পাতা:প্রসূতি-তন্ত্র.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oe প্রসূতি-তন্ত্র | অন্তর দিনে রাতে দশবারই দুগ্ধ দিবে। কিন্তু দুগ্ধের পরিমাণ প্রতিবারে কিছু কিছু বাড়াইয়া দিবে। প্রথম সপ্তাহে একভাগ গোকুগ্ধে তিনভাগ জল মিশাইয়া, দ্বিতীয় সপ্তাঙ্গ হইতে একমাস পর্য্যন্ত গোদুগ্ধ একভাগ ও জল দুইভাগ একত্র মিশষ্টয়া গরম করিয়া বালককে খাইতে দিবে। বালককে যখনই দুগ্ধ দেওয়া হইবে, তখনই গরম করিয়া দেওয়া উচিত। ঠাণ্ডাঢ়ন্ধে সন্তানের সর্দি কাসি প্রভৃতি হইয়া থাকে। স্বান | যতদিন বালকের নাভি না পড়ে ততদিন তাহাকে তেল মাথাইয়। ভিজ, গামোছা দিয়া গা মুছাইয়া দিবে। তারপর নাভি পড়িয়া গেলে ও নাভির থা শুকাইয়া গেলে, প্রত্যহ একটু গরম জলে বালককে স্নান করাইয়া দিলে । কিন্তু অনাবৃত স্থানে স্নান না করাইয়া ঘরের মধ্যেই স্নান করান ভাল । তাহাতে ঠাণ্ডা হাওয়া লাগিয়া বালকের অসুখ হইবার ভয় থাকে না । নিদ্রা,—সদ্যোজাত শিশু প্রায়ই নিদ্রা যায়। যখন ক্ষুধা পায়, তখনই উঠিয়া কাদিতে থাকে ; তখন দুধ খাওয়াইয়া দিলে আবার ঘুমাইয়া পড়ে। আর যদি বিনা কারণেই কাদিতে থাকে, তবে বুঝিতে হইবে শিশুর পেটব্যথা করিতেছে বা অন্য কোন রকম অসুখ করিয়াছে। শিশুরোগসমূহ। নাভিল্লোগ—যদি সন্তানের নাভি-কাটার কোন প্রকার দোষ ঘটে, তাহা হইলে নাভি পাকিয় উঠে। সেজন্য সস্তানের জরও হইতে পারে। সেরূপ অবস্থায় পূর্ববর্ণিত (১৩৯ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য) উপায়ে তাহার প্রতীকার করিবে। বিশেষ বাড়াবাড়ি হইলে উপযুক্ত চিকিৎসক দেখান কর্তব্য ।.