२२ প্রস্থত-তন্ত্র। সে সকল উপায় একাদশ অধ্যায়ে (৩৫ পৃষ্ঠায় ) বর্ণিত হইয়াছে। এক্ষণে কয়েকট অবগু জ্ঞাতব্য রোগের বিষয় লিখিত হইতেছে। শোথ । গর্ভাবস্থায় সপ্তম বা অষ্টম মাসে যদি গর্ভিণীর পদদ্বয়ে শোথ দেখা যায় এবং মুখও ঈষৎ স্ফীত বলিয়া বোধ হয়, তাহা হইলে অচিরে তাঙ্গর প্রতীকারের উপায় করিবে। নচেৎ বিপদের সম্ভাবনা আছে। প্রথমতঃ প্রস্রাল পরীক্ষা করিয়া দেখিবে তাহাতে ওজোধাতু(albumen) আছে কি না । এক খানি নুতন সরাতেবা মাটীর হাড়িতে রোগিণীর প্রস্রাব রাখিয়া জাল দিবে। যদি দেখ ঐ প্রস্রাবের নীচে খানিকটা সাদামত কিছু জমিয়া গিয়াছে এবং তাহাতে লেবুর রস দিলেও উহা ভাঙ্গিয়া যায় না, জমাট বাধিয়াই থাকে ; তাহা হইলে বুঝিবে zszitzā, albumen আছে এবং সেই জনাই গর্ভিণীর শোথ দেখা দিয়াছে। তাদৃশ অবস্থায় গর্ভিণীকে কেবল দুগ্ধান্ন পথ্য দিবে এবং লবণ ও জল থাইতে নিষেধ করির দিবে। পিপাসার সময়েও জল না দিয়া দুগ্ধ পান করিতে দিবে। যদি পথ্যাদির পরিবর্তনাদি দ্বারা রোগের উপশম না হয়, তাহা হইলে রীতিমত চিকিৎসার ব্যবস্থা করিবে । , প্রসবের পীচ সাত দিন পূৰ্ব্বে গর্ভিণীর পদদ্বয়ে যে শোথ দেখা যায়, তাহাতে কোন আশঙ্কা নাই । রক্তামাশয় । গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠবদ্ধত উপস্থিত হইলে অথবা ঠাণ্ডা লাগাইলে
- এরূপ অবস্থায় পুনর্নবানওর ও পুনর্নবাকৈ-পাচন প্রভৃতি আয়ুৰ্ব্বেদীয় ঔদ্ধে বিশেষ ফল পাওয়া যায় ।