পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । ] ষ্ট কতকগুলি ব্যাধির নাম ও স্বরূপ নিমে

    • a . . 命 = ۰۰۰ - دی ۰ - . = * هیاهه ۰۰

भौष्ट्रिल રન মরিয়া যায় লিখিত হুইতেছে। (১) Pebrine (বাংলা নাম ফাট)। ইহা অতি ক্ষুত্র ফুস্কুড়ির মত। ৩• দিমে পুর্ণপরিণতি প্রাপ্ত হয়। হঠাৎ মৃত্যু ঘটায়। পীড়িতাবস্থায় নিৰ্ম্মিত কোষ খারাপ হয়। কীট একবার এই রোগাক্রান্ত হইলে সেই সকল কীটের বংশের প্রায় সকলেরই এই রোগ দেখা বায় ; কেহ কেহ অব্যাহতি পাইয়া যায়। পরবর্তী ফসলের জন্য বীজ রক্ষার সময় অণুবীক্ষণ পরীক্ষিত নির্বাধি কীটের বীজই গ্রহণযোগ্য। অবশিষ্ট সকল একবারে দগ্ধ করিয়া ফেলা উচিত। রোগমুক্ত কীট সকলকেও তুতে ভিজান জলে স্নান করাইয়া ঠাণ্ড হাওয়াদীর স্থানে রাখিয়া শুকাইয়া লইয়া পরে পালনগৃহে লইয়া যাওয়া উচিত। পালনগুহেরও প্রত্যেক দ্রব্য ঐ উপায়ে শোধন করিয়া লওয়া কৰ্ত্তব্য। পালনীয় উপাদানে অধিকন্তু গন্ধকের ধূম দেওয়া দরকার। মহীশূরের Bombyx mori কীট এই ব্যাধিহীন । এই ব্যাধিযুক্ত কীট যদি ইহাতে শীঘ্র ন৷ মরে, তবে এতু দুৰ্ব্বল হইয় থাকে যে শীঘ্রই অনাবিধ রোগে আক্রান্ত হইয়া শীঘ্রই মরিয়া যায়। বাংলায় কয়েকটি বীজ পালনের কারখান। খোলা হইয়াছে ; সেখানে আণুবীক্ষণিক পরীক্ষা দ্বারা যথেষ্ট সুফল পাওয়া গিয়াছে | (*) Muscardine i qoqa gē Uff જૂર્વ পরিণত হয়, কীটের গায়ে খালি চোখেই সাদা আঁচিলের মত দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার বাংলা নাম চুণাকাটি। কীটে। বীজ ও ডিম্ব, পালন উপাদান, গৃহ প্রভৃতি পূর্বোক্ত প্রকারে শোধন দ্বারা এই রোগ হইতে মুক্ত হওয়া যাইতে পারে। কীট রোগগ্ৰস্ত হইয়াছে বুঝিতে পারিতে পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে জালের সাহায্যে সুস্থ কীট সকলকে পৃথক করিয়া সকল কীটকে কয়েক ঘণ্ট। অনাহারে রাথিয় দিতে হয় , এবং ঘর স্বার পরিষ্কার করিয়া দ্বার বন্ধ করিয়া খুব গন্ধকের ধুম দিয়া ঘর প্রভৃতি শোধন করিয়া লইতে হয়। গৃহাদি শোধন করিবার একরূপ যন্ত্র আছে, তাইকে Eclair Vaporiser șG (৩) Flacheri তুতের পাত কীটের পাকস্থলীতে গি। গজিয়৷ উঠিয়া এই রোগ উৎপন্ন করে। ইহা নানাবিধ কাটাপুর অস্তিত্ব হেতু সংঘটিত হয়। এই পীড়ায় কীটের পুষ্ঠদেশ কৃষ্ণবর্ণ হইয়া যায় বলিয়৷ ইহার বাংলা নাম ‘কালশিরা এই