পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

らや প্রসূতি-তন্ত্র। টানিয়া ধরিবে যেন উৰ্দ্ধদিকে প্রসারিত হস্তদ্বয় সন্তানের মাথার দুই পার্থে ঠেকে। আবার পরক্ষণেই হাত দুইটাকে সঙ্কুচিত করির সন্তানের দুই পার্থে পাজরের উপর সবলে টিপিয়া ধরিবে এবং যখন সস্তানের হস্তদ্বয় উপর দিকে তুলিবে, তখন তাহার মুখে একবার করিয়া খুব জোরে ফু দিতে থাকিবে। এইরূপে পুনঃপুনঃ হস্তদ্বয়ের সঙ্কোচন ও প্রসারণ করিলে এবং সেই সঙ্গে একবার করিয়া ফু দিতে থাকিলে সস্তানের বক্ষঃস্থল সঙ্গচিত ও প্রসারিত হইতে থাকিবে এবং শ্বাসবায়ুও যাতায়াত করিবে। অধিক তাড়াতাড়ি না করিয়া মিনিটে ১৫ । ২০ বার এইরূপ সঙ্কোচন প্রসারণ করিলেই চলিতে পারে। এইরূপ করিতে করিতে যখন দেখিবে সস্তান খাৰি খাওয়ার মত করিতেছে, তখনও বার কতক ঐক্কপ প্রক্রিয়ী করিলে। সাধারণতঃ ১৫ পনের মিনিট হইতে আধ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক শ্বাসক্রিয়ার আরম্ভ হয়। সন্তান ভালরূপ শ্বাস লইতে আরম্ভ করিলে লাচিলার যথেষ্ট আশা হইল জানিবে। তখন কৃত্রিম-শ্বাসক্রিয়া অল্পে অল্পে বন্ধ করিবে । পূৰ্ব্ববর্ণিত উপায় সকল দ্বারা যদি সন্তান জীবিত না হয়, তবে তাহার প্রত্যাশা করা বৃথা । প্রসবান্তে কর্তব্য । সন্তান ভূমিষ্ঠ হৃষ্টলে, সন্তান জীবিত থাকুক আর নাই থাকুক, সকল স্থলেই অতঃপর প্রধানতঃ দুইটী কাৰ্য্য কৰ্ত্তব্য। প্রথম নাড়ীকাটা, দ্বিতীয় কুলপড়া । মার্ভীকাট।—জাত সন্তানের অবস্থা স্বাভাবিক হইলেও কিছুক্ষণ বিলম্ব করিয়া নাড়ীকাটা উচিত। কেন না, জাতমাত্রেই নাড়ী কাটিলে ফুলের মধ্যস্থিত অনেকটা রক্ত হইতে শিশু বঞ্চিত হয়, তাহাতে