পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । ] radial Řressure) জগদ্বিখ্যাত জীবতত্ত্ববিদ ফেফার (Prefer) সাহেব প্রচার করিয়াছিলেন ; জ্যাপেক্‌ (Czapek) প্রভৃতি পণ্ডিতগণ ইহার পৃষ্ঠপোষক। crite s grifă (Noll, Haberlandt) zisa offioso. Toxico (Theory of Statoliths) প্রবর্তক । ইহার কোষস্থ জলীয়ভাগের ভার গণনার মধ্যে আনেন নাই। কেবল মাত্র কোষস্থ শ্বেতসারকণা প্রভৃতি গুরুপদার্থের (Statoliths) ভার লষ্টয়া হিসাব করিয়া ছিলেন। পাশ্বস্তু ২য় চিত্র একটি ভূশায়িত ডালের চিত্র। ২য় চিত্র । ভিতরকার ঘরগুলি এক একটি কোম, এবং তাহীদের ভতরে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুগুলি রহিয়াছে, সেগুলি শ্বেতসার প্রভৃতির কণা। পৃথিবী কোন জিনিষকে পাশাপাশিভাবে টানে না, সুতরাং কোষসামগ্রীর ভার চিত্রস্থ উদ্ভিদদেহের “E E” এবং “E E ” এই দুই অংশের উপরেই পড়িবার কথা। “E E" রেখাক্রমে যে চারিটি কোষ সজ্জিত রহিয়াছে, তাহাতে কোষসামগ্রীর চাপ উহাদের অস্তঃপ্রাচীরের উপর পড়িতেছে, এবং “E El ” রেখার কোষগুলিতে তাহাদের চাপ ঐ গুলির বহিঃপ্রাচীরের উপরে লাগিতেছে। উদ্ভিদ কোষের ভিতর ও বাহিরের প্রাচীরের উত্তেজনশীলতা সমান নয় । কাজেই ঐ প্রকারে চাপ পাইয়া উদ্ভিদদেহের এক পার্শ্ব অপর পাশ্ব অপেক্ষ অধিক উত্তেজিত হইয় পড়ে। পূৰ্ব্বোক্ত বৈজ্ঞানিকদিগের মতে, ভূমধ্যাকর্ষণজনিত চাপের যে এই বৈষম্য হয়, তাহাই ভূশায়িত ডালের মাথা উচু হওয়া ইত্যাদির কারণ। তা ছাড়া গাছের গুড়ি ও শিকড়ের পরস্পর বিপরীত দিকে বৃদ্ধি হওয়ার কারণ উল্লেখ করিতে গিয়াও, তাহারা ভূমধ্যাকর্ষণের ঐ কার্যটির উপরেই সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়াছেন। উদ্ভিদের বৃদ্ধিবৈচিত্র । “t-> . এই সিদ্ধান্তটি (The theory of hydrostatic or পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্ত দুটি যে বেশ স্বযুক্তি তাহাতে আর সন্দেহ নাই, এবং পৃথিবীর টান যে উদ্ভিদ দেহের উপর উত্তেজনা প্রয়োগ করে, এবং উদ্ভিদ মাত্রেরই যে সেই BIRA ft catą (Graviperception) attē, Stetti আভাস আমরা ঐ সিদ্ধান্তদ্বয়ে দেখিতে পাই । কিন্তু কি প্রকারে সেই টান নানা অঙ্গে নানাপ্রকার উত্তেজনায় পরিণত হয়, এবং কি কৌশলেই বা তাহারি দ্বারা গাছের বৃদ্ধিতে নানা প্রকার বৈচিত্র্য আসে, তাহার কোন ব্যাখ্যানই ঐ সিদ্ধাস্তদ্বয় হইতে পাওয়া যায় না । ভূশায়িত ডাল কেন মাথা উঁচু করিয়া বাড়ে,—এই প্রশ্নটি লইয়া উক্ত সিদ্ধাস্তিকগণের মধ্যে অনেক আলোচনা হইয়া গেছে। ইহাতে স্থির হইয়াছিল, শাখার ঠিক্‌ ভূসংলগ্ন দিকটা পৃথিবীর টানে অধিক চাপ পাইয়া, উপরের দিকৃ অপেক্ষা দ্রুত বাড়িতে আরম্ভ করে, তাই শাখার অগ্রভাগ ধনুকাকারে বাকিয়া উৰ্দ্ধগামী হইয়া পড়ে। এই ব্যাখ্যানটি কতদূর সত্য তাহার বিচার আবশ্যক। আমরা গত চৈত্রের “প্রবাসী’তে “উদ্ভিদের বৃদ্ধি” শীর্ষক প্রবন্ধে দেখিয়াছি, কোন উত্তেজনা হইতে যদি গাছে প্রকৃত সাড়ার (আণবিৰ বিকৃতি) প্রবাহ চলিতে থাকে, তবে তাহা গাছকে বাড়ায় না, বরং তাহার দ্বারা গাছের বৃদ্ধি রুদ্ধ হইয়া আসে। উত্তেজনা দ্বারা যে এক রসপ্রবাহ কোষপরম্পরায় চলিয়া যে এক অপ্রত্যক্ষ বা অবাস্তুর সাড়ার উৎপত্তি করে, তাহাই উদ্ভিদের বৃদ্ধির মূল কারণ। সুতরাং কোষসামগ্রীর চাপকেই যদি ভূশায়িত ডালের সোজা হওয়ার কারণ বলা যায়, তবে বলিতে হয়, ঐ চাপের উত্তেজনার দ্বার চাপপ্রাপ্ত অংশেয় যে বৃদ্ধি-স্তম্ভন হয়, তাহাই ঐ ব্যাপারের মূল কারণ। কিন্তু নীচেকার অৰ্দ্ধেকটার বৃদ্ধিরোধ ও উপরের বৃদ্ধি অপ্রতিহত থাকিলে, গাছ কখনই উপরের দিকে বাকিতে পারে না। এ অবস্থায় তাহার মাথা নিশ্চয়ই আরো অধিক নীচু হইয়া পড়িত। কাজেই দেখা যাইতেছে, গাছের মাথা উঁচু হওয়া সম্বন্ধে পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তটিকে কখনই অভ্রান্ত বলিয়া গ্রহণ করা যায় না । ইহার প্রকৃত কারণ স্থির করিবার জন্ত, বিজ্ঞানাচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বস্ন মহাশয়ের নূতন আবিষ্কারগুলির প্রতি দৃষ্টি করা আবশ্বক।