পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । ] তসরকোষ হইতে কীটের নিষ্কমণ সময়ের স্থিরতা নাই। বিশেষতঃ যখন কোষ বড় ও শক্ত হয়, তখন কেহ বা তিন সপ্তাহে নিষ্ক স্তি হয়, কেহ দুই বৎসরেও বাহির হইথার নামটি করেন না। এজঙ্ক তসর ব্যবসায়ীর বীজের জন্তু পাতলা ও ছোট কোষ নিৰ্ব্বাচন করে । প্রবন্ধকার পরীক্ষা দ্বারা দেখিয়াছেন যে বড় ও শক্ত কোষের কীটকে কোষ হইতে কৃত্রিম উপায়ে বাহির করিয়া করাতের গুড়ার উপর বা মধ্যে রাখিয়া দিলে, সেই কীট বড় হইয়৷ উত্তম বীজ উৎপন্ন করে। বস্ত কোষ হইতে ধীজ সংগ্ৰহ মরণোন্মুথ তসর ব্যবসায় রক্ষা করার আর এক পস্থ। । বাংলা তসর । বাংলা তসর ত্রিবিধ—নারিয়া, দাব, এবং বুগুই। (১) যন্ত ছোট আকারের কোষ নারিয়া । ইহার গ্রীষ্মকালের কোষের নাম ধুরিয়া ; বর্ষাতি কোষ অক্টোবরে পাওয়া যায় ; কেহ কেহ শীতকালেও কোষ সংগ্রহ করে, তাহার নাম জদই। (২) দাব,—ঘরোয় কীটের কোষ । বন্ত অবস্থায় খুব শক্ত থাকে বলিয়া কীট নির্গত হইতে দেরি হয় : কিন্তু তথাপি বীজের জন্তু যন্ত কোষই গ্রহণ করা উচিত । ইহা বোধহয় মুদামুগা কোষের রূপান্তর। ইহাদের কীট নির্গত হইতে যৎসরকাল BBBS BBB BB BBB BBB BB BBBBBB BK BBB S কিন্তু বীজ পীড়িত হইলে বন্ত বীজ সংগ্রহ করা উচিত। (৩) বুগুই সৰ্ব্ববৃহৎ তসরকোষ । ইহাকে বড়ও বলে । সেপ্টেম্বরে কীট কোষ কাটির নির্গত হয় । বুগুই হইতে বৎসরে একবার, দাবা হইতে দুই বার, এবং নারিয়া হইতে তিন ধার রেশম পাওয়া যায়। অক্টোবর হইতে জানুয়ারির মধ্যে যে কোষ সংগৃহীত হয় তাহ৷ সৰ্ব্বোত্তম । জুলাই হইতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংগৃহীত নিকৃষ্টতম। এজগু বর্ষাতি কোষের কাহন যখন ৮, টাকায় বিক্রীত হয় তখন নারিয়া বা দীঘার কাহন (১২৮ টা কোষে ১ কহন) দুই তিন টাকা মাত্র। তসর-কীট পালন'। ত্ৰিবিধ তসর কাঁটেরই পালন নিয়ম এক প্রকার। বেলা চারিটার সময় কীট কোষ কাটিয়া নির্গত হইতে আরম্ভ করে। রাত্রি নয়ট। দশটার সময় পুং-কীটগুলি উড়িয় যায়, কিন্তু ভোর তিনটার সময় ফিরিয়া স্ত্রী কীটের নিকট আসে। পলাতক পুং-কীটকে প্রলুব্ধ করিয়া ফিরাইয়া আনিবার জন্য পালনকারীর স্ত্রী-কীটগুলিকে ঘরের বাহিরে ধনুরাকৃতি দাড়ে বসাইয়া রাখিয়া বাদুড়, পক্ষী, টিকটিকি প্রভৃতির আক্রমণ নিবারণ কল্পে রাত্রি জাগিয়৷ পাহার দেয়। কীটগণ রাত্রি চারিট