পাতা:প্রবাস-চিত্র - জলধর সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্ৰভাগা-তীরে సి রাজির ঘন পল্লবের সম্বন মৰ্ম্মর শব্দ, নদীর অন্ধকূট কলধ্বনির সহিত মিশ্রিত হইয়া যুগান্ত প্ৰবাহত রহস্যাভাষের ন্যায়। শ্ৰত হইতে লাগিল, বুঝি ইহা বিশ্বপিতার অনাদ্যন্ত যশোগীতির * ক্ষণ প্ৰতিধ্বনি । প্ৰতি বৎসর চৈত্রসংক্রান্তির দিন। এখানে একটি মেলা হয়। নিকটস্থ গ্রামসমুহের স্ত্রী, পুরুষ ও বালক বালিকার সকলে সে দিন একত্রিত হইয়া চন্দ্ৰ ভাগায় মান কবে, এবং মন্দিরে শিবের মস্তকে দুগ্ধ ও বিস্বপত্র "চড়ায়” । এদেশে শিবের মাথায় জল ঢালার নাম ‘আিজল চড়ান” । আমি এই সময় একবার ও চন্দ্ৰ ভাগায় আসিতে পারি নাই; কারণ, ঠিক এই দিনে হরিদ্ধারের মেলা আরম্ভ হয় ; হরিদ্বারের মেলা দেখিবার লোভ একবারও সংবরণ করতে পারি নাই, এখানকার মেলা ও এ পৰ্য্যন্ত দেখা হয় নাই। তবে মধ্যে মধ্যে এখানে আসিবার সুযোগ হইতে, কিন্তু আমি ইচ্ছাপূৰ্ব্বক্ষ সে সুযোগ ত্যাগ করিতাম। বর্ষাকালে আমার বন্ধগণ দল বঁাধিয়া মৎস্তানুসন্ধানে এই নদীতীরে অ্যাসিতেন ; কিন্তু এমন সুন্দর পবিত্র স্থানে,-যেখানে “অহিংসা পরমেধৰ্ম্মঃ”-প্রচারক কিছু কাল যোগসাধনায় কালাতিপাত করিায়াছেন, সেখানে জীব'হংসার জন্য দল বঁধিয়া আসা আমার নিকট সঙ্গত বলিয়া বোধ হইত না । * মহাদেবের মন্দিরমধ্যে বস্ত্ৰাদি রাখিয়া, এই প্রবল রৌদ্রে মধ্যে শীর্তে কম্পমান দেহে দুই জনে মাঙ্গ করিতে নামিলাম ।