১ম সংখ্যা 1, नी ; ভারত সাম্রাজ্যে পরিণত হইবে । ইংলণ্ড যে কখনও এ বন্দোবস্তে রাজি হইবে না, তাহা অতিবড় মুখরেও অধিগম্য। ইংলণ্ড তখন হাতীর চাপায় পড়িয়া প্রাণ হারাইবার ভয়ে “ছেড়েদে মা কেন্দে বাচি” বলিয়া প্রত্যাহার মাগিবার পথ পাইবেন না। তিনি তখন বলিবেন, “নী *tol, Self Government within the Empire প্রয়োজন নাই, তার চেয়ে তোমাদের “স্বরাজ” আমার পক্ষে শতগুণে শ্রেয় তোমরা তাই নিয়ে থাক, আমি দেশে ফিরে যাই ।” এখন স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে, যে আদর্শ theoretically perfect, Stefs ofti, "ifors of পারে। .সুতরাং নরম মহাশয়দের আদশের দ্যায় তাহীদের স্বরাজ স্থাপনের উপায়টিও যে নিতান্তই যুক্তিবিরুদ্ধ, তাহ এখন আর না বলিলেও চলে । তবুও না হয় নাক কান চোক মুখ বুজিয়া বৃদ্ধিবিচারে জলঞ্জলি দিয়া স্বীকারই করিলাম যে ভিক্ষায় স্বরাজ মিলিবে, কিন্তু তাহাভে লাভ কি ? স্বরাজ রক্ষা করবার যে শক্তি আছে তাহার প্রমাণ পাইলাম কই ? ইংরাজ যাতা দিলেন ফরাসীর হস্ত হইতে যে তাহ রক্ষা করিতে পারিব তাহার নিদর্শন কোথায় ? যদি বলা হয় যে ইংরাজ রক্ষা করিবে, তবে তো পূর্বেই প্রমাণ করিয়াছি, ইংরাজের সঙ্গে সে সম্বন্ধ থাকিলে স্বরাজই হইল না, আর যে সম্বন্ধ থাকিলে স্বরাজ হয়, তাহাতে ইংরাজ কখনও রাজী হইতেই পারে না। যে বস্তু স্বোপাজ্জিত নহে দান লব্ধ, তাহার প্রতি মমতা হইবে কেন ? এক যুবক এক দিন ৫০০ টাকার শাল দিয়া ৫২ টাকার জুতা পুছিতেছিল। ইহা দেখিয়া একজন কারণ জিজ্ঞাসা করায় যুবক উত্তর করিল, “জুতা আমার স্বোপার্জিত, শাল পিতৃদত্ত, তাই এই বিভিন্নতা ।” প্রকৃত স্বরাজ বাহুবলে অর্জন করিতে হয়, আর যাহা কিছু তাহ স্বরাজ নাম বাচ্য হইতুে পারে না । সেই জন্তই বলি স্বরাজ লাভ ইংরাজের তোষামদে নহে কিন্তু দেশের জাগরণে সিদ্ধ হইবে, ইহার অন্ত পন্থ নাই, অন্ত উপায় নাই । কিন্তু এখানে স্বতঃই প্রশ্ন উঠতেছে “তোমরা কি স্বরাজের উপযুক্ত ?” উত্তর দিবার আগে জিজ্ঞাস্য এই, প্রশ্নকৰ্ত্তা কে ? যদি প্রশ্নকুঞ্জ ইংরাজ হন, তবে তাহাকে বলি, তোমার বাপু এ অনধিকারচর্চায় প্রয়োজন কি ? যদি তোমার দ্বারে ভিক্ষা ভারতের স্বরাষ্ট্র । 6. পাত্রঙ্গতে দাড়াইতাম, তবে না হয় উপযুক্ততার সার্টফিকেট দাবী করিতে পারিতে । সে ব্যবসা তো আমরা ছাড়িয়া দিয়াiছ র্যাহারা এখনও ছাড়িতে পারেন নাই, তাহারা আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই কটন ওয়েডারবারণের testimonials৪ হুজুরে পেশ করিতে কসুর করেন নাই। তাদের বিচার তুমি কর, কি ফল হইবে তাহ চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিয়াছি। আমাদের পণ, “অৰ্জিব স্বরাজ মোর নিজ ভুজবলে ।” মৃতরাং তোমার সঙ্গে বিচার বিতর্ক একেবারে খতম । যে দিন সে ভুজবল আসিবে, সঙ্গে সঙ্গে স্বরাজও আসিবে যত দিন না আসে ততদিন অনুপযুক্ত, the proof of the pudding is in the eating, ইহার আবার কথা কি ? স্বীয্যবলে আজ স্বরাজ আদায় করিতে পারি, উপযুক্ত হইয়াছ, আয়োজন করিতে পাচ বছর লাগে, ততদিন স্বরাজ পাইব না । বৃক্ষ তেমার নাম কি ? “ফলেন পরিচয়তে” । কিন্তু তোমার কাছে চাহিব না । তোমার সঙ্গে ব্যাপার বাণিজ্য শেয করিয়াছি। কিন্তু প্রশ্নটা যদি ভিতর হইতে আসে, *নিজ ভূজবলে স্বরাজ উদ্ধার সম্ভব কি ? ঐ যে হিন্দু মুসলমান দুই ভাই বিবাদ করিতেছ?” তবে বলি সম্ভব, নির্ঘাত সম্ভব। দুই ভাই বিবাদ করিতে করিতেই ( ও ভাইএ ভাইএ ঘরাও বিবাদ সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বকালেই ঘটে, তাহাতে স্বরাজ কাহারও আটকায় না ) শএর নিকট হইতে স্বরাজ উদ্ধার করিব ; কেন না,— “আত্ম পক্ষে ঘরে দ্বন্দ্ব করি যতক্ষণ, ওরা শত সহোদর মোরা পঞ্চজন । সেই দ্বন্ধ হয় যবে পরপক্ষ গত, তখন,আমরা ভাই পঞ্চোত্তর শত ॥” র্যাহারা মনে করেন যে হিন্দুমুসলমানের মধ্যে একটা জাতিগত মৌলিক প্রাচীন বিবাদ বর্তমান আছে, তাহার নিতান্ত ভ্রান্ত, ফিরিঙ্গীর মিথ্যা ইতিহাসের গৎ মুখস্থ করিয়া বিপথগামী হইয়াছেন । যদিও বা কিছু ছিল তাহ বাবর আকবর প্রভৃতি মনস্বী সম্রাটগণের রাজনীতিকৌশলে বিদূরিত হইয়া গিয়াছিল। যেখানে স্বার্থের বিরোধ নাই সেখানে বিবাদ থাকিতে পারে না। ভারতে হিন্দু মুসলমানের স্বাৰ্থ যে এক তাহ কেহ অস্বীকার করিতে পারেন
পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।