রোগে কীটের শরীরে পচন আরম্ভ হয়। দুৰ্ব্বল কীটেরই এই রোগ হয়। পালনগৃহরুদ্ধ বায়ু চলাচলশুষ্ঠ হইলে এই রোগের সম্ভাবন । ধুলিও ইহার কারণ। ইহার প্রতিকার উপায় (১) তুতের জল দিয়া ডিম্ব, গৃহ ও সকল দ্রব্যাদি শোধন। (২) কীটের প্রথমাবস্থায় ৫ বার ও শেষ দশায় ৪ ঘর খাদ্য প্রদান । (৩) ধূলি, জল ও বীজাণুশূন্ত টাটক৷ পাতা খাওয়ান। (৪) পালনগৃহে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা । (৫) কাঁটগুলিকে প্রত্যহ পরিষ্কার করা ; ডালা, মাচ প্রভৃতি পরিষ্কার করা; লেপন করিয়৷ ধূলি নিবারণ ও গৃহ মার্জন। (৪) Gatine ( বাংলা সলুফা ) এক প্রকার অজীর্ণরোগ, অত্যধিক পীত বা গ্রীষ্মহেতু হয়। এ রোগ হইলে কীটের ক্ষুধা মাদ্য ও জাহারে অরুচি হয়, এবং তাহাদিগকে লম্বাটে ও ফ্যাকাশে দেখায়। অবশেষে পচিতে আরম্ভ করিয়া কালে হাঁয় উঠে। ইহা তত মারাত্মক বা সংক্রমিক নহে ; গ্রীষ্মহেতু হইলে পাখার বাতাস করিলে এযং শৈত্যহেতু হইলে কোন উষ্ণতর স্থানে পরিবর্তিত করিলে তাহাদিগকে সুস্থ হইতে

  • আমাদের দেশের ব্যবসায়িদের বিশ্বাস রেশমকীট যড় স্বধী প্রাণী, একটু অনাচার অশুচি অবস্থায় ইহাদিগকে স্পর্শ করিলে ইহারা মরিয়া যায়। এজন্য তাহার খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হইয়। পবিত্রভাবে ইহার পালন করিতে চেষ্ট করে 1. লেখক ।

শিল্পসমিতির প্রবন্ধাবলী । Գ: : দেখা যায়। এ রোগের প্রধান প্রতিষেধক অতি গ্রীষ্মে (এপ্রেল মে ) বা অতি শীতে (ডিসেম্বর জানুয়ারী) বা খোল, স্থানে (যেখানে শীত গ্রীষ্ম সৰ্ব্বদাই পরিবর্তনশীল) কীটের পালন না কর । - (৫) Grasserie ( বাংলা রস ) খাদ্যের অবস্থাভেদে হয় ; অল্প রস পত্র থাইতে থাইতে যদি অধিক রসপূর্ণ পত্র খায় তবেই এই রোগ হয় : ইহা কোন প্রকার কাঁটাগুর দ্বারা সংঘটিত হয় না। কীট যত পুরাতন হয় খাদ্যপত্রও তত বড় ও পুরাতন হওয়া দরকায় । অনাবৃষ্টির পর হঠাৎ বৃষ্টি হইলে পত্র রসপূর্ণ হইয় উঠে এবং এই রোগ জন্মে। ইহার নিবারণ কল্পে পাতা বড় গাছ হইতে লওয়া উচিত ছোট ঝোপের নহে । ফরাশী কৃষকের এই রোগোৎপত্তিতে পূর্ণ ফসল হইয়াছে স্থির করিয়া রোগকে শুভকরই মনে করে। যে যে স্থানে তুতের বড় গাছ হইতে পাত লওয়া হয় ( যেমন কাশ্মীর ) সেখানে এ রোগ দেখা যায় না । বাংলায় ( ঝোপ তুতের পাতা ব্যবহৃত হয় বলিয় ) এ রোগ খুব বেশি ३झ । (৬) Court ( ললি, রাঙ্গি