পর্য্যন্ত সংগত থাকে, পরে হয় আপনার পৃথক হয়, নয় পালনকারীরা পরস্পরকে পৃথক করিয়া দেয়। তাহারা পুং-কীটগুলিকে গৃহপালিত পশুপক্ষীদিগকে থাইতে দেয়, স্ত্রী-কীটগুলিকে পাতায় ঠোঙায় পুরিয়া ধরিয়া রাখে । তিন দিন পরে কীটের ডিম সংগ্ৰহ করিয়া দুই তিনটার ডিম (প্রায় ৫০০ ) এক একটা পাতার ঠোঙায় রাখে। নবম দিবসে ডিম ফুটিয়া নুতন কীট যেমন বাহির হইতে থাকে অমনি সেগুলিকে লইয়া গাছে পাতার উপর ছাড়িয়া দেওর হয় । কাট রাখিবার পূৰ্ব্বে গাছের গুড়ি ও ডাল হইতে যথাসম্ভব পিপীলিকা ও অস্থাগু কাট পতঙ্গাদি বাড়িয়া দিতে হয় এবং রেশমকীটগুলিকে পাতার উপর রাখিয়া ভেলার তেলের গওঁী দিয়া দিতে হয়, যেন অন্ত কোন কীট তাহার কোন অনিষ্ট করিতে ন পারে । প্রত্যেক গাছে ৬ হইতে ১২টা কীটপূর্ণ ঠেঙা ভিন্ন ভিন্ন অংশে গাধিয়া দেওয়া হয়, যেন সমগ্র বৃক্ষটিই কীটীজে পূর্ণ হইয়া যায়। পিপীলিকা, বোলতা, পাখী, কাঠবিড়ালী, বিছা, শুয়া পোকা, এবং অন্তান্ত শক্রর আক্রমণ হইতে বীজ কীটগুলিকে লক্ষ করিবার স্ববিধার জষ্ঠ গাছগুলিকে ছোট করা উচিত। কিন্তু ** श्रेष्ठ al० फूछे ७झ न इश्ल ब्रगडब्र भाउ षांश्छ। कौन्त्र শিল্পসমিতির প্রবন্ধাবলী । Գ(t এক প্রকার পড়া হয়, এই পীড়া তসর-কীট ও তুতভোজী কীট উভয়ের পক্ষে সাংঘাতিক ও মারাত্মক। গাছের নিম্নতুন ডালের পাতা মাটি হইতে অধিক রস সংগ্রহ করে ; বিশেষ বৃষ্টির পর ; রসভর পাতা কীটের রোগজনক। সুতরাং গাছের ডাল মাটি হইতে ৪০ ফুট পৰ্য্যন্ত কাটিয়া ছাটিয় দেওয়া কৰ্ত্তব্য। গাছের ডাল ও হইতে ১০ ফুট পৰ্য্যন্ত রাথিয় যৎসর বৎসর উপর নীচের সমস্ত ডাল ছাটিয়া দিতে হইবে। বীজ কীটের মধ্যে মারাত্মক পীড়া প্রতিকারকল্পে প্রত্যহ বৃক্ষতল হইতে বৃক্ষ ভ্ৰষ্ট ধ মৃত কীট সকল অপহৃত করিতে হইবে । পিপুল গাছের আঠ গরম সরিষার তেলে মাখাইয়া একটা কাঠিতে লাগাইয় গাছ পাঙ্কার দিবার সময় সঙ্গে রাখা ভাল : ডেল বা ধনুক দেখিয়া বড় প্রাণী ভয় পাইয়৷ পলাইবে, কিন্তু বোলতা বা পিপীলিকা জাতীয় কীট পতঙ্গ ধয়িতে হইলে ঐরাপ আঠাকাঠির দরকার। কীট সকল একটা গাছের সকল পাত খাইয় শেষ করিলে কীটসহ গাছের ডাল কাটিয়া এক বা ততোধিক নুতন গাছে কাঁটগুলিকে স্থাপন করিত্তে হয় ; এবং যতদিন পব্যস্ত গুটি না বাধিবে, ততদিন পৰ্য্যস্ত এই প্রক্রিয়ার অনুসরণ অবশ্যক হয়। কীট সকল গুটি বাধিলে ডাল কাটিয়া গুটি গাছ হইতে পাড়িয়া, ডাল হইতে ছাড়াইয় হটে বিক্রয়যোগ্য হয়। যদি কোয় বা গুটিগুলি শীঘ্ৰ বিক্রয় না হয়, তাহ হইলে কোষবদ্ধ কীটগুলিকে মারিয়! ফেলা দরকার, এজন্য কোয়াগুলি একটা মাটির কলসীতে পুরিয়া মুখের কাছে পাতালি করিয়া কয়েকটা কাঠি আটকাইয়া দিতে হয়, যেন কলসী উণ্টইয়া ধরিলে কোয় পড়িয় না যায় : তৎপরে একটা চুল্লাস্থিত ফুটন্ত জলপুর্ণ কলসীর মুখের উপর সেই কোয়াপুর্ণ কলসীর মুখটা যসইয়া দিতে হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে গরম বাপের ভাপ লাগিয়া সয কীট কোষমধ্যে মরিয়া যায়। তখন কোষগুলিকে রৌদ্রগুক্ষ করিয়া যতদিন ইচ্ছ। ঘরে রাখা চলে । - তসর কীটের গৃহ-পালনে এই দোষ ঘটে যে (১) কোষ ক্রমশঃ ক্ষুদ্র হয় (২) রং ক্রমশঃ ফিকে হয় (৩) রেশম স্থগতির হইতে থাকে (৪) কোষেয় বেঁট, যাহা দুর কোষ বৃক্ষগাত্রে সংলগ্ন থাকে, ক্রমশঃ স্বগ ও লম্বা হয় এবং (?) কীট অধিকতর পীড়াপ্রযণ হয়। কিন্তু গৃহপালিত কীটের কোষই তত্ত্ববায়গণ পছন্দ করে, কারণ দেই কোষজাত বস্ত্র খুব সাদা ও সুক্ষ হইয়া থাকে । তসরের সূতা বাহির করা। বাংলার য়ুরোপীয় পরিচালিত কারখানায় পেটেণ্ট উপায়ে তসরের স্থত বাহির করা হইয়া থাকে। সোডা, পটাশ ও গ্লিসিরিন প্রধান মসলা ব্যবহৃত হয়। য়ুরোপীয় কারখানায় একজন সমস্ত দিনে ২৫ • কোষের স্বত যাহির করিয়া জড়াইতে পারে । দেশীয় প্রথায় স্থত। খুলিতে কোষগুলিকে তিসি প্রভৃতি গাছের ছাই যা সাজি মিশ্রিত জলে সিদ্ধ করিয়া লওয়া হয় । ৫ • • কোষের জঙ্ক অধিসের ছাই বা আধছটাক সাজি ব্যবহৃত হয়। একথান কাপড়ের উপর ছাই রাখিয় খানিকট জল লইয়া ছাইয়েয় উপর ঢালিয় বার স্বার ছ'কিয় লইতে হয়, যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত না জলের উপর তৈল ভাসিতে দেখা যায়। এই জলে কোষ অৰ্দ্ধঘণ্ট। সিদ্ধ করিতে হয়, জলে ছাই মিশাইয়া সিদ্ধ কয় অপেক্ষ, উপরোক্ত উপায়ে ছাইয়েয় জল তৈয়ার করিয়া লইলে কাৰ্য্য ভাল হয় । ইংরাজিতে এইরূপ জলকে Lye বলে । সিদ্ধ হইয়। সকল কোষ হইতেই সহজে স্থত খুলে না। যেগুলি হইতে সুতা শীঘ্র খুলে না, সেগুলিকে পৃথক রাখিয় পরদিন কোষ সিদ্ধ করিবার সময় সেগুলিকে পুনরায় সিদ্ধ করিয়া লইতে হয়। বড় এবং শক্ত কোষের স্বত বাহির করিতে অধিক মসলা দিয়া অধিকক্ষণ সিদ্ধ করা আবখ্যক, কোষ সিদ্ধ করিয়া কাপড়ে মুড়িয়া একটা ছাইভর।