পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রসূতি-তন্ত্র। وR\ প্রসব-লক্ষণ । গর্ভের সম্পূর্ণ পরিবৃদ্ধি হইলে গর্ভাশয়ের পূর্ণবিস্তৃতি হইয়া থাকে। তখন উহা বুক পৰ্য্যন্ত ঠেলিয়া উঠে। কিন্তু প্রসবের দুই তিন সপ্তাহ পূৰ্ব্ব হইতে সন্তানসহ জরায়ু ক্রমে ক্রমে নীচের দিকে ঝুলিয়া পড়িতে থাকে। তখন গর্ভিণীর পূৰ্ব্বের স্তায় শ্বাসকষ্টাদি থাকে না। কিন্তু বারংবার মূত্রপ্রবৃত্তি হয় ও প্রসবপথ শিথিল এবং পদদ্বয় ঈষৎ শোথফুক্ত হইয়া থাকে। প্রসবের প্রায় দুই তিন দিন পূৰ্ব্ব হইতে ঈষৎ রক্তাভ শ্বেতবর্ণ লালার মত এক প্রকার পদার্থ যোনির অভ্যন্তরে ক্ষরিত হইতে থাকে। তাহা দ্বার প্রসবপথ পিচ্ছিল হয়, সেজন্ত প্রসব কার্য্যের বিশেষ সহায়তা হইয়া থাকে। এই সময়ে কখন কখনও এক প্রকার মিথ্য প্রসববেদলt উপস্থিত হয়। তাদৃশ বেদনা, সাধারণতঃ গর্ভিণীর উদরাময় বা মলবদ্ধ তার জন্যই হইয়া থাকে। সবিশেষ অনুধাবন করিলে প্রকৃত ও মিথ্য প্রসববেদনার পার্থক্য বুঝিতে পারা যায়। প্রকৃত প্রসববেদন কটদেশ হইতে আরম্ভ করিয়া সম্মুখের দিকে আসে, আর মিথ্য বেদন কেবল মাত্র পেটের সম্মুখভাগেই বোধ হয়। প্রসবের ব্যথা নিয়ন মত আসে ও কিছুক্ষণ থাকিয় নিবৃত্ত হয়। কখনও শীঘ্র শীঘ্ৰ আসিয়া অনেক ক্ষণ পৰ্য্যন্ত থাকে ; কখনও বা বিলম্বে আসিয়া অল্পক্ষণেই নিবৃত্ত হয় এবং প্রায়ই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে থাকে। কিন্তু মিথ্যা প্রসব বেদন সেরূপ হয় না। প্রসব-বেদনায় গর্ভচ্ছিদ্রের বিস্তৃতি ঘটিয়া প্রসবপথ সংক্ষিপ্ত হইতে থাকে। মিথ্যা বেদনায় সে সব কিছু হয় না। তদ্ভিন্ন বস্তিপ্রয়োগ অর্থাৎ পিচকারী দ্বারা মল পরিষ্কার করাইয়া দিলে প্রকৃত প্রসব-বেদনার বৃদ্ধি হয় ; কিন্তু মিথ্যা বেদনার নিবৃত্তি হইয়া থাকে। প্রসব-বেদনার সংস্কৃত নাম আত্রী।