পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 = ۰۰-- * ه- می دهم - *ه উত্তেজনায়, শাখার অপর পাশের কোন প্রকার বিকার হয় না । বৰ্দ্ধনশীল অংশে যদি প্রকৃত উত্তেজনা উৎপাদন করা আবগুক হয়, তবে সেই স্থানে বা “T” এর মত দুরবর্তী অংশে অত্যন্ত প্রবল উত্তেজনা প্রয়োগ করার আবশ্যক হয় । আঘাত-উত্তেজনাজাত ঐ রসপ্রবাহে ও আণবিক সাড়ায় উদ্ভিদদেহের আকারগত কোনও পরিবর্তন হয় কি না, এখন আলোচনা করা যাউক । এই অঙ্গবিকৃতির ব্যাপার বুঝিতে হইলে, রসওগ্রবাহ দ্বারা গাছের বৃদ্ধি ও আণবিক বিকৃতির প্রবাহ দ্বারা যে সেই বৃদ্ধিরই রোধ হয়, এই দু’টি স্থূল কথা সৰ্ব্বদা মনে রাখা আবশ্যক। আমরা পূৰ্ব্বপরীক্ষায় দেখিয়াছি, দূরবত্তী স্থানে আঘাত দিলে, শাখার জাহত পাশ্ব ধরিয়া কেবল রসপ্রবাহের সাড়াই বদ্ধনশীল অংশে পৌছায়। কাজেই এ স্থলে অমুত্তেজিত পার্শ্ব টি অপেক্ষা উত্তেজিত পার্শ্ব টিই বাড়িতে আরম্ভ করে, এবং ইহার ফলে শাখাটি ধমুকাকারে বঁাকিয়া যায়। ৫ বলা বাহুল্য এস্থলে শাখার উত্তেজিত অংশটা ধমুর কুঞ্জ ( convex) পৃষ্ঠে আসিয়া পড়ে। উত্তেজনা প্রয়োগ করিয়া শাখাপ্রাস্তকে উত্তেজনার কেন্দ্র হইতে দূরে যাইতে দেখিয়া, ডারুইন্‌ সাহেব অবাকৃ হইয়া পড়িয়াছিলেন। আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয়ের পূর্ববর্ণিত প্রত্যক্ষপরীক্ষসিদ্ধ ব্যাখ্যানে সেই প্রাচীন সমস্তাটির মীমাংসা হইয়া যাইতেছে। আমরা পূর্বের পরীক্ষায় দেখিয়াছি, বৰ্দ্ধনশীল অংশ হইতে দুরে প্রবল উত্তেজনা দিলে, প্রথমে ক্ষণিক রসপ্রবাহ চলিয়া শেষে কেবলমাত্র আণবিক সাড়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। আণবিক সাড়া গাছের বৃদ্ধি রোধ করে । কাজেই এখানে শাখার উত্তেজনাপ্রাপ্ত দিক্‌টার বৃদ্ধি রুদ্ধ হইয়া, অপর পাশ্বের বৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ থাকিয়া যায় বলিয়া, সেটি ধনুকাকারে বাকিয় পড়ে। এস্থলে ধমুর মুক্তি (concave) পৃষ্ঠে উত্তেজনার কেন্দ্র থাকে বৃক্ষ অঙ্গে প্রবল তাপ প্রয়োগ করিয়া ডারুইন্‌ সাহেব, তাহার অগ্রভাগটিকে যে উত্তেজনার দিকেই যাইতে দেখিয়াছিলেন, তাহার ব্যাখ্যান আমরা পুৰ্ব্বোক্ত পরীক্ষা দ্বারা বেশ বুঝিতে পারি। দূরে উত্তেজনা প্রয়োগ না করিয়া, ঠিক্‌ বৰ্দ্ধনশীল

  • কোন:জিনিষের একটা পাশ্ব অপর পাশ্ব অপেক্ষা প্রসারিত হইলে সেটির ধনুকাকারে বাকিয়া যাওয়ারই যে সম্ভাবন, পাঠক একটু চিস্ত করিলেই ভাহা বুঝিতে পরিবেন।

