পাতা:প্রবাহিণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৭
প্রত্যাশা

পরিচয়ের রসের ধারা   কিছুতে আর হয় না সারা,
বারে বারে নতুন করে চিত্ত আমার ভুলাবে সে॥

২৮

নিশি না পোহাতে জীবন-প্রদীপ জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া
তোমার অনল দিয়া॥
কবে যাবে তুমি সমুখের পথে দীপ্ত শিখাটি বাহি,
আছি তাই পথ চাহি॥
পুড়িবে বলিয়া রয়েছে আশায় আমার নীরব হিয়া
আপন আঁধার নিয়া॥
নিশি না পোহাতে জীবন-প্রদীপ জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া॥

২৯

অশ্রুনদীর সুদূর পারে
ঘাট দেখা যায় তোমার দ্বারে॥
নিজের হাতে নিজে বাঁধা, ঘরে আধা বাইরে আধা,
এবার ভাসাই সন্ধ্যাহাওয়ায় আপনারে॥
কাটল বেলা হাটের দিনে
লোকের কথার বোঝা কিনে।
কথার সে ভার নামা রে মন, নীরব হয়ে শোন্ দেখি শোন্
পারের হাওয়ায় গান বাজে কোন্ বীণার তারে॥