ՀԵ প্রসূতি-তন্ত্র। বিষমেহ । স্ত্রীলোকের বিষমেহ হইলে প্রস্রাবে অত্যন্ত যন্ত্রণ ও নানাপ্রকার বেদন হয়। প্রস্রাবদ্বার ফোলে, লাল হয় ও ভিতর হইতে পূয় নির্গত হয়। তল্লি কুঁচকিতে বীচি ফেলে। বিষাক্ত পুরস্রাব লাগিয়া প্রসবপথেও ঘা হয়, ক্রমে গর্ভাশয়, বীজস্রোতঃ এবং বীজকোষ পর্ষ্যস্ত তাদৃশ দুষ্টরোগ দ্বারা আক্রান্ত হইয় থাকে। সেজন্ত রোগিণীৰ তলপেটে অত্যন্ত যন্ত্রণ হয় ও নানাপ্রকার উপসর্গ সকল দেখাযায়। বিশেষ চিকিসার দ্বারা রোগের যন্ত্রণ সকল নিবৃত্তি হইতে পারে বটে ; কিন্তু রোগের বিষ একেবারে চলিয়া যায় না। উক্তরোগগ্রস্থ রমণীর প্রায়ই মৃতবৎস বা বন্ধ্যাদোষ ঘটিয়া থাকে। ফিরঙ্গ-রোগ । ফিরুঙ্গরোগ-গ্ৰস্ত পুরুষের সংসর্গে ঙ্গালোকের ও উক্ত রোগ জন্মিয়৷ পাকে। ফিঙ্গরোগ হইলে প্রথমতঃ প্রসবপথে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুস্কৃড়ির মত হয়। সেই ফুস্কুড়ি পাকিয়া ফাটিয়া গেলে, তাঙ্গর পূযরক্ত লাগিয়া অনেক গুলি ক্ষত হয়। ক্রমে ঐ ক্ষতের দূষিত বীজাকু সকল দ্বারা গর্ভাশয় প্রভৃতিও রোগাক্রান্ত হইয়া থাকে। এ রোগেও বিষমেহের দ্যায় কুঁচকি ফোলে, ব্যথা হয় ও শক্ত হয় এবং রোগিণীর সর্বঙ্গে নানা-প্রকার দুষিত চলকণা সকল ইরাপ্রসন) বাছির হয়। চিকিৎসা,—বিষমেহ ও ফিরঙ্গরোগে ঔষধ মিশ্র অথবা নিমপাত সিদ্ধ জল দিয়া ক্ষতস্তান সকল পরিস্কার করির ধুইয়া ফেলিবে এবং ক্ষতনাশক মলন সকল লাগাইবে ও উক্তরোগদ্বয়ের বিষনাশক ঔষধ সকলও সেবন করিবে । পরিণাম—বিষমেহ ও ফিরঙ্গরোগ অতি ভয়ানক। এই রোগদ্বারা আক্রান্ত স্ত্রীপুরুষের এমন রোগ নাই বাছা তাঙ্গাদের না হইতে পারে। ঐ
পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/১৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।