প্রবাসী। অংশেই মৃদ্ধ আঘাত দিলে, শাখার কিপ্রকার বিকৃতি হয়, [ ৭ম ভাগ । - ایدههایی ه۰---۰۰۰یه আচাৰ্য্য বসু মহাশয় তাহাও আবিষ্কার করিয়াছেন। ৩য় চিত্রের “b” অংশটির “A” চিহ্ণিত স্থান কোনও শাখার বৰ্দ্ধনশীল অংশ। মনে করা যাউক, ঐ স্থানে যেন মৃত্যু উত্তেজনা প্রয়োগ করা হইল। এখানে উত্তেজনা প্রাপ্ত স্থানে কেবল প্রকৃত সাড়ার লক্ষণ প্রকাশ পাইবে, এবং তাহারি ঠিক্‌ বিপরীত অর্থাৎ “B” চিহূিত অংশে কেবল রসপ্রবাহের চিন্তু দেখা যাইবে । * কিন্তু আমরা দেখিয়াছি রসপ্রবাহ গাছের বৃদ্ধি করায়, এবং প্রকৃত সাড়ার বৃদ্ধি রোধ হইয়া যায়। কাজেই পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারের উত্তেজনায়, এখানে “A” অংশের বৃদ্ধি রোধ, “B” ও “B” এর বৃদ্ধির দ্রুততা সংঘটনই সম্ভাবনা । প্রত্যক্ষ পরীক্ষায় অবিকল এই ফলই পাওয়া গিয়াছিল,—শাখাটি ধনুকাকারে বাকিয়া পড়িয়াছিল, এবং উত্তেজনার কেন্দ্রটি ধমুর মু্যঙ্গ পৃষ্ঠে আসিয়া দাড়াইয়াছিল । পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে “A” চিহ্ণিত স্থানে প্রবল উত্তেজনা দিলে, পূৰ্ব্বের ঠিক বিপরীত ফল পাওয়া যায়, অর্থাৎ শাখাটি ধনুকাকারে বাকিয়া যায় বটে, কিন্তু উহার উত্তেজিত অংশটা তখন ধনুর ফুত্ত্ব পৃষ্ঠে আসিয়া পড়ে। কারণ এস্থলে প্রবল উত্তেজনায় “A” অংশটি অসাড় হুইয়া যায়, এবং তাহারি বিপরীত দিক্ অর্থাৎ “B” স্থানে প্রকৃত উত্তেজনা আসিয়া সেখানকার বৃদ্ধি রোধ করে। কাজেই মোটের উপর “B” স্থানের তুলনায় “A” স্থানের বৃদ্ধি অধিক হইয়৷ পড়ায়, শাখাটি বাকিয়া যায়। উল্লিখিত পরীক্ষাগুলিতে সাড়ার প্রবাহের কোনদিকে যাওয়া সম্ভাবনা, তাহা অনুমান করিয়াই যে আচাৰ্য্য বসু মহাশয় ঐ কথাগুলি বলিয়াছেন, একথা যেন কেহ মনে না করেন। উদ্ভিদ দেহে সত্যসত্যই উত্তেজনা প্রয়োগ করিয়া ও তাহার কাজ প্রত্যক্ষ দেখিয়া, বস্থ মহাশয় পূৰ্ব্বোক্ত তথ্যগুলির সুপ্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। এখন আচাৰ্য্য বসু মহাশয়ের পূৰ্ব্বোক্ত আবিষ্কারগুলি হইতে স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে, আঘাভ উত্তেজনায় ডাল ও

  • গাছের আঁশ (Fibre) যেদিকে থাকে, উত্তেজন মাত্রই যে তাহ অমুসরণ করিয়া সহজে চলাফের করে আচাৰ্য্য বস্ব মহাশয় অনেক পরীক্ষায় তাহা প্রত্যক্ষ দেখাইয়াছেন। আঁশ ভেদ করিয়া অর্থাৎ আড়াআড়ি ভাবে উত্তেজনা সহজে চলিতে পারেন ।