পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট । S6: সন্তান ভূমিষ্ঠ হইয়াই যদি কাদির উঠে, তবে উহার নাক, মুখ,চোক ও গলার ভিতর বেশ করিয়া মুছাইরা দিবে। যদি সস্তানের মুখে লাল ঘড়ঘড় করে, তবে আঙ্গুল দিয়া অথবা এক খণ্ড পরিষ্কৃত ভাড়া দিয়া সন্তানের লালা পরিষ্কার করিয়া দিবে। • সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যদি না কাদে, তাহা হইলে তাহাকে বাচাইবার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করিবে। প্রথমতঃ সন্তানের গলায় আঙ্গুল দিয়া লাল বা শ্লেষ্মা বাহির করিয়া দিবে ও পা দুটা ধরিয়া মাথা একটু নীচু করিয়া একবার বাকানি দিবে। ইহাতে যদি সস্তান নিঃশ্বাস না ফেলে, তাহা হইলে শিশুকে উপুর করিয়া পিঠে দুই তিনটী চড় মারিবে ও মুখে চোখে ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিবে এবং এক খানি শুল্ক বস্ত্রখণ্ড লইয়া সন্তানের বুকে ও পিঠে জোরে তাড়াতাড়ি ঘর্ষণ করিতে থাকিবে। এই সকল উপায়ে প্রায়ই মৃতপ্রায় শিশু ও কাদিয়া উঠিবে। আর যদি ইহাতেও কোন ফলন হয়, তাহা হইলে পাশাপাশি এক গামলা ঠাণ্ড জল ও এক গামল গরম জল রাখিয়া তাহাতে সন্তানের মুখ বাদ রাখিয়া গলা পৰ্য্যন্ত পর্য্যায়ক্রমে অর্থাৎ একবার গরম জলে আর একবার ঠাণ্ড জলে ডুবাইতে থাকিবে এবং সন্তানের মুখে পর্য্যায়ক্রমে গরম জলের ও ঠাণ্ড জলের ঝাপটা দিতে থাকিবে। এই রকম বার কত করিতে করিতে প্রায়ই সন্তান কাদিয়া উঠে। ইহাতে যদি কিছু না হয়, তবে নাড়ী কাটিয়া শিশুকে পৃথক করিবে এবং কত্রিম শ্বাসক্রিয়া দ্বারা শেষ চেষ্ট্র করিয়া দেখিবে । রুত্রিম শ্বাসক্রিঙ্ক19–শিশুকে চেকিতে এরূপভাবে চিৎ করিয়া শোয়াইয়া দিবে, যেন তাহার মাথাটী তোমার দিকে থাকে। অপর একজন সস্তানের পায়ের দিকে বসিয়া শিশুর পা-দুটকে সোজা ভাবে রাখিয়৷ যোড় করিয়া ( জোরে নহে ) ধরিয়া থাকিবে। তারপর তুমি সস্তানের হাত দুইটী দুই হাতে ধরিয়া নিজের পাশ্ব দিয়া এরূপে