পাতা:প্রবাহিণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৫
ঋতু-চক্র

তারা কয়, “হঠাৎ হাওয়ায় এল ভাসি
মধুরের সুদূর হাসি—হায়,
ক্ষ্যাপা হাওয়ায় আকুল হয়ে ঝরে গেলেম শত শত।
তারা কয়, “আজ কি তবে এসেছে সে
নবীন বেশে?
আজ কি তবে এতক্ষণে জাগ্‌ল বনে
যে গান ছিল মনে মনে?
সেই বারতা কানে নিয়ে যাই চলে এইবারের মত॥”

৬৩

ফাগুনের পূর্ণিমা এল কার লিপি হাতে?
বাণী তার বুঝিনারে, ভরে মন বেদনাতে।
উদয়-শৈল মূলে জীবনের কোন কূলে
এই বাণী জেগেছিল কবে কোন্ মধুরাতে॥
মাধবীর মঞ্জরী মনে আনে বারে বারে
বরণের মালা গাঁথা স্মরণের পরপারে।
সমীরণে কোন মায়া ফিরিছে স্বপন কায়া
বেণুবনে কাঁপে ছায়া অলখচরণ পাতে॥

৬৪

অনেক দিনের মনের মানুষ এলে কে
কোন ভুলে-যাওয়া বসন্ত থেকে॥