পাতা:প্রবাস-চিত্র - জলধর সেন.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি যে দিন প্রথমে দেরাদুনে যাই, সে যে খুব বেশী দিনের কথা, তাহা নহে; তাহার পূর্বে পূৰ্ব্বতারোহণ দুরের কথা, পৰ্ব্বতদর্শনও কোন দিন আমার ভাগ্যে ঘটে নাই। মনে পড়ে, বাল্যকালে হাবড়ায় রেলে চড়িয়া একবার বর্ধমান পৰ্যন্ত গিয়াছিলাম। পশ্চিমে কে কত দূর বেড়াইয়াছে, সেই কথা লইয়া বর্ষাকালে একদিন টিফিনের ছুটির সময় ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে ভারি তর্ক উঠিয়াছিল। সকলে স্ব স্ব অভিজ্ঞতা প্ৰকাশ করার পর আমি বলিলাম, “আমি বৰ্দ্ধমান পৰ্য্যন্ত গিয়াছি, - সে অনেক দূরে।” আমার এই সৌভাগ্য কয় জন বন্ধুর প্রতিকর হইয়াছিল, বলিতে পারি না, কিন্তু দুই এক জল । বয়োবৃদ্ধ বান্ধবের মনশ্চক্ষুর সম্মুখে সেই কথায় হয়। ত একটি শ্বেত সৌধ, সৌধশিখরে একটি সুসজ্জিত কক্ষ, এবং সেই কক্ষস্থিত একটি অলোকসুন্দরী রাজকন্যার চিত্র পরিস্কট হইয়া উঠিয়াছিল ; বুঝি রত্নদীপের উজ্জ্বল আলোক তাহার । সুন্দর মুখ এবং আগ্ৰহস্ফরিত চক্ষুর উপর পড়িয়া, তাহাঁ, উদ্ভাসিত করিয়াছিল ; কে জানে, যুবতী তখন মালারচাম। করিতেছিলেন, কি কাহারও আশাপথ চাহিয়া ছিলেন । ঘাঁহাই করুন, সেই বাল্যকাল হইতে আমার মনে কিন্তু উত্তরপশ্চিমপ্রদেশে ভ্রমণের একটা দুৰ্গমনীয় আকাঙ্কণ লাগিয়াঃ উঠিয়ছিল ; আমার নবজাগরিত কল্পনায় প্রশ্লষ্টতেই পাইতাম, ধূসর পর্যািক্তশ্রেণী:উন্নতািস্তকে দণ্ডায়মান স্নািডয়াছে, কটিতট .