বা কুরকুট্টে ) ইহা ঠিক রোগ নহে ; অনেক সময় গুটি না বাধিয়া কীট পতঙ্গ হইয় পড়ে ; কখন কখন তাহাদের ডিমও হয় ; কিন্তু সে ডিম্বসঞ্জীত সন্ততি সকলে এই প্রকৃত্তিবৈষম্য অধিক লক্ষিত হয় । ইহা অনেক সময় বংশক্রমীমুসারী হয় । কীটের শেষ দশায় খাদ্যাল্পত বা ‘নৈচাপাত’ ( নুতন ক্ষেত্রের বা ছায়াযুক্ত স্থানের পাতা ) খাইতে দিলে এই অবস্থা ঘটে । I*) Double-cocoon ( co-coil) wi দুইটি কীটের একটি কোষ নিৰ্ম্মাণ। এই প্রকৃতিবৈষম্য বাংলায় অধিক দেখা যায় না ; য়ুরোপ, চীন জাপানে খুব হয়। এই বিষমতাও বংশগত হয়। এই কোষের সুতা বাহিঃ করা যায় না ; এজন্য অনেকে প্রতারণা করিয়া ইহা বীজরাপে বিক্রয় করিয়া থাকে । (৮) Fly-post ( মক্ষিকার উৎপাত ) বাংলায় রেশমের খুব ক্ষতি করে। রেশমকীট গুটি বাধিবার পূৰ্ব্বে যা পরে মক্ষিকার ডিম্বসঞ্জাত কুমি সকল রেশমকীট সকল মারিয়া ফেলে। যদি গুটি বাধার পর রেশমকীট মরিয়া যায়, তবে কোন হইতে পতঙ্গের পরিবর্তে কতকগুলি মক্ষিকার যাচ্চ বাহির হয়। যদি পালনগুহ আক্রান্ত হয়, তবে রেশমকীটের যংশপালন অসম্ভব হইয় উঠে। ইহার প্রতিকার উপায় (১) এক বৎসর অন্তর ভিন্ন ভিন্ন স্থান হইতে বীজের জন্ত কেবল ডিম্ব সংগ্রহ কর । (২) যৎসরে ৩৪ ফসলের বেশি উৎপন্ন না করা । (৩) মক্ষিক নিবারণের জন্য এই উপায়টি অনুস্থত হইতে পারে। গুহের প্রবেশ দ্বার হইতে যিপরীত দিকে বা দূরে জানাল রাগিয়া তারের জালে আবৃত করিয়া তাহার নিম্নে ভূমি হইতে ৫৬ ফুট উচুতে কিঞ্চিৎ কেরোসিন তৈল মিশ্রিত জলপূর্ণ গামলা রাখিয়া দিতে হয়, এবং গৃহদ্বারে ঘুটের ধোয় করিয়া স্বীর দিনের বেলা যথাসম্ভব বন্ধ রাখিতে হয় । মাছি ধোয়ার দিকে না গিয়া জানালার পথে ঘরে যাইবার চেষ্টা করিবে এবং জলের গামলায় পড়িয়া ডুবিয়া মরিবে। (») bermestus vulpinus as sista fÑfŃ coiisi, Goiaকীট খাইয় ফেলে। ইহা মক্ষিকার মত কীটের গায়ে ডিম পাড়িয়া দেয় ; ডিম্বোদগত ঝিঝি ধ্বংস করিতে আরম্ভ করে। অনেক সময় রেশমকীটের ডিম্বের সঙ্গে ইহাদের ডিম্বও আনীত হইয়া উপদ্রব ঘটায় । সকল প্রকার রোগের প্রধান প্রতিকারের উপর সর্ব বিষয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া । এড়ি রেশমকীট পালন ও সূত্র গ্রহণ। ইহার পালন প্রণালী তুতি রেশমকীটের মতনই। কেবল ইহায় কোয হইতে স্বত্র খুলিয় লওয়া যায় না। গরদ বা তসর কোধ হইতে