পাতা:প্রবাহিণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৯
গীতগান

নিত্য র’বে প্রাণ পোড়ানো গানের আগুন জ্বালা,
এই কি তোমার খুসী, আমায় তাই পরালে মালা
সুরের গন্ধ ঢালা॥

২৪

সময় কারো যে নাই, চলে ওরা দলে দলে,
গান হায় ডুবে যায় কোন কোলাহলে॥
পাষাণে রচিছে কত কীর্ত্তি ওরা সবে
বিপুল গরবে,
যায় আর বাঁশি পানে চায় হাসিছলে॥
বিশ্বের কাজের মাঝে জানি আমি জানি
তুমি শোনো মোর গান খানি,—
আঁধার মথন করি যবে লও তুলি
গ্রহতারাগুলি,
শোনো যে নীরবে তব নীলাম্বর তলে।

২৫

আমার কণ্ঠ হ’তে গান কে নিলো ভুলায়ে,
তা’র বাসা ছিল নীরব মনের কুলায়ে॥
মেঘের দিনে শ্রাবণ মাসে
যুঁথী বনের দীর্ঘশ্বাসে
আমার প্রাণে সে দেয় পাখার ছায়া বুলায়ে॥