পরিশিষ্ট । *ፃ সন্তান কিছু দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে। সেজন্য নাড়াচ্ছেদের পূৰ্ব্বে জাত বালকের নাড়ীতে হাত দিয়া দেখিবে, যখন নাড়ীর স্পন্দন রহিত হইয়াছে ও নাড়ী শিথিল হইয়া পড়িয়াছে, তখন নাড়ী কাটিবার সময় হইয়াছে বুঝিবে এবং পরিস্কৃত ও বিশোধিত হস্তের দুইটী অঙ্গুলি দিয়া নাড়ীর রক্তটা চুচিয়া সন্তানের নাভির দিকে দিয়া, নাভি হইতে ৩৪ অঙ্গুলি পরিসিত স্থান বাদ দিয়া এক অস্কুল অন্তর দুইটী শক্ত বন্ধন দিবে এবং সেক্ট বন্ধনের মাঝ খানে কাটিয়া দিবে। যদি দেখাযায়,—নাড়ীকাটার পরে ও সস্তানের নাভিনাড়ী দিয়া রক্ত পড়িতেছে, তাহাহইলে পূৰ্ব্ব বন্ধনের আগে আবার একটা দৃঢ়ভাবে বন্ধন দিবে। নতুবা রক্তস্রাব চাইতে থাকিলে বালকের মৃত্যু হইতে পারে। বিশেষ দ্রষ্টব্য –নাড়ী কাটিবার পূৰ্ব্বে কাচি ও স্থত গরম জলে উত্তমরূপে সিদ্ধ করিয়া লইবে এবং হাত দুটাকে বেশ করিয়া সাবান দিয়৷ ধুইয়। ফেলিবে, তারপর রসকপুরের জলে পুনরায় হাত দুইটকে ভাল করির ধুইয়া বিশোধিত করিয়া লইবে । কদাচ কাচি, স্থত ও হাত প্রভৃতি উত্তমরূপে বিশোধিত না করিয়া সন্তানের নাড়ী কাটিবে না । সাধারণতঃ দেপাযায় যে, পল্লীগ্রামে এই বিশোধন ক্রিয়ার অনভিজ্ঞতাবশতঃ কত সন্থান ও প্রস্থতি অকালে স্থতিকাগৃহেই মৃত্যুমুখে পতিত হইয়। প:কে । যদি অবিশোধিত যন্ত্রাদি বা হস্তের দ্বারা সন্তানের নাড়ী কীট হয়, তবে তাহার দোষে শিশুর ধতুষ্টঙ্কার প্রভৃতি নানাবিধ মারাত্মক বাধি হইতে পারে। পেচোক্স পাওক্সা বলিয়া আমাদের দেশে যে ব্যাধি দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা সাধারণতঃ নাড়ী কাটার দোষেই হইয়া থাকে ; বস্তুতঃ উহা গ্ৰহদোষে ঘটে না, বুদ্ধিদোষেই ঘটিয়া থাকে। =tot-stists of s, few got (Boric cotton) বা এক খানি সুপরিস্কৃত বিশুদ্ধষ্ঠাকুড়া তিন চারি পুরু করিয়া পাট করিয়া সন্তানের নাভির উপর চাপা দিয়া পেটে একটী পেট জড়াইয়া দিবে। ૨ ろ
পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/১৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।