পাতা:প্রবাহিণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫
গীতগান

ভ্রমর সেথায় হয় বিরাগী
নিভৃত নীল পদ্ম লাগি যে,
কোন রাতের পাখী গায় একাকী সঙ্গিবিহীন অন্ধকারে॥
কে সে আমার কেই বা জানে, কিছু বা তা’র দেখি আভা। 
কিছু বা পাই অনুমানে কিছু তাহার বুঝি না বা। 
মাঝে মাঝে তা’র বারতা
আমার ভাষায় পায় কী কথা রে,
ওসে আমায় জানি পাঠায় বাণী আমার গানে লুকিয়ে তা’রে॥

১৮

গানের ঝরণা-তলায় তুমি সাঁঝের বেলায় এলে।
দাও আমারে সোনার বরণ সুরের ধারা ঢেলে॥
যে-সুর গোপন গুহা হ’তে,
ছুটে’ আসে আকুল স্রোতে,
কান্না-সাগর পানে যে যায় বুকের পাথর ঠেলে॥
যে-সুর উষার বাণী ব’য়ে আকাশে যায় ভেসে।
রাতের কোলে যায় গো চ’লে সোনার হাসি হেসে।
যে-সুর চাঁপার পেয়ালা ভ’রে,
দেয় আপনায় উজাড় ক’রে,
যায় চ’লে যায় চৈত্র-দিনের মধুর খেলা খেলে॥