;8 প্রবোধ-চঞ্জোদয় নাটক । আত্মা –আচ্ছা, কি করে’ পদার্থ-জ্ঞান হয় তার উপায় আমাকে বল দিকি । রাজা —ম ছি, শ্রবণ করুন 2— ইনিষ্ট গে। আমি—ষ্টহ পুনঃ পুনঃ করিয়া চিন্তন, “ঘট-পট” ইনি নন —মনে মনে করি বিবেচন —এইরূপে বহির্বস্তু হটলে গে লয়, চিদাত্মার জ্ঞান চিত্তে হইলে উদয়, তখন গে “তত্ত্বমসি”—“তিনি তুমি—তুমি তিনি” —এই শ্রীতি-বাক্য পুন করিলে শ্রবণ ব্যক্ত হইবেন সেই শাস্ত জ্যোতি স্বপ্রকাশ আনন্দ-স্বরূপ, ভব-তিমির-মোচন ॥ নিদিধ্যাসনের প্রবেশ । নিদি।—দেবী বিষ্ণুভক্তি আমাকে এইরূপ আদেশ করলেন —“দেখ বৎস! তুমি আমার অভিপ্রায় বিবেক ও উপনিষৎকে গোপনে বুঝিয়ে দিয়ে আত্মার নিকটে থাকবে।” (অবলোকন করিয়া ) এই যে, উপনিষৎ দেবী ও বিবেক আত্মার নিকটেই আছেন ; এইবার তবে ঔদের নিকটে যাই । ( নিকটে গিয়া উপনিষৎকে চুপি চুপি ) দেখুন দেবি । দেবী বিষ্ণুভক্তি আপনাকে এই আদেশ করেচেন ;–“দেবতারা সঙ্কল্প-যোনি, মনেতেই তাদের সস্তান উৎপত্তি হয় । আর, ধানযোগেও আমি জেনেছি, তুমি অন্তঃসত্ব হয়েছ । তোমার গর্ভে বিদ্যানামে এক ক্রুমতি কঙ্কা ও প্রবোধচন্দ্র নামে একটি পুত্র বর্তমান । এখন তুমি সঙ্কর্ষণী বিদার দ্বারা কস্তাটিকে মনেতে সংক্রামিত করে ও পুত্রটিকে আত্মার নিকট সমপ্ৰণ করে আমার নিকট আসূবে।”
পাতা:প্রবোধ-চন্দ্রোদয় নাটক.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।