পাতা:প্রবাহিণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৭
ঋতু-চক্র

তবু তুমি আছ যতক্ষণ
অসীম হয়ে ওঠে হিয়ায় তোমারি মিলন।
যখন যাবে তখন প্রাণে বিরহ মোর ভরবে গানে,
দূরের কথা বাজ্‌বে সুরে সকল বেলা ব্যথায় ভরে॥

৬৬

বসন্তে আজ ধরার চিত্ত হল উতলা।
বুকের পরে দোলেরে তার পরাণ-পুতলা।
আনন্দেরি ছবি দোলে দিগন্তেরি কোলে কোলে,
গান দুলিছে, নীলাকাশের হৃদয়-উথলা॥
আমার দুটি মুগ্ধ নয়ন নিদ্রা ভুলেছে।
আজি আমার হৃদয়-দোলায় কেগো দুলিছে।
দুলিয়ে দিল সুখের রাশি লুকিয়ে ছিল যতেক হাসি,
দুলিয়ে দিল জনমভরা ব্যথা-অতলা॥

৬৭

ওরে বকুল, পারুল ওরে, শাল পিয়ালের বন,
কোন্‌খানে আজ পাই
এমন মনের মত ঠাঁই
যেথায় ফাগুন ভ’রে দেব দিয়ে সকল মন॥