পাতা:প্রবাহিণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
প্রবাহিনী
১৪

মনে যে হয় আমার হৃদয় কুসুম হ’য়ে ফোটে
আমার হিয়া উচ্ছলিয়া সাগরে ঢেউ ওঠে।
পরাণ আমার বাঁধন হারায়
নিশীথ রাতের তারায় তারায়
আকাশ আমায় কয় কী যে কয় কেই বা জানে॥

১৬

যতখন তুমি আমায় বসিয়ে রাখো বাহির বাটে
ততখন গানের পরে গান গেয়ে মোর প্রহর কাটে॥
যবে শুভক্ষণে ডাক পড়ে সেই ভিতর সভার মাঝে
এ গান লাগ্‌বে বুঝি কাজে,
তোমার সুরের রঙের রঙীন নাটে॥


তোমার ফাগুন দিনের বকুল চাঁপা, শ্রাবণ দিনের কেয়া,
তাই দেখে ত বুঝি তোমার কেমন যে তান দেয়া।
আমি উতল প্রাণে আকাশ পানে হৃদয়খানি তুলি
বীণায় বেঁধেচি গানগুলি
তোমার সাঁঝ-সকালের সুরের ঠাটে॥

১৭

আমি কান পেতে রই আমার আপন হৃদয় গহন দ্বারে;
কোন গোপনবাসীর কান্নাহাসির গোপন কথা শুনিবারে