পয়োধিজলে ধ্বংস প্রাপ্ত হইবে, তবে কিসের জন্য চেষ্টা, তুই নিশ্চিন্ত হইয়া ঘুমকৰ্ম্ম ( যোগসাধন ) কর’ ! আর এক কাণে ইংরাজ নিরাশার অবসাদভরা বাণী - শুনাইতেছিল, “তোরা ভীরু কাপুরুষ, কৰ্ম্মবিমুখ জড়জাতি, তোদের চেতনা নাই বেদনা নাই, কৰ্ম্ম নাই মৰ্ম্ম নাই, আমরা তোদের প্রহরা দিয়া জাগিয়া বসিয়া আছি, ওরে তোরা নিশ্চিন্ত হইয়া ঘুমা’। আমরাও দিব্য নিরাশ্বাস প্রাণে ভরিয়া ঘুমরত ছিলাম। আজিকার প্রবুদ্ধচেতন যে সকল মনস্বীকে বাক্যকৰ্ম্মের সামঞ্জস্তবিধানতৎপররূপে আমাদের সমক্ষে উপনীত দেখাইতেছে, তাহাদের মধ্যে মহারাজ গায়কবাড় প্রধানতম । ভারতবর্ষ চিরকাল আভিজাত্যের পূজা করিয়াছে ; তাই এখনো এই সাম্যস্বাধীনতার দিনেও জমিদার ভূস্বামীর দৃষ্টান্ত প্রভাব প্রজাসাধারণের উপর প্রভূতভাবেই দৃষ্ট হয়। ইংরাজের ভয়মোহ এড়াইয়া যে সকল ভূস্বামী ও নৃপতি দেশব্রত গ্রহণ করিয়াছেন তন্মধ্যে গায়কবাড় অগ্রণী । তিনি শিক্ষা দীক্ষা, সাহস উৎসাহ, অবস্থা মৰ্য্যাদা প্রভৃতি সকল বিষয়েই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । তাই আজ তিনি দেশমান্ত, বিদেশবন্দিত । এহেন দেশহিতরত মহারাজ গায়কবাড়ের সিকি শতাব্দী রাজ্যভোগের জন্ত তাহার প্রজাবৰ্গ মহোৎসবের সূচনা করিয়াছেন এবং সমগ্র ভারত দেশপাত্র নিৰ্ব্বিচারে সেই মহোৎসবে হৃদরের আনন্দ ও শুভ-ইচ্ছা প্রেরণ করিতেছে । 響 মাকুইস ওয়েলেসলির শাসনকালে দাক্ষিণাত্যে হোলকার, সিন্ধিয়া, নাগপুরের রাজা, বড়োদার গায়কবাড় প্রভৃতি মহারাষ্ট্র জাতি এবং মহীশূরের হায়দর টিপু ও হায়দরাবাদের নিজাম প্রভৃতি মুসলমান যখন স্বাধীনতার জন্ত শেষ চেষ্টা করিতেছিলেন, তখন একতা ও সমবেত চেষ্টার অভাবে ধূৰ্ত্ত ইংরাজ একজনকে অপরের বিরুদ্ধে নিয়োজিত করিয়া কণ্টকে কণ্টক নষ্ট করিতেছিলেন। সকলের দ্বারা পরিত্যক্ত হইয়া বড়োদারাজ্য সৰ্ব্বপ্রথমে ইংরাজের অধীনতা স্বীকার করেন, বড়োদারাজ্যের সহিত সৰ্ব্বপ্রথম ইংরাজ খাদ্যথাদক aw (subsidiary Alliance) witH was ; ws সিংহের জয়পুর রাজ্য বহুত স্বীকার করেন । অষ্টের পরিহাস ! - বড়োদা নাচার অবস্থায় বশ্রাতা স্বীকার করিয়াছিল কিন্তু মহারাষ্ট্ররক্ত অসন্তোষ-উত্তপ্ত ও সন্ধুক্ষিত হইতেছে চিরদিন। ১৮৭৫ সালে এই অসন্তোষ ব্যক্ত হইয়া পড়ে ; তাৎকালিক মহারাজা ইংরাজদূতকে হীরকচূর্ণ-বিষ প্রয়োগে হত্যাকরার অপরাধে সিংহাসনচ্যুত হন । কূটনীতিবিশারদ ইংরাজ এরূপ অবস্থায় বংশের হীনাবস্থার কোন শিশুকে গদীতে বসাইয়া স্বয়ং প্রতিভূশাসক (Regency Government) হইয়া রাজ্য গ্রহণ করেন । সেই সময় যে যে ক্ষমতা ক্রমশ কবলিত হয়, তাহা প্রায়ই প্রত্যপিত হয় না ; শিশু রাজা বয়স্ক হইয়া করিভুক্ত কপিথের মত শাসগৃষ্ঠ রাজ্যের খোসাথানা পাইয়াই ইংরাজের বদান্ততাকে দুই হাত তুলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করেন। যাহাদের অদৃষ্ট নিতান্ত সুপ্ৰসন্ন তাহার গ্রস্তক্ষমতা কখন কখন মুক্ত পাইয়া থাকেন, বড়োদা রাজ্যের সেই বিপ্লবের সময় খান্দেশ প্রদেশের এক পল্লীতে পিলাজী রাও গায়কবাড়ের বংশশাখার এক দরিদ্র পরিবারেয় দ্বিতীয় পুত্রের উপর নজৰু পড়িল; ইংরাজ গভর্ণমেণ্ট সেই বালককে মহায়াণী যমুনাবাঈ দ্বারা দত্তকপুত্র লওয়াইলেন, কারণ ইংরাজ মনে করিয়াছিলেন যে এই দরিদ্র বালককে রাজৈশ্বৰ্য্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়া তাহার রাজার কৃতজ্ঞতা ও দাস্ত মুখে স্বচ্ছন্দে বিন ওজর আপত্তিতে পুত্রপৌত্রাদিক্রমে ভোগ দখল করিতে থাকিবেন এবং সেই রাজা বা রাজার স্থলাভিষিক্ত আর কেহ কোন ওজর আপত্তি করিবে না । কিন্তু ইংরাজ ভুল বুঝিয়াছিলেন, সেই বালকের স্বার্থ কৃতজ্ঞতার উপর কৰ্ত্তবাবুদ্ধি প্রবল হইয়া উঠিয়াছে; মহারাষ্ট্রশোনিত স্বধৰ্ম্মপ্রতিপালনের মুখে প্রবাহিত হইয়াছে। সেই দত্তকপুত্ৰগৃহীতবালকের নামকরণ হইল সয়াজী রাও (তৃতীয়) এবং ২৭ শে মে ১৮৭৫ সালে তিনি সিংহাসনারোহণ করেন। তখন তাহার বয়স ১১ বৎসর ৩ মাস মাত্র ; তাহার জন্ম তারিখ ১৮৬৩ সালের ১৭ই মার্চ। এই দত্তকপুত্রই আমাদের সর্বজনপ্রিয় বর্তমান সয়াজী রাও গায়কবাড়, বড়োদা-অধীশ্বর । g g *, *. র্তাহার শিক্ষার জন্ত এফ,এ,এইচ, ইলিয়ট, সি,আই,ই,
পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।